ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

হজের অনলাইন প্রাক নিবন্ধন কার্যক্রম ২০ মার্চ শুরু

প্রকাশিত: ০৫:৫০, ১৩ মার্চ ২০১৬

হজের অনলাইন প্রাক নিবন্ধন কার্যক্রম ২০ মার্চ শুরু

স্টাফ রিপোর্টার ॥ হজ নির্বিঘœ ও নিরাপদ করতে পুরো হজ ব্যবস্থাপনাকে ডিজিটাইলাইজড করার প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। এ অবস্থায় আগামী ২০ মার্চ থেকে এ বছরের পবিত্র হজব্রত পালনের জন্য অনলাইন প্রাক-নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হবে। এমনটি ঘোষণা দিয়েছেন ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান। শনিবার দুপুরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) আয়োজিত নবম হজ ও ওমরা মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন মন্ত্রী। মন্ত্রী এ বছরের নতুন তথ্য প্রযুক্তি সম্পর্কে বলেন, চুক্তি অনুসারে, অনুমোদিত প্রত্যেক হজ এজেন্সিকে সর্বনিম্ন ১৫০ জন হজযাত্রী প্রেরণ করতে হবে, যা গত বছর ছিল ৫০। নিয়মটি পৃথিবীর সব দেশের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের হজযাত্রীদের ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বা আইডিবির মাধ্যমে টাকা জমা দিয়ে কোরবানি দেয়ার নির্দেশনা দিয়েছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। সৌদি কর্তৃপক্ষ হজ ব্যবস্থাপনায় ই-হজ সিস্টেম চালু করেছে। আমরাও তার সঙ্গে সমন্বয় করে আমাদের হজ ব্যবস্থাপনাকে ডিজিটাল হজ ব্যবস্থাপনায় রূপান্তরিত করেছি। হজ ব্যবস্থাপনাকে আরও সহজ ও স্বচ্ছ করার লক্ষ্যে আমরা এ বছর প্রথমবারের মতো প্রাক-নিবন্ধন পদ্ধতি চালু করতে যাচ্ছি। এ প্রক্রিয়ার সঙ্গে আইটি প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক, পাসপোর্ট, জাতীয় পরিচয়পত্র, পুলিশ ভেরিফিকেশনসহ নানাবিধ বিষয় সংযুক্ত। প্রত্যেক হজযাত্রী যেন সহজে নির্বিঘেœ এবং স্বচ্ছতার মাধ্যমে হজের নিবন্ধন করতে পারেন, সে জন্য আমরা আমাদের নিয়োগ করা আইটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় সফটওয়ার প্রস্তুত, স্থাপন এবং পরীক্ষামূলক চালু করেছি। একই সঙ্গে ধর্ম মন্ত্রণালয় হজ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহের প্রতিনিধিদের প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেছে। তিনি জানান, সরকারী হজযাত্রীদের ক্ষেত্রে ৩০ হাজার টাকা ও বেসরকারী হজযাত্রীদের ক্ষেত্রে ৩০ হাজার ৭৫২ টাকা জমা দিয়ে প্রাক-নিবন্ধন সম্পন্ন করতে হবে। এক্ষেত্রে ব্যাংক একটি প্রাক-নিবন্ধন সনদ দেবে, মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমেও প্রাক-নিবন্ধনের বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে। এরপর ৩০ জুনের মধ্যে হজ প্যাকেজের পুরো টাকা পরিশোধ করে নিবন্ধন করতে হবে। এ সময় অগ্রিম নিবন্ধনের ৩০ হাজার টাকা সমন্বয় করা হবে। পুরো টাকা পরিশোধের পর হজযাত্রীরা একটি পিলগ্রিম আইডি পাবেন। এ আইডি পেলেই হজে যাওয়া নিশ্চিত হয়ে যাবে। উল্লেখ্য, গত ১১ জানুয়ারি হজ প্যাকেজ অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা। ওই বৈঠকে ‘হজ ও ওমরাহ নীতিমালা, ২০১৬’ অনুমোদন দেয়া হয়। প্যাকেজ-১ এ হজযাত্রীদের জন্য খরচ নির্ধারণ করা হয়েছে তিন লাখ ৬০ হাজার ২৮ টাকা। প্যাকেজ-২ এর খরচ নির্ধারণ করা হয়েছে তিন লাখ ৪ হাজার ৯০৩ টাকা। সরকারী ও বেসরকারী সবার জন্যই এ প্যাকেজ দু’টি প্রযোজ্য। মন্ত্রী জানান, হজযাত্রীদের ভিসা, পাসপোর্ট, বিমানপরিবহন, চিকিৎসা, আবাসন, দেশে ও সৌদি আরবে হাজী অবস্থান বিষয়ে খোঁজ-খবর সহজে পাওয়ার জন্য পুরো হজ ব্যবস্থাপনাকে ডিজিটাল প্রযুক্তির আওতায় আনা হয়েছে। হজযাত্রীদের বিভিন্ন সেবা প্রাপ্তির বিষয়ে অবহিত করার জন্যই ৩ দিনব্যাপী এ হজ ও ওমরাহ মেলার আয়োজন করা হয়েছে। হজযাত্রীদের যাতায়াত ও থাকা-খাওয়ার ক্ষেত্রে কোন অসুবিধা হলে দায়ী ব্যক্তি, এজেন্সি, কর্মকর্তা, কর্মচারী যিনিই হোক না কেন তাকে শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে বলে জানান মন্ত্রী। অনুষ্ঠানে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মোঃ আব্দুল জলিল, বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত আবদুল্লাহ এইচএম আল মুতাইরি, হজ এজেন্সিস এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সভাপতি ইব্রাহিম বাহারসহ কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১০ সেপ্টেম্বর জিলহজ সালের পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে।
×