ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

স্বর্ণ জয়ী শিলার বহিষ্কারাদেশের কপি গায়েব

প্রকাশিত: ০৪:৫০, ১৪ মার্চ ২০১৬

স্বর্ণ জয়ী শিলার বহিষ্কারাদেশের  কপি গায়েব

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ ভারতের অনুষ্ঠিত এসএ গেমসে সোনা জিতে রাতারাতি তারকা বনে গেছেন মাহাফুজা আক্তার শিলা। তবে তিনি নিজ জেলা ক্রীড়া সংস্থায় এখনও অবাঞ্ছিত। প্রায় ১৪ বছর আগে সাঁতার ফেডারেশনে সভাপতি আর সাধারণ সম্পাদকের বিরোধের জেরে তাকেসহ ৯ জনকে বহিষ্কার করা হয়। তখনকার ১০ বছরের শিলা আজ জাতীয় বীর। তবে এখনও সেই ‘কলঙ্কতিলক’ তার ঘোচেনি। আদৌও ঘুচবে কি না তাও স্পষ্ট নয়। কারণ এখনও জেলা ক্রীড়াঙ্গনে সেই কলঙ্কিত অধ্যায় নিয়ে চলছে লুকোচুরি। অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০০৩ সালে অভয়নগর উপজেলার হয়ে যশোর শিশু একাডেমি থেকে সাঁতার প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে ১০ বছর বয়সী শিলা। সাফল্য অর্জন করেন। প্রতিভা দেখে সাঁতারের কোচ আব্দুল মান্নান শিলাকে নিজের কাছে রেখে প্রশিক্ষণ দেন। তবে সব ঠিকঠাক থাকলেও সে সময়ের ক্রীড়া সংগঠকদের মধ্যে গড়ে ওঠা ‘কালো রাজনীতি’র শিকার হয় ছোট শিলাসহ ৯ সাঁতারু। সেদিন ওই ৯ সাঁতারুকে কোন সভা ছাড়ায় বহিষ্কৃত করা হয়। তবে বহিষ্কারাদেশের সেই চিঠির কোন রেকর্ড জেলা ক্রীড়া সংস্থার অফিসে নেই। শুধু তাই নয়, সংস্থার বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব কবির বলছেন, শিলার বহিষ্কারাদেশ সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না। সঙ্গতকারণে শিলার সোনা জয়ের পর জেলার ক্রীড়াঙ্গনে ঘুরে ফিরে একটি কথায় আলোচনা হচ্ছে তাদের বহিষ্কারাদেশ কি প্রত্যাহার হবে? তৎকালীন সাঁতার ফেডারেশনের সভাপতি ছিলেন আব্দুল মান্নান। তিনি বলেন, জেলা ক্রীড়া সংস্থার তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক মারুফুল ইসলাম শিলাসহ ৯ সাঁতারুকে বহিষ্কার করেছিলেন। ওই ৯ সাঁতারু ডলফিন ক্লাবের প্রতিনিধিত্ব করার কারণে তাদের বহিষ্কার করা হয়েছিল। তবে এখনও তাদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়নি। ইয়াকুব কবির জানান, তিনি দায়িত্ব নেয়ার পর এমন খবর শুনেননি। তবে শিলার সোনা জয়ের পর বিষয়টি শুনেছেন। কিন্তু শিলার বহিষ্ককারাদেশের কোন চিঠি জেডিএসের অফিসে নেই। তাই বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের বিষয়ে এখনই সিদ্ধান্ত নেয়া যাচ্ছে না। যদি বহিষ্কারের ঘটনা ঘটে তাহলে কার্যনির্বাহী পরিষদের সভায় তারা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।
×