ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

মুনতাসীর মামুন

১৯৭১ অবরুদ্ধ দেশে প্রতিরোধ

প্রকাশিত: ০৩:৪৭, ১৫ মার্চ ২০১৬

১৯৭১ অবরুদ্ধ দেশে প্রতিরোধ

(১৪ মার্চের পর) আমিও লাইনে দাঁড়ালাম। বিভিন্ন ফ্ল্যাট ও বাড়ি থেকে মহিলারা বারান্দায় বেরিয়ে চিৎকার করছেন, কাঁদছেন। আমার চাচিও নাদিমকে কোলে নিয়ে বেরিয়ে এলেন। সৈন্যরা আমাদের ঘিরে, ক্রূর চোখের একজন বলল, ‘ডান্ডি কার্ড’ অর্থাৎ আইডেনটিটি কার্ড। আমার আইডেনটিটি কার্ড ছিল ইলেকট্রিশিয়ানের। ঢাকা শহরে তখন প্রায় লোকের পকেটে ‘ডান্ডি কার্ড’ থাকত। পাকিস্তানী সেনারা খুব ভক্ত ছিল ‘ডান্ডি কার্ডের’। হাত বাড়িয়ে ডান্ডি কার্ডটা দেখে ছুঁড়ে ফেলল রাস্তায়। তারপর আমাকে তা তুলে নিতে বলল। এরপর আমাদের হাত আর কনুই পরীক্ষা করতে লাগল। মিনিট দশেক পর আমাদের পাশের ফ্ল্যাটের তরুণটিকে নিয়ে ট্রাকে উঠালো। আমাদের বন্দুকের বাঁট দিয়ে আঘাত করে ভেতরে যেতে বলল। চারদিকে কান্নার রোল। যাক, ফিরে আসি প্রতিরোধ/স্বাধীনতা প্রসঙ্গে। ॥ পাঁচ ॥ পত্রিকায় ছাপাবার জন্য যেসব তথ্য পাঠানো হতো তার কিছু উল্লেখ করেছেন বোরহানউদ্দিন খান জাহাঙ্গীর তার গ্রন্থে। প্রথম দ্বিতীয় সংখ্যা যেহেতু পাইনি, সে কারণে বলতে পারছি না সেসব তথ্য পত্রিকায় উল্লেখ করা হয়েছিল কিনা। আমার কাছে যেসব কাগজপত্র আছে তাতে সে সব তথ্যের পুরোটা আছে যা তখন সরবরাহ করা হয়েছিল। এসব হিসাব তখন করা, যার মানে অনেকটা নির্ভুল যা এখন পাওয়া যাবে না। ২৫ মার্চ ঢাকার কোন এলাকায় কতো জন বাস করতেন তার হিসাব, বিশেষ করে বস্তিগুলোতে-
×