ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

খেলাপী ঋণ পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে

প্রকাশিত: ০৪:১৬, ১৪ মার্চ ২০১৬

খেলাপী ঋণ পরিস্থিতির  উন্নতি হচ্ছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকায় খেলাপি ঋণের পরিমাণ কমে আসছে বলে মনে করছেন ব্যাংকাররা। ঋণ দেয়ার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নজরদারি এবং ব্যাংকগুলো নিজস্ব দক্ষতা বাড়ায় খেলাপি ঋণের চিত্র বদলাতে শুরু করেছে বলেও মনে করছেন তারা। তবে আর্থিকখাতকে শক্তিশালী করতে ঋণ ব্যবস্থায় সংস্কারের প্রয়োজন বলে মত দিয়েছেন বিশ্লেষকরা। তাদের মতে, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে সময় মত তা পরিশোধ না করা যেন এদেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থার সংস্কৃতিতে পরিণত হয়েছে। আর বড় বড় ঋণ গ্রহীতা ঋণ নিয়ে তা পরিশোধ না করায় বিপাকে পড়ে ব্যাংকগুলো। যার প্রভাব পড়ে গোটা অর্থনীতিতেই। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য মতে, ২০১৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫১ হাজার ৩৭১ কোটি টাকা। যার বড় অংশই রাষ্ট্রায়ত্ত চার বাণিজ্যিক ব্যাংকের। কেন্দ্রীয় ব্যাংকও বলছে, অতীতের যেকোন সময়ের চেয়ে খেলাপি ঋণ পরিস্থিতি এখন বেশ ভাল। আর সে কারণেই বৈশ্বিক মন্দার পরও ব্যাংকগুলোর মূলধন বাড়ছে বলেও জানালেন বাংলাদেশ ব্যাংক নির্বাহী পরিচালক শুভঙ্কর সাহা। তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর অবস্থাও অনেকটা ভাল। বেসরকারী ব্যাংকের সমপর্যায়ে আছে এমনটাও নয়। খেলাপি ঋণের যে পরিমাণটা ৫৪ হাজার ৭শ’ আট কোটি টাকা থেকে কমে ৫১ হাজার ৩শ’ একাত্তর কোটি টাকাতে দাঁড়িয়েছে। তিন মাসের মধ্যে এতটা উন্নয়ন একটি ভাল দিক।’ তবে পুনঃতফসিলের মতো সুবিধা দিয়ে রাষ্ট্রের টাকা অবৈধভাবে আটকে রাখার সুযোগ বন্ধ না করলে ভবিষ্যতে আর্থিকখাত বড় ধরনের ঝুঁকিতে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা বিশ্লেষকদের। ব্যাংকার ও অর্থনীতি বিশ্লেষক মামুন রশিদ বলেন, ‘রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের বেশিরভাগ ঋণ হচ্ছে নির্দেশিত ঋণ। ভাল ব্যবস্থাপনা নেই, অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ ভাল নয়।’ নতুন ঋণ দেয়ার ক্ষেত্রে ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়নসহ তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করার পাশাপাশি ব্যাংকের প্রতিটি শাখার জন্য আলাদা পরিচালনা দিকনির্দেশনা প্রণয়নেরও তাগিদ দিয়েছেন তিনি।
×