ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ধোনিদের জন্য সতর্ক বার্তা

প্রকাশিত: ০৪:৫১, ১৪ মার্চ ২০১৬

ধোনিদের জন্য সতর্ক বার্তা

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ হোক না প্রস্তুতি ম্যাচ। উড়ন্ত ভারতকে মাটিতে নামিয়ে আনল দক্ষিণ আফ্রিকা। অস্ট্রেলিয়ায় উড়ে গিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে ‘হোয়াইটওয়াশ’, ঘরের মাটিতে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে সিরিজ জয়, সর্বশেষ বাংলাদেশ থেকে এশিয়া কাপের শিরোপা পুনরুদ্ধার করে ফেরা- সম্প্রতি ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত ভার্সন টি২০তে সপ্তাকাশে উড়ছে মহেন্দ্র সিং ধোনির দল। স্বভূমে বিশ্বকাপে যাদের গায়ে হট-ফেবারিটের তকমা। অনেকে বলছেন এই ভারতকে হারানো প্রায় অসম্ভব, সেই অসম্ভব কাজটাই করে দেখাল প্রটিয়ারা। পরশু মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে ১৯৬ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে ফাফ ডুপ্লেসিসের দল ম্যাচটা জিতল ৪ রানে! উত্তাপ ছড়ানো লড়াইয়ের পর ৩ উইকেটে ১৯২ রানে থামে ধোনিবাহীনি। ব্যবধান যাই হোক, হার তো হারই। এটা তাই স্বাগতিকদের জন্য বড় এক সতর্ক সঙ্কেত। টি২০তে ছোট-বড় বা ফেবারিট-আন্ডারডগ বলে যে কিছু নেই, তারই প্রমাণ। মুম্বাইয়ের ম্যাচটা ছিল নাটকীয়তায় ভরা। টস জিতে ব্যাটিং নেয়া দক্ষিণ আফ্রিকাকে চ্যালেঞ্জিং স্কোর (১৯৬/৮) এনে দেন কুইন্টন ডি’কক আর জেপি ডুমিনি। দু-জনেই তুলে নেন হাফসেঞ্চুরি। ওপেনার ডি’কক ৩৩ বলে ৭ চার ও ২ ছক্কায় করেন ৫৬ রান। অফ ফর্ম কাটিয়ে ছন্দে ফেরা ডুমিনি ৪৪ বলে করেন ৬৭ রান। তার ইনিংসে ছিল ৬ চার ও ৩ ছক্কার মার। ৭ বলে ৩ চারের সাহায্যে ১২ রান করে আউট হন অধিনায়ক ফাফ ডুপ্লেসিস। এছাড়া ডেভিড মিলার ১৮, ক্রিস মরিস ১৪ ও রাইলি রুশো করেন ১১ রান। ব্যাটিং করেননি বড় তারকা এবি ডি ভিলিয়ার্স। স্বাগতিকদের হয়ে তিন পেসার হারদিক পান্ডিয়া ৩, জাসপ্রিত বুমরা ও মোহাম্মদ শামি নেন ২ উইকেট। জবাবে একপ্রান্তে নিয়মিত উইকেট হারালেও অন্যপ্রান্তে দুরন্ত ব্যাটিং করেন শিখর ধাওয়ান। রোহিত শর্মা (১০), বিরাট কোহলি (১) ও অজিঙ্কা রাহানে (১১) সহসা সাজঘরে ফেরেন। ৫৩ বলে ১০ চারের সাহায্যে ৭৩ রান করে ভারতকে ম্যাচে ধরে রাখেন ধাওয়ান। শেষদিকে ২৬ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৪১ রানে টর্নোডো ইনিংস উপহার দেন টি২০ স্পেশালিস্ট সুরেশ রায়না। প্রস্তুতি ম্যাচ বলেই সতীর্থদের ব্যাটিংয়ের সুযোগ করে দিতে দু-জনই রিটায়ার্ড-হার্ট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। ধাওয়ান-রায়ান যখন বিশ্রামে দলের রান তখন ১৪২। ম্যাচ জমিয়ে তুলতে চ্যালেঞ্জটা ভালমতোই নিচ্ছিলেন যুবরাজ সিং ও মহেন্দ্র সিং ধোনি। ৪ ওভারে ৫৫ রান তাড়া করতে গিয়ে ৩ ওভার থেকে এই জুটি তুলে নেন ১২, ১২, ১৫। শেষ ওভারে প্রয়োজন ১৪, শেষ বলে ৫। ধোনি আগের বলেই বাউন্ডারি মেরেছিলেন, কিন্তু শেষটিতে ঠিক কানেক্ট করতে পারেননি। ভারত অধিনায়ক রান খুব বেশি করেননি। ১৬ বলে ৪ চার ও ১ ছক্কায় অপরাজিত ৩০। ওয়াংখেড়ের প্রস্তুতিতে ধোনি একটা জিনিস বুঝিয়ে দিয়েছেন। যেদিন বোলারদের খারাপ যাবে, সেদিনও ভারতীয়দের চিন্তার কিছু নেই! তিনি আছেন, যুবরাজ সিং আছে, ঠিকই সামলে দেবেন। আছেন ঠিক পাঁচ বছর আগের মতোই, ‘বেস্ট ফিনিশার অব দ্য গেম’। এমনি ৪ রানের হার হয়ত প্রতিদিন হবে না। স্বাগতিক ভক্তরা এই ভেবে স্বস্তি পেতে পারেনÑ ‘ফিনিশার’ ধোনি থাকলে এই পরিস্থিতিতে ‘দশবারের মধ্যে নয়বারই ভারত জিতবে!’
×