ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বিশ্ব বণ্যপ্রাণী দিবসের অনুষ্ঠানে পরিবেশ মন্ত্রী

অনেক দেন দরবার করে গাছ লাগাতে ১৭ কোটি টাকা পাওয়া গেছে

প্রকাশিত: ০৭:৫২, ১৩ মার্চ ২০১৬

অনেক দেন দরবার করে গাছ লাগাতে ১৭ কোটি টাকা পাওয়া গেছে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে সবার মানসিকতার পরিবর্তনের আহ্বান জানিয়েছেন পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু। তিনি বলেন, এক সময় বাঘ শিকার ছিল বীরত্বের প্রতীক। ছোটবেলায় আমি নিজেও মামার সঙ্গে বাঘ শিকারে গিয়েছিলাম। এই উপমহাদেশের মানুষ পৃথিবীর অন্যান্য অঞ্চলের মানুষের চেয়ে কিছুটা কঠোর। পশুপাখি দেখলেই আক্রমণের ঘটনা এখানে বেশি ঘটে। আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন না করলে বন্যপ্রাণী রক্ষা কঠিন হয়ে পড়বে। বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবস উদযাপন উপলক্ষে শনিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বন ভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। গত ৩ মার্চ ছিল বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবস। দিবসটি জাতীয়ভাবে উদযাপন উপলক্ষে বন ভবনে শনিবার র‌্যালি, সমাবেশ, আলোচনা সভা ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ মেলার আয়োজন করে বন অধিদফতর। আলোচনা অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, সরকারের মধ্যেই অনেকে ভাবে পরিবেশ, বন, বাঘ ইত্যাদি রক্ষা করা বিদেশীদের কাজ। হচ্ছেও তাই। দাতাদের দেয়া সাহায্যে গাছ লাগানো হয়েছে ১৪৪ কোটি টাকার। বিপরীতে অনেক দেন দরবার করে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে গাছ লাগানোর জন্য ১৭ কোটি টাকা পাওয়া গেছে। তাও প্রকল্প আকারে। প্রকল্পেও আবার গাছের চেয়ে গাড়ি, বাড়ি বরাদ্দের অগ্রাধিকার। এটাই বাস্তবতা। ছোট ভূখ-ে জনসংখ্যা বেশি হওয়ায় উন্নত দেশের মতো এখানে বন ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ করা সম্ভব নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, দুই লেনের সড়ককে চার লেন করতে হলে গাছপালা উজাড় হবে, জমি ভরাট হবে। উন্নত দেশে ভূখ-ের তুলনায় মানুষ কম, তাই উন্নয়নের জন্য বনভূমির দিকে হাত বাড়াতে হয় না। তাই পরিবেশ রক্ষায় বিদেশীদের প্রেসক্রিপশন সব সময় মানা কঠিন। সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেনÑ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রফেসর মনিরুল এইচ খান, উপ-প্রধান বন সংরক্ষক (পিআরএল) ড. তপন কুমার দে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল ইসলাম, আইইউসিএন বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ ইশতিয়াক উদ্দীন আহমেদ। সভাপতিত্ব করেন প্রধান বন সংরক্ষক মোঃ ইউনুছ আলী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বন সংরক্ষক অসিত রঞ্জন পাল।
×