ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করবেন ॥ ২৯ মার্চ চায়না ফ্রেন্ডশিপ কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি সই

পায়রা ১৩২০ মে.ও. বিদ্যুত কেন্দ্রের ভিত্তিস্থাপন ৩০ মার্চ

প্রকাশিত: ০৪:৪১, ১৪ মার্চ ২০১৬

পায়রা ১৩২০ মে.ও. বিদ্যুত কেন্দ্রের ভিত্তিস্থাপন ৩০ মার্চ

রশিদ মামুন ॥ পায়রায় এক হাজার ৩শ’ ২০ মেগাওয়াট বিদ্যুত কেন্দ্রের জন্য আগামী ২৯ মার্চ চুক্তি করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ চায়না ফ্রেন্ডশিপ কোম্পানি, যা দেশের কয়লাচালিত বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণে প্রথম চুক্তি। এতে অর্ধেক মালিকানা রয়েছে দেশের সরকারী কোম্পানি নর্থ ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির, বাকি অর্ধেক চীনের রাষ্ট্রীয় কোম্পানি সিএমসির। বিদ্যুত কেন্দ্রটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হবে ৩০ মার্চ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করবেন। চীনে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত প্রাকচুক্তি বৈঠক থেকে দেশে ফিরে নর্থ ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ এম খোরশেদুল আলম জনকণ্ঠকে চুক্তি এবং ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, পরপর দুই দিনে চুক্তি এবং ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হবে। বিদ্যুত কেন্দ্রটি নির্মাণ করবে চীনা নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এনইপিসি। দেশে কয়লাচালিত বিদ্যুত কেন্দ্রের প্রথম উদ্যোগ ছিল রামপাল বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণ। বিদ্যুত কেন্দ্রটির কাজ পেয়েছে ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি ভারত হেভি ইলেক্ট্রিক্যাল লিমিটেড (ভেল)। বিদ্যুত কেন্দ্রটির জন্য তারা এরই মধ্যে পিজি জমা দিয়েছে। যদিও এখনও চুক্তি হয়নি। তবে রামপালের দুই বছর পরে এসেও বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণে আগেই চুক্তি করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ চায়না ফ্রেন্ডশিপ কোম্পানি। উল্লেখ্য, এক হাজার ৩শ’ ২০ মেগাওয়াট বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণের জন্য চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইমপোর্ট এ্যান্ড এক্সপোর্ট কর্পোরেশনের (সিএমসি) সঙ্গে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করে রাষ্ট্রীয় নর্থ ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি। ২০১৪ সালে স্বাক্ষর হওয়া ওই এমওইউর আলোকে একটি যৌথ মূলধনী কোম্পানি গঠন করা হয়। চাযনা বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ কোম্পানি নামের ওই যৌথমূলধনী কোম্পানিটি পায়রা বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণ করবে। এখানে নর্থ ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি এবং সিএমসি ৩০ ভাগ অর্থ বিনিয়োগ করবে। বকি ৭০ শতাংশ ঋণ নেয়া হবে। সিএমসি দেশের একমাত্র তাপ বিদ্যুত কেন্দ্র বড়পুকুরিয়া ২৫০ মেগাওয়াট নির্মাণ করেছে। বড়পুকুরিয়ার বিদ্যুত কেন্দ্রটি সাব ক্রিটিক্যাল হলেও পটুয়াখালীর বিদ্যুত কেন্দ্র হবে সুপার আল্ট্রা ক্রিটিক্যাল সর্বাধুনিক প্রযুক্তির। বিদ্যুত কেন্দ্রটি পটুয়াখালীতে পায়রা সমুদ্রবন্দরের পাশে নির্মাণ করা হবে। এখানে প্রতি কিলোওয়াট/আওয়ার (ইউনিট) বিদ্যুতের উৎপাদন ব্যয় হবে সাড়ে ছয় টাকা। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী চুক্তির দিন থেকেই চুক্তি কার্যকর হবে। কাজেই বিদ্যুত কেন্দ্রটির কাজও একই সঙ্গে শুরু হবে। অর্থ সংস্থানের জন্য দেরি করতে হবে না। নর্থ ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি সূত্র বলছে, পায়রা বিদ্যুত কেন্দ্রটি নির্মাণ ঠিকাদার চীনের এনইপিসি কোম্পানিটির তুরস্ক এবং ভিয়েতনামে ৬০০ মেগাওয়াটের উপরে বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণের অভিজ্ঞতা রয়েছে। নর্থ ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির এক কর্মকর্তা জানান, দরপত্রের শর্ত অনুযায়ী আলাদা করে অর্থায়ন চুক্তি হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা যাবে না। চুক্তির সঙ্গে সঙ্গে নির্মাণ শুরু করতে হবে।
×