ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

আমরা ভারতে খেলতে ভালবাসি ॥ আফ্রিদি

প্রকাশিত: ০৪:৫০, ১৪ মার্চ ২০১৬

আমরা ভারতে খেলতে  ভালবাসি ॥ আফ্রিদি

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ সংশয়ের কালো মেঘ কেটে গেছে। দাবি মতো ধর্মশালা থেকে ম্যাচটা কলকাতায় সরিয়ে আনা হয়েছে। শুক্রবার ভারতের কাছ থেকে লিখিত নিশ্চয়তার পর ক্রিকেট দলকে টি২০ বিশ্বকাপে অংশগ্রহণের অনুমতি দিয়েছে পাকিস্তান সরকার। শনিবার রাতেই দুবাই হয়ে কলকাতায় পৌঁছে গেছে শহীদ আফ্রিদির দল। কাল সেখানে ফুরফুরে মেজাজে অনুশীলন করেছে অতিথিরা। আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে কন্ডিশন, দলের অবস্থা, প্রতিপক্ষ ও আলোচিত ভারত ম্যাচ নিয়ে কথা বলেন দলটির বড় তারকা আফ্রিদি। কলকাতায় পাকিস্তানী ক্রিকেটারদের জনপ্রিয়তা দেখে বিদেশী সাংবাদিকরা রীতিমতো বিস্মিতই হয়েছেন। ইডেনে শনিবার বহুল আলোচিত ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ, তার আগে বুধবার একই ভেন্যুতে প্রথম পর্ব পেরিয়ে আসার দলের সঙ্গে নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলবে আফ্রিদিবাহিনী। ‘ভারতে এসে প্রত্যেক বারই যে ভালবসা পাই তেমনটা নিজ দেশেও কখনও পাইনি।’ কাল সংবাদ সম্মেলনে আফ্রিদির এই বক্তব্য দারুণ সারা ফেলে। নিরাপত্তা শঙ্কায় গত কয়েকদিন ধরে পাকিস্তান দলের ভারতে আসা নিয়ে টানাপোড়েন চলছিল। এমন কি বিশ্বকাপ থেকে সরে দাঁড়ানোর হুমকি পর্যন্ত দিয়েছিল পাকিস্তান। তবে সংবাদ সম্মেলনে আফ্রিদির চোখে মুখে তার লেশমাত্র ছিল না। ভারতের দর্শক ও দেশটির ক্রিকেটপ্রেমীদের প্রশংসায় ভাসালেন পাকি টি২০ অধিনায়ক, ‘ভারতে এসে খেলাটা যত উপভোগ করি, অন্য কোথাও এতটা করি না। আমি আমার ক্যারিয়ারের প্রায় শেষ পর্যায়ে আছি। এতটুকু অন্তত বলতে পারি, ভারতের যে ভালবাসা পেয়েছি সেটা আমার সারাজীবন মনে থাকবে।’ সোজা সাপটা কথা বলার জন্য আফ্রিদির একটি বদমান আছে। বিতর্ক এড়াতে এবার বেশ সতর্ক তিনি। তবে নিরাপত্তা নিয়ে যে ভাবছেন না সেটি পরিষ্কার, ‘কোনরকম নিরাপত্তা শঙ্কায় ভুগছি না। আমরা ক্রিকেটেই মনোযোগ রাখতে চাই।’ বিশ্বকাপসহ আইসিসির টুর্নামেন্টে ভারতের বিপক্ষে পাকিস্তানের পারফর্মেন্স বেশ নাজুক। এই তথ্য আমলে নিতে রাজি নন আফ্রিদি। উল্টো ইডেনে অনুপ্রাণিত সফরকারী অধিনায়ক, ‘এই মাঠে খেলতে দারুণ লাগে। ইডেনে আমরা পাঁচবার খেলে চারবারই ভারতকে হারিয়েছি।’ আফ্রিদির আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনের পর ওপেন মিডিয়া সেশনে সাংবাকিকদের মুখোমুখি হন শোয়েব মালিক, ওয়াহাব রিয়াজ ও সরফরাজ আহমেদ। তারকা অলরাউন্ডার মালিক বলেন, ‘১৯ তারিখে (ভারত ম্যাচ) আমরা সেরাটা দেব। তবে ভারতকে আমরা আর পাঁচটা প্রতিপক্ষ দলের মতো করেই দেখতে চাইছি। আলাদা করে ভাবলে শুধু শুধুই চাপ বাড়বে। যা আমরা চাইছি না।’ আমেরিকার প্রেসিডেন্ট এলে যেমন হয়, আফ্রিদিদের জন্য তেমনি কঠোর নিরাপত্তা। দম দম বিমানবন্দর থেকে আলিপুরের হোটেল পর্যন্তÑ সিআইএসএফ, বিধাননগর পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ, কলকাতা পুলিশের কমান্ডো ও র‌্যাফ মিলিয়ে ছিল নিরাপত্তা বাহিনীর দেড় শ’ সদস্য। শঙ্কা তাড়িয়ে আফ্রিদিরা যে সত্যি ফুরফুরে মেজাজে আগের দিন বিমানবন্দর থেকে হোটেলের উদ্দ্যেশে বাস ছাড়ার পরই সেটি টের পাওয়া যায়। কলকাতা রাস্তার দু-পাশে বহুতল ভবন দেখতে দেখতে পেসার আমির যেমন রসিকতা করে বলে ওঠেন, ‘জানেন আমিও কিন্তু ধনী পরিবারের ছেলে। বাড়িতে ১১১ মোষ আছে! যার প্রত্যেকটা ৩০ কেজি করে দুধ দেয়।’ পাক পেস তারকা অবশ্য একটা বিষয়ে ছিলেন সিরিয়াস। পুরো দল যখন স্থানীয় সিম কার্ড নিতে ব্যস্ত, কেবল তিনিই সেটি নিতে চাননি। ও সবে নাকি ঝামেলা! ‘এ সবে ঝামেলা, আমার দরকার নেই। আপনার মোবাইল থেকেই না হয় বাড়িতে ফোন দেব।’ ম্যানেজারকে বলেন আমির।
×