ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ক্যাম্পাস সংবাদ

প্রকাশিত: ০৬:০৯, ১৩ মার্চ ২০১৬

ক্যাম্পাস সংবাদ

আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসে আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান গত ০৬ তারিখে মিরপুর সেনানিবাসের বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের ‘বিজয় অডিটরিয়ামে’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এমপি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস্ (বিইউপি)-এর উপাচার্য মেজর জেনারেল শেখ মামুন খালেদ, এসইউপি, পিএসসি, পিএইচডি। অনুষ্ঠানে এ্যাসোশিয়েশন অব ইউনিভার্সিটিজ অব বাংলাদেশের সভাপতি এবং হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর মোঃ রুহুল আমিন বলেন, শিক্ষা, শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতির নিগূঢ় বন্ধনে মানবজীবন একই সূত্রে গাঁথা। সত্য ও সুন্দরের সংস্পর্শে মানবমনের সুকুমার বৃত্তির চর্চার মাধ্যমেই উদ্ভব ঘটে সৃজনশীলতার। সাহিত্য ও সংস্কৃতি চর্চার মাধ্যমে এ সৃজনশীলতা পরিপূর্ণতা লাভ করে। এ ধরনের সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ শিক্ষার্থীদের সুকুমার বৃত্তির উন্মেষ ঘটানোর একটি উন্নততর ক্ষেত্র। বিশ্বায়নের প্রভাবে সৃষ্ট অপসংস্কৃতি রোধকল্পে এদেশের শিক্ষিত শ্রেণীকে বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের শিক্ষক-কর্মকর্তা ও ছাত্রছাত্রীদের সচেতন ও স্বোচ্চার হতে হবে। যে সংস্কৃতি ও সাংস্কৃতিক কর্মকা- আমাদের জীবনবোধকে উন্নত করবে, আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে সমুন্নত রাখবে, সেগুলো গ্রহণ করতে হবে এবং যেগুলো বিজাতীয় ও বৈসাদৃশ্যমূলক, তা পরিত্যাগ করতে হবে। বিইউপি উপাচার্য মেজর জেনারেল শেখ মামুন খালেদ বলেন, শিক্ষার্থীদের বিপথগামিতা থেকে মুক্ত রাখতে সাংস্কৃতিক চর্চার কোন বিকল্প নেই। শিক্ষা অর্জনের প্রকৃত উদ্দেশ্য হলো দৈহিক, মানসিক ও সামাজিক গুণাবলীর সমন্বয়ে নিজেকে বিকশিত করা। শিক্ষাঙ্গনের শ্রেণীকক্ষের চার দেয়ালের ভেতরের শিক্ষাকে পূর্ণাঙ্গ শিক্ষা বলে অবিহিত করা যায় না। সেখানে খেলাধুলা ও শিক্ষার পাশাপাশি সংস্কৃতি চর্চার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। সংস্কৃতি চর্চার মাধ্যমে মানসিক উৎকর্ষতা সাধিত হয় এবং সামাজিক গুণাবলী বিকাশের সুযোগ পাওয়া যায়। সুন্দর মন ও মননের বিকাশের জন্য প্রয়োজন সংস্কৃতি চর্চার। এ জন্য সংস্কৃতি চর্চা চালিয়ে যাওয়া অপরিহার্য। তিনি আরও বলেন, লেখাপড়ার পাশাপাশি সংস্কৃতি চর্চা ছাত্রছাত্রীদের জ্ঞানের পরিধিকে সমৃদ্ধ করে। শিক্ষা ও সংস্কৃতি একটা জাতির আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক উন্নয়নের মূল চালিকাশক্তি। শিক্ষা ও সংস্কৃতি আমাদের চিন্তা এবং উপলব্ধির বিস্তার ঘটায়; আমাদের দৃষ্টিভঙ্গিকে করে উদার ও মননশীল। উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার জন্য মোট ৮টি বিভাগ বিভাজন করে মোট ২৪টি বিষয়ে ৪টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়কে পরিচালনার দায়িত্ব প্রদান করা হয়। যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২টি বিভাগে মোট ৩টি, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ২টি বিভাগে মোট ১০টি, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ২টি বিভাগে মোট ৯টি এবং হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২টি বিভাগে ২টি বিষয় অনুষ্ঠিত হয়। আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা-২০১৫ এ সার্বিকভাবে চ্যাম্পিয়ন হয় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় এবং রানার্সআপ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যবৃন্দ, সাংবাদিক, শিক্ষাবিদ, সমাজের বিভিন্ন স্তরের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এবং সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা, শিক্ষার্থীদের অভিভাবক, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি এবং বিইউপির শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ। এমএসএমই সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠান সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটির উদ্যোগে এবং বাংলাদেশ ব্যাংক, বিআইবিএম, সিরডাপ, আইএনএম ও এসএমই সংশ্লিষ্ট ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের সহযোগিতায় আয়োজিত ‘ডেভেলপমেন্ট অব মাইক্রো, স্মল এ্যান্ড মিডিয়াম এন্টারপ্রাইজেস (এমএসএমই) ইন বাংলাদেশ : শেয়ারিং এশিয়ান এক্সপেরিয়েন্সেস’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠান গত ৬ মার্চ বিকেল ৫টায় সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটির তেজগাঁওয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয়। সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান এমপি। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গবর্নর সিতাংশু কুমার সুর চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক দিদার মোঃ আব্দুর রব এবং ঢাকা চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হুমায়ূন রশীদ। সম্মেলনে গৃহীত সুপারিশমালা ও ভবিষ্যতের করণীয় উপস্থাপন করেন সম্মেলন পরিচালক ও সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটির অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ আব্দুল হাকিম। অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বেসিক ব্যাংক লিঃ-এর উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল কাইয়ূম মোহাম্মদ কিবরিয়া। এই সম্মেলনে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের এমএসএমই বিশেষজ্ঞ, নীতিনির্ধারক, পেশাজীবীসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সম্মেলনের পাশাপাশি দুই দিনব্যাপী এমএসএমই মেলারও আয়োজন করা হয়। ক্যাম্পাস প্রতিবেদক
×