ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বড় জয় তবু আফসোস বার্সিলোনার

প্রকাশিত: ০৪:৫০, ১৪ মার্চ ২০১৬

বড় জয় তবু আফসোস বার্সিলোনার

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ আরও একটি বিশাল জয়ের স্বাদ পেয়েছে বার্সিলোনা। সেই সঙ্গে স্প্যানিশ লা লিগায় শিরোপা জয়ের পথে আরেক ধাপ পেরিয়েছে কাতালানরা। এরপরও গত মৌসুমে ঐতিহাসিক ট্রেবল জয়ী দলটির সঙ্গী হয়েছে আপসোস। শনিবার রাতে ন্যুক্যাম্পে অনুষ্ঠিত ম্যাচে বার্সিলোনা ৬-০ গোলের বিশাল ব্যবধানে উড়িয়ে দেয় গেটাফেকে। চলমান মৌসুমে দলের সর্বোচ্চ গোলদাতা লুইস সুয়ারেজকে ছাড়াই গোলোৎসব করে লুইস এনরিকের দল। বিশাল এই জয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লীগের প্রতিপক্ষদেরও সতর্কবার্তা দিয়ে রাখল স্প্যানিশ পরাশক্তিরা। ম্যাচে জোড়া গোল করেন এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেরা নেইমার। ব্রাজিলের এই তারকা ফরোয়ার্ডের দুটি গোলই লিওনেল মেসির বানিয়ে দেয়া। পাঁচবারের বর্ষসেরা এই ফুটবলার একটি পেনাল্টি মিস করলেও করেছেন এক গোল। একটি করে গোল করেন সুয়ারেজের বদলে শুরুর একাদশে থাকা মুনির এল হাদ্দাদি ও মিডফিল্ডার আরডা টুরান। বার্সার গোলোৎসবের শুরু হয় প্রতিপক্ষের আত্মঘাতীর সৌজন্যে। শুরু থেকেই অতিথি গেটাফের ওপর চড়াও হয়ে খেলতে থাকে বার্সা। তবে ম্যাচের অষ্টম মিনিটে প্রথম গোলটি আসে অতিথি ফুটবলারের পা থেকে। স্বাগতিকদের আক্রমণ বিপদমুক্ত করতে যেয়ে নিজেদের জালেই বল জড়ান গেটাফের রড্রিগুয়েজ ভিয়ামুয়েলা। ১৯ মিনিটে ইনিয়েস্তার দুর্দান্ত পাস ডি বক্সের ভেতরে খুঁজে পায় মেসিকে। আর্জেন্টাইন অধিনায়কের ক্রসে হেড করে ব্যবধান বাড়ান মুনির। ৩২ মিনিটে নেইমারের গোলের উৎসদাতাও মেসি। দুই গোলে অবদান রাখার পর ৪১ মিনিটে নিজেই গোল করেন মেসি। এর ফলে ২২ গোল করে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো (২৭) আর সুয়ারেসের পর লা লিগার এ মৌসুমে তৃতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা মেসি। বিরতির পর ৫১ মিনিটে আবারও মেসির পাসে গোল করেন নেইমার। এটি লা লিগায় চলমান মৌসুমে ব্রাজিলিয়ান অধিনায়কের ২০ নম্বর গোল। ৫৭ মিনিটে বার্সার ছয় নম্বর গোল করেন টুরান। ওভারহেড কিকে বল জালে পাঠান এ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ থেকে এই মৌসুমে বার্সিলোনায় যোগ দেয়া এই ফুটবলার। লীগে এটা বার্সিলোনার টানা ১২তম জয়। আর এ নিয়ে টানা ৩৭ ম্যাচে অপরাজিত থাকল কাতালানরা। ২৯ ম্যাচে ৭৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে থাকা বার্সিলোনা আরেক ধাপ এগিয়ে গেল লা লিগার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পথে। সমান ম্যাচে ৬৭ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে এ্যাটলেটিকো। আর রবিবার রাতের ম্যাচের আগে ৬০ পয়েন্ট নিয়ে তিনে রিয়াল। এই ম্যাচে বার্সা ও দলটির প্রাণভোমরা মেসি অগৌরবের রেকর্ডের সঙ্গী হয়েছেন। প্রতিপক্ষের জালে কঠিনতম গোলকেও সহজে করে ফেলার অস্বাভাবিক দক্ষতা আর্জেন্টাইন অধিনায়কের। অথচ পেনাল্টিতে সহজ গোলের সময়ই যেন খেই হারিয়ে ফেলেন মেসি! পরশু রাতেও সেই মেসিকে দেখল ফুটবল বিশ্ব। পেনাল্টিতে গোল করতে ব্যর্থ হন তিনি। চলতি মৌসুমে এটা তার চতুর্থবারের মতো পেনাল্টি মিসের ঘটনা! আর ক্যারিয়ারের অষ্টম। যা ক্লাবের অন্য যে কোন খেলোয়াড়ের চেয়ে সর্বোচ্চ মিসের ঘটনা। চলতি মৌসুমে ক্লাব হিসেবে বার্সিলোনারও এটা অষ্টমবারের মতো পেনাল্টি মিসের ঘটনা। লা লিগায় এক মৌসুমে যা অন্য কোন ক্লাবের নেই। এর ফলে এই ম্যাচে দুটি অনাকাক্সিক্ষত রেকের্ডর সাক্ষী হলো মেসি আর বার্সা। ক্যারিয়ারে ১৫ বার পেনাল্টি পান লিওনেল মেসি। যার মধ্যে গোল করেন মাত্র ৭টিতে। আর মিস করে ৮টিতে। পেনাল্টি মিসের কারণ সম্পর্কে মেসি এক সাক্ষাতকারে বলেছিলেন, প্রতিপক্ষ জানে যে, পেনাল্টি হলে আমার ডাক পড়বেই। ফলে তারা আমাকে নিয়ে গবেষণা করে। আমার বিষয়ে আমার চেয়েও হয়তো ভাল ধারণা থাকে গোলরক্ষকদের। অগৌরবের রেকর্ড হলেও এটা নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছেন না বার্সা কোচ লুইস এনরিকে। তিনি দলের পারফর্মেন্সে খুশি।
×