ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

রিজার্ভ থেকে ডিএসইর লভ্যাংশ ঘোষণা

প্রকাশিত: ০৪:১৯, ১৪ মার্চ ২০১৬

রিজার্ভ থেকে ডিএসইর লভ্যাংশ ঘোষণা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালনা পর্ষদ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। ২০১৪-১৫ অর্থবছরের জন্য ঘোষিত এ লভ্যাংশ প্রদানে প্রতিষ্ঠানটিকে রিজার্ভ ব্যবহার করতে হবে। গত ৩ মার্চ ডিএসইর বোর্ড সভায় এ লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক শাকিল রিজভী সাংবাদিকদের এটি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ডিমিউচুয়ালাইজেশনের মাধ্যমে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর হওয়া ডিএসইর এটি প্রথম লভ্যাংশ ঘোষণা। যা শেয়ারহোল্ডারদের চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য আগামী ২৪ মার্চ ডিএসইর বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) উপস্থাপন করা হবে। এজিএমটি অনুষ্ঠিত হবে রাজধানীর লা মেরিডিয়ান হোটেলে। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ডিএসইর শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ০.৭৫ টাকা। এ হিসাবে ২০১৪-১৫ হিসাব বছরে নিট আয় হয়েছে প্রায় ১৩৫ কোটি ২৮ লাখ টাকা। আর ৩০ জুন ২০১৫ তারিখে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার প্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১১.৬৭ টাকায়। আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ডিএসইর পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ১ হাজার ৮০৩ কোটি টাকা। এ হিসাবে ১০ শতাংশ হারে লভ্যাংশ প্রদান করতে প্রয়োজন হবে প্রায় ১৮০ কোটি ৩০ লাখ টাকা। এ হিসাবে ২০১৪-১৫ অর্থবছরের ১৩৫ কোটি ২৮ লাখ টাকা মুনাফাসহ রিজার্ভ থেকে ৪৫ কোটি ২ লাখ টাকা দিতে হবে। আগের হিসাব বছরে ডিএসইর এ আয়ের পরিমাণ ছিল ০.৭৪ টাকা। ২০১৩-১৪ হিসাব বছরে কোম্পানিটি নিট আয় করে ১৩৩ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। ডিএসইর আয়ের মূল উৎস হচ্ছে- লাগা চার্জ, হাওলা চার্জ ও তালিকাভুক্তি ফি। তবে কোম্পানিটি ডিপোজিটের সুদ থেকেই সবচেয়ে বেশি আয় করেছে। ব্যাংকের সুদের হার কমে যাওয়ার কারণে আগের বছরের তুলনায় এ খাত থেকে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে আয় কমেছে। জানা গেছে, পুঁজিবাজারে লেনদেন কমে যাওয়ায় লাগা এবং হাওলা চার্জ থেকে আয় কমেছে। পাশাপাশি সুদ বাবদ আয়ও কমেছে। তারপরও আগের হিসাব বছরের তুলনায় আয় সামান্য বেড়েছে। মূলত ব্যয় সংকোচন নীতি গ্রহণ করায় নিট আয় বা ইপিএস বেড়েছে। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ডিএসইতে মোট লেনদেন (টার্নওভার) হয়েছিল ১ লাখ ১২ হাজার ৫৩৯ কোটি টাকার।
×