ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

আফজাল হোসেনের নতুন চলচ্চিত্র

প্রকাশিত: ০৩:৫৯, ১৫ মার্চ ২০১৬

আফজাল হোসেনের নতুন চলচ্চিত্র

স্টাফ রিপোর্টার ॥ শিশু সাহিত্যিক ফরিদুর রেজা সাগর রচিত ধারাবাহিক রহস্য ও রোমাঞ্চ কিশোর উপন্যাস ‘ছোটকাকু’র প্রথম গল্প ‘কক্সবাজারে কাকাতুয়া’ অবলম্বনে চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন জনপ্রিয় অভিনেতা ও নির্মাতা আফজাল হোসেন। ইতোমধ্যে চলচ্চিত্রটি সেন্সর সনদ লাভ করেছে। এর ফলে ধারাবাহিক সিরিজ, বই, ধারাবাহিক নাটক এবং কমিকস বুকের পর এবার বড়পর্দায় আসছে ‘ছোটকাকু’। তবে এ নিয়ে আলোচনা সমালোচনাও কম হচ্ছে না। সংশ্লিষ্টরা বলছেন আঙ্গিক নির্মাণে বৈচিত্র্যতা, বিষয়বস্তুর নতুনত্ব, নান্দনিক উপস্থাপনা, চিত্রায়নে চমক এবং অভিনয়ের সাবলিলতা না থাকলে একই বিষয়ে ঘুরে ফিরে বার বার দর্শকের সামনে হাজির হলে দর্শকরা তা কিভাবে নেবে সেটাও দেখার বিষয়। কারণ ছোটপর্দায় যে বিষয়টি একাধিকবার উপস্থাপন করা হয়েছে তা বড়পর্দায় দর্শকরা দেখতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ নাও করতে পারেন। বিশেষ করে আগের দিন টিভি চ্যানেলে চলচ্চিত্রটি মুক্তি দেয়া হলে পরের দিন থেকে বড়পর্দায় দর্শকরা এটা কিভাবে নেবেন সেটাও ভাবার বিষয়। এমনটি মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। পরবর্তীতে এ ধরনের কোন কাজে বিষয়টি সংশ্লিষ্টরা মনে রাখবেন সেটাই দাবি করছেন দর্শক ও সংশ্লিষ্টরা। তবে দেশ বরেণ্য নাট্য ব্যক্তিত্ব আফজাল হোসেনের মতো নির্মাতা ও অভিনেতার কাজে ভাল কিছু পাওয়া যাবে এমনটাও আশা করেন দর্শকরা। জানা গেছে নির্মিত চলচ্চিত্রে ছোটকাকুর চরিত্রে অভিনয় করেছেন আফজাল হোসেন নিজেই। আরও অভিনয় করেছেন জহিরউদ্দিন পিয়ার, শামস সুমন, অর্ষা, সীমান্ত প্রমুখ। আগামী ১৭ মার্চ বিকেল ৩-০৫ মিনিটে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন এবং জাতীয় শিশু দিবসে চ্যানেল আইতে চলচ্চিটির ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার হবে। একই সঙ্গে চলচ্চিত্রটি যমুনা ব্লক বাস্টার সিনেমাসহ বেশ কয়েকটি হলে মুক্তি পাবে ১৮ মার্চ । ছোটকাকু সিরিজের গল্পগুলোতে দেখা যায়, ছোটকাকু বিপদসঙ্কুল পথে পা বাড়িয়ে রহস্যের কিনারায় পৌঁছাতে ভালবাসেন। ‘কক্সবাজারে কাকাতুয়া’ গল্পে দেখা যায় রোমাঞ্চ, রহস্য উত্তেজনায় ছোটকাকুর দু‘চোখ চক চক করে। কারণ সকালে যার সঙ্গে দেখা হয়েছিল, তিনি রকিব স্যার বহু বছর আগে এই প্রাচীন মুদ্রাটি রকিব স্যারকে ছোটকাকু দিয়েছিলেন। হনহন করে ছোটকাকু লতাপাতা সরিয়ে প্রবেশ করেন পাহাড়ের ফাটলে। পেছনে আফতাব মির্জাও আমাদের অনুসরণ করেন। চারদিকে মোটা প্রাচীর। তারা যত ভেতরে যায়, অন্ধকার গাঢ় হচ্ছে গা ছম ছম পরিবেশ। পায়ের নিচে পানির ছোয়া, ঠা-া পানি দেয়ালগুলো সব প্রবাল, সুঁচের মতো সাদা ফলাগুলো বেরিয়ে থাকা সরু পাাথরগুলো জ্বলজ্বল করছে। এভাবেই এগিয়ে যায় চলচ্চিত্রের কাহিনী।
×