ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মোস্তফা জব্বার

একুশ শতক ॥ ডিজিটাল অর্থনীতির জন্য প্রয়োজন জ্ঞানকর্মী

প্রকাশিত: ০৩:৪৪, ১৩ মার্চ ২০১৬

একুশ শতক ॥ ডিজিটাল অর্থনীতির জন্য প্রয়োজন জ্ঞানকর্মী

এটি এখন বহুল আলোচিত বিষয় যে, প্রচলিত অর্থনীতিকে ডিজিটাল অর্থনীতিতে রূপান্তর করতে হবে। ২০০৮ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘোষণার পর আমরা সভ্যতাকেই ডিজিটাল করার চেষ্টা করছি। বিশ্বজুড়ে এখন এই বিষয়টি সর্বোচ্চ আলোচ্য বিষয় হয়েছে। সম্প্রতি বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামেও ডিজিটাল অর্থনীতি আলোচিত হয়েছে। ওরা এখন অনুভব করছে যে দুনিয়া চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের পথে হাঁটছে। ডিজিটাল প্রযুক্তি সেই বিপ্লবের হাতিয়ার এবং সারা দুনিয়াতেই ডিজিটাল অর্থনীতি এখন চূড়ান্ত রূপ নিচ্ছে। প্রথমে আমাদের ডিজিটাল অর্থনীতি বলতে কি বোঝায় এটি আগে পরিষ্কার করে বুঝতে হবে। এই বিষয়ে অনেকেরই ভুল ধারণা আছে। ডিজিটাল অর্থনীতি যদি বোঝায় বাংলাদেশ ব্যাংক ডিজিটাইজড্ হয়ে গেছে; ব্যাংকগুলো ডিজিটাইজড্ সেবা দিচ্ছে; মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে গ্রামে-গঞ্জে সাধারণ মানুষের কাছে টাকা পৌঁছে যাচ্ছে; এটিএম ব্যবহার করে টাকা তোলা যাচ্ছে; এ ধরনের কার্যক্রম, তাহলে বলার কিছু নেই। এগুলো হচ্ছে ডিজিটাল অর্থনীতির এক ধরনের প্রদর্শন প্রভাব। ডিজিটাল অর্থনীতি বুঝতে হলে আমাদের অর্থনীতির রূপান্তর সম্পর্কে ধারণা দিতে হবে। একসময় আমাদের এই পৃথিবীর সকল দেশেই ছিল কৃষিভিত্তিক। তারপর কৃষিভিত্তিক সমাজ ভেঙ্গে হলো শিল্পভিত্তিক সমাজ। শিল্পভিত্তিক সমাজ থেকে সেবা ও তথ্য প্রযুক্তিভিত্তিক অর্থনীতির বিকাশ হলো। সমাজ বিকাশের ধারায় উৎপাদনশীলতা হচ্ছে একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। উৎপাদনশীলতার কারণে সমাজ ব্যবস্থায়ও পরিবর্তন এসেছে। ডিজিটাল অর্থনীতি হচ্ছে মেধাভিত্তিক উৎপাদনশীল একটি অর্থনীতি। কৃষি, শিল্প-বাণিজ্য, সেবা খাতকে বাদ দিয়ে তথ্য প্রযুক্তিভিত্তিক সমাজের দিকে এগিয়ে যাওয়ার নাম ডিজিটাল অর্থনীতি নয়। ডিজিটাল অর্থনীতি হচ্ছে মেধাভিত্তিক উৎপাদনশীল অর্থনীতি। ডিজিটাল অর্থনীতি গড়ে তুলতে হলে আমাদের প্রথমে মেধাভিত্তিক মানবসম্পদ প্রয়োজনীয় উপকরণ ব্যবহার করে বেশি মূল্যে সংযোজন করতে পারে। একটি গাড়ি তৈরি করতে প্রয়োজন হয় লোহার। লোহার দাম সারা বিশ্বে একই। এই লোহা দিয়ে টয়োটা, মার্সিডিজ, লেক্সাস ব্র্যান্ডের গাড়ি তৈরির প্রযুক্তিগত জ্ঞান মূল্য সংযোজন বৃদ্ধি করে। এটাই হচ্ছে মেধাবী মানবসম্পদের কাজ। যে দেশে মেধাবী মানবসম্পদ রয়েছে তারাই অর্থনীতিতে একসময় কৃষির অবদান ছিল ৮০ শতাংশ। অথচ তখন ছিল খাদ্য ঘাটতির দেশ। এখন আমাদের অর্থনীতিতে কৃষির অবদান নেমে হয়েছে মাত্র ১৯ শতাংশে। তারপরও বাংলাদেশ এখন খাদ্য উদ্বৃত্তের দেশে পরিণত হয়েছে। এই যে মেধা ও প্রযুক্তির সমন্বয়ে কৃষি উৎপাদন বাড়ানো হয়েছে এটাই হচ্ছে ডিজিটাল অর্থনীতি। আবার উৎপাদিত কৃষিপণ্য সরাসরি ভোক্তা পর্যায়ে পৌঁছানোর জন্য মেধা ও প্রযুক্তির ব্যবহারই হচ্ছে ডিজিটাল অর্থনীতি। উৎপাদনশীলতাকে বাদ দিয়ে ডিজিটাল অর্থনীতি প্রতিষ্ঠা করা যায় না। আধুনিক বিশ্বে মেধাভিত্তিক সম্পদ যাদের বেশি রয়েছে তারা কিন্তু কৃষি, শিল্প-ব্যবসা-বাণিজ্য, সেবা খাতসহ সকল ক্ষেত্রেই এগিয়ে রয়েছে। যার কারণে অনেক শিল্পোন্নত দেশের কৃষি উৎপাদন কৃষিভিত্তিক দেশের তুলনায় বেশি হয়ে থাকে। আমেরিকার অর্থনীতিতে ৩৭ ভাগ অবদান রাখছে মেধাভিত্তিক সম্পদ। চীন, ভারত এখন মেধাভিত্তিক সম্পদ গড়ে তোলার জন্য জাতীয় পর্যায়ে নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। বর্তমান বিশ্বের অর্থনীতিতে বস্তুগত সম্পদের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাই আমাদের অর্থনীতির প্রতিটি খাতের জন্য মেধাভিত্তিক মানবসম্পদ গড়ে তুলতে হবে। তাহলেই ডিজিটাল অর্থনীতি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে। তবে এটা ঠিক আমাদের অর্থনীতি সময়ের প্রয়োজনে ক্রমেই ডিজিটাইজেশনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। এখন প্রয়োজন হচ্ছে যে লক্ষ্যকে সামনে রেখে আইসিটি নীতিমালা গ্রহণ করা এবং তা যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা। যারা নীতিমালা প্রণয়ন করেন তারা অনেক মেধা, শ্রম এবং সময় নিয়োজিত করে থাকেন। কষ্ট লাগে যখন এর পূর্ণাঙ্গ বাস্তব প্রতিফলন দেখা না যায়। আইসিটি নীতিমালা বাস্তবায়নে সরকারের উচ্চপর্যায়ের স্বদিচ্ছা থাকলেও আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে সঠিকভাবে এগুতে পারছে না। যদি সঠিক সময়ের মধ্যে আইসিটি নীতিমালা বাস্তবায়ন করা যায় তাহলে আমাদের ডিজিটাল অর্থনীতি দ্রুত বিকাশ লাভ করবে। দেশের মানুষের একটি সুবিধা হচ্ছে, তারা খুব দ্রুত আপগ্রেড টেকনোলজি নিজেদের আয়ত্তে নিতে পারে। দেশে বর্তমানে ১৩.৩ কোটি মানুষ মোবাইল ফোন ব্যবহার করে এবং প্রায় ৫.৫ কোটি মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকে। এখন ৫ মিনিট যদি ইন্টারনেট বন্ধ থাকে তবে আমাদের অর্থনীতির ওপর যে ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে তা চিন্তাও করা যায় না। অথচ আজ থেকে ১০ বছর আগে ইন্টারনেটের কোন প্রভাবই অর্থনীতিতে ছিল না। ফেসবুক ব্যবহার করে হাজার হাজার তরুণ নিজের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে। অনুমান করা হয় যে ৫ লাখ ফেসবুক ব্যবহারকারী এতে ব্যবসা করে। বিপণন ও সামাজিক যোগাযোগের কথা না হয় উল্লেখই করা হলো না। ফেসবুক থেকে সরাসরি জিনিসপত্র বেচা-কেনা হচ্ছে। এখন আর ভোক্তাকে বাজারে গিয়ে পছন্দের জিনিস কিনতে হচ্ছে না। ইন্টারনেটে জিনিস পছন্দ করে অর্ডার দিলেই তা বাসায় পৌঁছে যাচ্ছে। মূল্য পরিশোধ করে ভোক্তা তা গ্রহণ করতেও পারছে। মানুষ যতটুকু সুযোগ-সুবিধা রাষ্ট্রীয়ভাবে পেয়েছে তা সুন্দরভাবে কাজে লাগাতে পেরেছে। যেটা বর্তমানে ডিজিটাল অর্থনীতি হিসেবে দৃশ্যমান হচ্ছে। মানুষ কিন্তু বসে নেই। তার নিজের প্রয়োজনে এগিয়ে যাচ্ছে। যার সুফলটা পাচ্ছে রাষ্ট্র এবং সরকার। এখানে আরও অনেক বেশি কাজ করার সুযোগ ছিল। পুরো শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজিয়ে বিজ্ঞানভিত্তিক এবং যুগোপযোগী করার দরকার ছিল। তাহলে মেধাভিত্তিক একটি মানব সমাজ আমরা গড়ে তুলতে পারতাম। ডিজিটাল অর্থনীতির জন্য মেধাভিত্তিক মানবসম্পদের কোন বিকল্প নেই। আমাদের মানবসম্পদের ৯০ শতাংশই এখনও কায়িক শ্রমের ওপর নির্ভরশীল। তাদের যদি মেধাভিত্তিক সম্পদে পরিণত করা যায় তাহলে সত্যিকার ডিজিটাল অর্থনীতির দিকে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হতো। প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত আমূল পরিবর্তন আনতে হবে। শিক্ষার মূল লক্ষ্য হবে উৎপাদনশীলতা বাড়ানো। থাইল্যান্ডের জাতীয় নীতিমালা হচ্ছে তারা যাই উৎপাদন করুক না কেন এর মাধ্যমে ১৫ শতাংশ সৃজনশীলতার মাধ্যমে মূল্য সংযোজন বাড়াতে হবে। এই মূল্য সংযোজন বাড়াতে হলে মেধাবী মানবসম্পদ তৈরি করতে হবে। সৃজনশীলতা বাড়ানো এবং মূল্য সংযোজন বৃদ্ধির উপযোগী মানব সম্পদ আমাদের গড়ে তুলতে হবে। দেশে ৪০টি সরকারী-বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার সায়েন্স এ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ানো হয়। এখান থেকে যারা পাস করে বের হচ্ছে তারা যে খুব ভাল করতে পারছে এমনটাও নয়। কম্পিউটার সায়েন্সে পড়া শতকরা ৫জন ছাত্রছাত্রীকে প্রোগ্রামার হিসেবে পাওয়া যায় না। আমাদের দেশে উচ্চশিক্ষার সঙ্গে সৃজনশীলতা বাড়ানোর কোন সংযোগ নেই। যার কারণে উচ্চশিক্ষার হার বাড়লেও মেধাবী মানবসম্পদের পরিমাণ বাড়ছে না। প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার গুণগতমান যেমন বাড়াতে হবে তেমনি শিক্ষা ব্যবস্থাকেও যুগোপযোগী করতে হবে। বাংলাদেশে ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশনে যাওয়ার পথে বড় বাধা ও কঠিন চ্যালেঞ্জ হচ্ছে আমলাতন্ত্র। সরকারের গুটিকয়েক লোক ছাড়া পুরো আমলাতন্ত্রে ডিজিটাইজেশনের বিরুদ্ধে। তবে সাধারণ মানুষ ডিজিটাইজেশনের পক্ষে। আমরা দেখেছি সিলেটে রাজন হত্যাকা- ইউটিউব এবং ফেসবুকে প্রচারের পর সরকার খুনীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হয়েছে। সাধারণ মানুষ খুনীকে চিহ্নিত করে সৌদি আরবে ধরতে সক্ষম হয়েছে। ডিজিটাইজেশনের কারণে খুনীর অপরাধ সম্পর্কে কোন সাক্ষী ছাড়াই জানা সম্ভব হয়েছে। এতে বিচারও সুষ্ঠু হয়েছে। এটি হচ্ছে ডিজিটাইজেশনের দৃশ্যমান ফল। এটা প্রমাণিত হয়েছে যে ডিজিটাইজেশন হচ্ছে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য। যার কারণে অনেকে নিজেদের কৃতকর্ম আড়াল করার স্বার্থে ডিজিটাইজেশনের বিরুদ্ধে অবস্থান করছে। তরুণ সমাজের মাঝে আমরা ডিজিটাইজেশনের পক্ষে যে জোয়ার দেখছি তা কোন বাধা দিয়ে আটকিয়ে রাখা সম্ভব হবে না। জনগণ যেভাবে প্রযুক্তিগত পরিবর্তনের সঙ্গে চলতে চাচ্ছে তার সঙ্গে সরকারের প্রশাসন যন্ত্রকেও সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। তবে কঠিন বাস্তবতা হচ্ছে দুনিয়ার সকল কিছু বদলানো যায় শুধু ব্রিটিশ ধাঁচের আমলাতন্ত্র ছাড়া। ২০০৯ সালে যে আইসিটি পলিসি আমরা প্রণয়ন করেছি সেখানে লক্ষ্যমাত্রা পূরণের সময়কাল সুনির্দিষ্ট করে দেয়া হয়েছে। বাস্তবতা হচ্ছে সরকারের টাইম লাইনের আগেই মানুষ সকল বাধা অতিক্রম করে এগিয়ে গেছে। মানুষ এগিয়ে গেলেও আমলাতন্ত্রের কারণে ডিজিটাইজেশনে সরকার পিছিয়ে রয়েছে। ব্রিটিশরা আমাদের অফিসের কেরানী, কল-কারখানার শ্রমিক তৈরি করার যে শিক্ষা পদ্ধতি দিয়ে গেছে এটা অর্থনীতির জন্য এখন বিশাল একটা বোঝা। এই বোঝা কমাতে হলে আমাদের প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন করে উৎপাদনশীল বিজ্ঞানভিত্তিক শিক্ষা চালু করতে হবে। আমাদের অর্থনীতি যেভাবে রূপান্তর হচ্ছে এর সঙ্গে চাহিদা অনুযায়ী মানবসম্পদ গড়ে তুলতে হবে। না পারলে অর্থনীতি গতিশীল ও শক্তিশালী হয়ে উঠবে না। নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশ থেকে উচ্চ আয়ের দেশে উন্নীত হতে হলে আমাদের অবশ্যই ডিজিটাল অর্থনীতি বাস্তবায়ন করার উদ্যোগ নিতে হবে। আমাদের প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থা হচ্ছে ক্ষতস্থানে মলম লাগানোর উপযোগী। শিক্ষা ব্যবস্থার আমূল সংস্কার না করা হলে ডিজিটাল অর্থনীতিতে এগিয়ে যাওয়া কঠিন হয়ে যাবে। সরকারের প্রশাসন যদি ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশনে চলে যায় তাহলে সেখানে অনেক মেধাবী লোকবলের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। যাদের সৃজনশীলতা আছে তারা দেশে প্রত্যাশা অনুযায়ী কাজ না পাওয়ার কারণে বর্তমানে বিদেশ চলে যাচ্ছে। তারা সেখান থেকে আয় করে রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছে। দেশে বিশাল সফটওয়্যার মার্কেট রয়েছে। আমরা যদি দেশীয় সফটওয়্যার ব্যবহার করি তাহলে যারা আইটি প্রফেশনাল হিসেবে ক্যারিয়ার গড়তে এসেছে তারা সুন্দরভাবে কাজ করতে পারবে। দেশে যদি কোর ব্যাংকিং সলিউশন তৈরি হয় তাহলে বেশি দামে বিদেশী সফটওয়্যার ব্যবহার করার প্রয়োজন আছে কি? আমাদের জাতীয় নীতিমালা হওয়া উচিত আমরা যা উৎপাদন করি তা যেন আমদানি না করি। ভারত এই নীতিমালা প্রয়োগ করে সকল ক্ষেত্রে অগ্রসর হতে পেরেছে। যে ব্যাংকগুলো বিদেশী সফটওয়্যার ব্যবহার করছে তার দেশী সফটওয়্যার ব্যবহারে উদ্যোগ নিতে পারে এবং কোর ব্যাংকিং সলিউশন তৈরিতে সহায়তা করতে হবে। আমরা দেশে যদি সফটওয়্যার তৈরিতে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারি তাহলে তা রফতানিতেও ব্যবহার করতে পারব। ডিজিটাইজেশন এমন একটি প্রক্রিয়া যা দেশের সমাজ, রাজনীতি, অর্থনীতি, শিক্ষা-সংস্কৃতি সকল কিছুকেই প্রভাাবিত করবে। ডিজিটাল অর্থনীতি অগ্রসর করার জন্য দেশে মানুষের যে আগ্রহ এবং চাপ রয়েছে আমি মনে করি এর মাধ্যমে ব্যাপক পরিবর্তন আসতে বাধ্য। আমরা সামন্ততান্ত্রিক ও পুঁজিবাদী সমাজের মধ্যে সাধারণ মানুষের ক্ষমতায়ন যদি চাই তাহলে সেটা একমাত্র তথ্য-প্রযুক্তি দিয়েই সম্ভব হবে। তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি হচ্ছে এখন সামাজিক যোগাযোগ এবং অর্থনৈতিক যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের যে চেতনা ছিল সাম্যবাদী সমাজ গড়ে তোলা সেটা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে। ঢাকা, ১১ মার্চ, ২০১৬ লেখক : তথ্যপ্রযুক্তিবিদ, দেশের প্রথম ডিজিটাল নিউজ সার্ভিস আবাস-এর চেয়ারম্যান, বিজয় কীবোর্ড ও সফটওয়্যারের জনক ॥ [email protected] www.bijoyekushe.net,ww w.bijoydigital.com
×