ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

শ্যামপুরে ওয়ার্কশপে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ৫ শ্রমিক দগ্ধ

প্রকাশিত: ০৫:৩৯, ১৩ মার্চ ২০১৬

শ্যামপুরে ওয়ার্কশপে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ৫ শ্রমিক দগ্ধ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীর শ্যামপুর বালুর মাঠে হালিম মোল্ডিং ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপে হাইড্রোলিক গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের আগুনে পাঁচ শ্রমিক দগ্ধ হয়েছেন। তাদের গুরুতর আহতাবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। দগ্ধরা হলেন- মোঃ মিজান (২৫), মোঃ বিল্লাল হোসেন (২৮), মোঃ এনামুল (৩০), রুবেল (১৫) ও মোঃ মজিবর (৪০)। বার্ন ইউনিটের আবাসিক সার্জন ডাঃ পার্থ শংকর পাল জানান, আগুনে মিজানের ৬০ শতাংশ, বিল্লালের ৪৮ শতাংশ, এনামুলের ৪০ শতাংশ ও রুবেলের শরীরের ৯ শতাংশ পুড়ে গেছে। তাদের মধ্যে বিল্লাল, এনামুল ও মিজানের অবস্থা গুরুতর। তাদের শ্বাসনালী পুড়ে গেছে। কদমতলী থানার এসআই সালেহ আহমেদ জানান, শ্যামপুর বালুর মাঠসংলগ্ন ৮ নম্বর প্লটের ৬ নম্বর রোডের মাথায় টিনশেড দিয়ে ঘেরাও করা ওই ওয়ার্কশপে লোহা গলিয়ে পাত তৈরি করা হতো। সেখানেই হাইড্রোলিক গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ওই পাঁচ শ্রমিক দগ্ধ হন। এ ঘটনায় ওয়ার্কশপের মালিক আবদুল হালিমের সঙ্গে পুলিশ যোগাযোগের চেষ্টা করছে বলে তিনি জানান। দগ্ধ বিল্লাল জানান, শ্যামপুর বালুর মাঠের এই ওয়ার্কশপে লোহা ও এ্যালুমিনিয়াম গলিয়ে বিভিন্ন যন্ত্রাংশ ও গ্যাসলাইনের মালামাল তৈরি করা হয়। কারখানার মালিক আব্দুল হালিম। তিনি জানান, শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে কারখানায় কাজ করার সময় হঠাৎ গ্যাসলাইনে বিকট আওয়াজে বিস্ফোরণ ঘটে আগুন ধরে যায়। মুহূর্তে আগুন কারখানায় ছড়িয়ে পড়ে। এতে আমরা পাঁচজন দগ্ধ হই। আমাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন আগুন নেভানোর চেষ্টা চালায়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিভিয়ে আমাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন। ফায়ার সার্ভিসের সদর দফতরের ডিউটি অফিসার পলাশ চন্দ্র জানান, আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে একটি এ্যাম্বুলেন্স ও দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধার করে সবাইকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। তবে কী কারণে গ্যাসলাইনে বিস্ফোরণ ঘটেছে তা নিয়ে তদন্ত চলছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও জানা যায়নি। ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির কর্তব্যরত আর্মড পুলিশের এসআই মোঃ জুলহাস জানান, ঘটনার পর ওই পাঁচ শ্রমিককে মারাত্মক দগ্ধ অবস্থায় ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তাদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
×