ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

চীনের শ্লথ গতিতে বিশ্ব অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে শঙ্কা

প্রকাশিত: ০৩:৫৯, ১৫ মার্চ ২০১৬

চীনের শ্লথ গতিতে বিশ্ব অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে শঙ্কা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ কোনভাবেই ঘুরে দাঁড়াতে পারছে না চীনের অর্থনীতি। একদিকে উৎপাদন কমছে; অন্যদিকে প্রবৃদ্ধি। ফলে হোঁচট খাচ্ছে বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে। এতে করে বিশ্ব অর্থনীতির পুনরুদ্ধারেও শঙ্কা তৈরি হচ্ছে। রফতানি নির্ভর প্রবৃদ্ধির চেয়ে চীন এখন ভোক্তা ব্যয় ও বিনিয়োগের ওপর জোর দিচ্ছে। ব্রিটেনের অর্থমন্ত্রী জর্জ অসবর্ন জানান, চীনের অর্থনৈতিক শ্লথগতি এখন ‘ধ্বংসাত্মক ককটেলে’ রূপ নিয়েছে; যা ২০০৮ সালের অর্থনৈতিক সঙ্কট থেকে পুরো বিশ্বকে টেনে তুলতেও বাধা তৈরি করছে। সম্প্রতি এক তথ্যে দেখা যায়, ফেব্রুয়ারি মাসে চীনের রফতানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২৫.৪ শতাংশ কমেছে। ২০০৯ সালের পর যা মাসিক হিসেবে সবচেয়ে বড় কোন অঘটন। জানুয়ারিতেও এই রফতানি ১১.২ শতাংশ কমে যায়। বছরের প্রথম দুই মাসে দেশটিতে খুচরো বিক্রি ১০.২ শতাংশ বেড়েছে। যা ১০.৯ শতাংশ হলেও প্রত্যাশার চেয়ে কম। ব্লুমবার্গকে কমার্সব্যাংকের এক অর্থনীতিবিদ জুয়ো হাও জানিয়েছেন, শিল্প ক্ষেত্রে সরবরাহ ও খুচরো ব্যয়- সামগ্রিক অবস্থায় আমাদের উদ্বিগ্ন করে তুলেছে। এর ফলে সামগ্রিক প্রবৃদ্ধি এখন অন্ধকারে পতিত হচ্ছে। তবে এ অবস্থার মুখেও চীন আগামী ৫ বছরে ৬.৫ শতাংশ গড় প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারবে বলে জানিয়েছেন দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গবর্নর জুয়ো শিয়াওচুয়ান। এদিকে, বৈশ্বিক অর্থনীতিক প্রবৃদ্ধির জন্য চীনের এ অবস্থাকে দায়ী করেছেন আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিশ্চিনে লাগার্দেও। অর্থনীতির পালাবদলে এশিয়া উন্নয়নবান্ধব মুদ্রানীতির মধ্য দিয়ে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে বিশ্ব অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে আগামী ৪ বছরে দুই-তৃতীয়াংশ অবদান রাখবে এশিয়ার দেশগুলো। ভারতে ‘উন্নয়নশীল এশিয়া-ভবিষ্যতের জন্য বিনিয়োগ’ শীর্ষক এক সেমিনার এ মন্তব্য করেন আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের প্রধান ক্রিস্টিন লাগার্দ। এ সময় তিনি আরও বলেন, অর্থনীতির পালাবদলের জন্য এশিয়ার এটাই সুযোগ। বর্তমানে এশিয়া বিশ্ব অর্থনীতির ৪০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভবিষ্যতে এ পরিমাণ আরও বাড়বে। -অর্থনৈতিক রিপোর্টার কেয়া কসমেটিকসের সভা ১৬ মার্চ আগামী ১৬ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে কেয়া কসমেটিকস লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ সভা। ওইদিন বিকেল ৩টায় এ সভা হবে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সূত্রে আরও জানা গেছে, বৈঠকে কোম্পানির ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৫ হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে। কোম্পানিটি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের লিস্টিং রেগুলেশন ১৬(১) অনুযায়ী এ সভাটি করবে। প্রসঙ্গত, গত ৩০ জুন ২০১৫ সমাপ্ত হিসাব বছরে কেয়া কসমেটিকস শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এর পুরোটাই বোনাস লভ্যাংশ। কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি কনসোলিডেটেড আয় (ইপিএস) হয়েছে ২৯ পয়সা। শেয়ার প্রতি কনসোলিডেটেড প্রকৃত সম্পদ মূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৬ টাকা ৬৭ পয়সা। -অর্থনৈতিক রিপোর্টার
×