ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

ভারত থেকে তুলা আমদানিতে জটিলতা নিরসনের দাবি

প্রকাশিত: ০৪:২০, ১৩ মার্চ ২০১৬

ভারত থেকে তুলা আমদানিতে জটিলতা নিরসনের দাবি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ উন্নত মান, সহজ যোগাযোগ এবং বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কারণে দেশের মোট চাহিদার ৫০ শতাংশ তুলা ভারত থেকে আমদানি করা হয়। তবে ভারত থেকে তুলা আমদানিতে বেশকিছু জটিলতার সম্মুখীন হতে হয় ব্যবসায়ীদের। সেসব জটিলতা যার নিরসনের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস এ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ)। শনিবার রাজধানীর রেডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেনে বাংলাদেশ-ভারত কটন ফেস্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিটিএমএ নেতারা এ দাবি জানান। বিটিএমএ সভাপতি তপন চৌধুরী বলেন, বিশ্বের অন্যতম তুলা উৎপাদনকারী দেশ ভারত। প্রতিবেশী দেশ এবং বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কারণে আমাদের দেশের চাহিদার প্রায় ৫০ শতাংশ তুলা ভারত থেকে আমদানি করা হয়। তিনি বলেন, ভারত থেকে তুলা আমদানির ক্ষেত্রে প্রায়ই ব্যবসায়ীদের বিড়ম্বনার শিকার হতে হয়। হঠাৎ করে তুলা রফতানি বন্ধ, ক্ষতিপূরণ পেতে বিড়ম্বনা বা ক্ষতিপূরণ দিতে অস্বীকারসহ নানা সমস্যা দেখা যায়। ভারতের তুলা রফতানিকারকদের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে এসব সমস্যা দূর করা প্রয়োজন। বিটিএমএ সভাপতি বলেন, আমদানিকৃত তুলার সময়মতো সরবরাহ নিশ্চিত করতে উভয় দেশের মধ্যে একটি চুক্তি করা প্রয়োজন। চুক্তি সম্পাদন হলে আমাদের বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, বর্তমানে বিশ্বের দ্বিতীয় তৈরি পোশাক রফতানিকারক দেশ বাংলাদেশ। ২০২১ সালে ৫০ বিলিয়ন ডলার পোশাক রফতানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ফলে আমাদের প্রচুর পরিমাণে তুলা আমদানি করতে হবে। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে মোট আমদানির ৪৯ শতাংশ ভারত থেকে এসেছে। বাংলাদেশ-ভারত কটন ফেস্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন বিটিএমএ ভাইস প্রেসিডেন্ট ফজলুল হক, বাংলাদেশ কটন এ্যাসোসিয়েশনের (বিসিএ) প্রেসিডেন্ট বাদশা মিয়া, ইন্ডিয়ান কটন এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মাহিশ হালদার, ভারতের হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা প্রমুখ।
×