ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মোবাইল ফোনে দেখা যাবে দারুণ সব ভিডিও

প্রকাশিত: ০৬:০৫, ১২ মার্চ ২০১৬

মোবাইল ফোনে দেখা যাবে দারুণ সব ভিডিও

মোবাইল ফোনে এখন সিনেমাও দেখা যাচ্ছে। আর গান শোনা বা ভিডিও ক্লিপিংস তো অনেক পুরনো। যদিও সিনেমার ক্লিপিংস অনেক আগে থেকেই মোবাইল ফোনে দেখা যায়। এখন মেমোরি কার্ডের সম্প্রসারণের ফলে এবং ভিডিও এ্যানক্রিপশন সহজ হবার কারণে পুরো সিনেমাই মোবাইল ফোনে লোড করা যায়। যারা ঘন ঘন ভ্রমণ করেন তাদের জন্য ভ্রমণকালীন সিনেমা দেখার খুব ভাল উপায় হচ্ছে মোবাইল ফোন। মোবাইল ফোনে ভিডিও দেখার অনেক ফরমেট আছে। এগুলোর মধ্যে এমপি৪, এএসএফ, ৩জিপি ইত্যাদি জনপ্রিয়। ইন্টারনেট থেকে এ ধরনের ভিডিও ফাইল ডাউনলোড করে মোবাইল ফোনে দেখার ব্যবস্থা করা যায়। মোবাইল ফোন সেট কোন ধরনের ভিডিও ফাইল সাপোর্ট করে। জনপ্রিয় ভিডিও ফাইল এক্সটেনশনগুলো এখন সব মোবাইল ফোনেই সাপোর্ট করে। প্রত্যেক ফোনে একটি নির্দিষ্ট ফোল্ডারেই ভিডিও ফাইল রাখতে হয়। তাহলে সরাসরি প্লেলিস্ট থেকে ভিডিও চালানো যায়। এটা একেক ফোনে একেক ফোল্ডারে থাকে এবং জেনে নিতে হবে। মোবাইল ফোনে ভিডিও দেখার ব্যবস্থা দুভাবে করা যায়। এর মধ্যে একটি হচ্ছে ভিডিও ডাউনলোড করে তা দেখা বা পডকাস্টিং আর অন্যটি হচ্ছে স্ট্রিমিং বা ডাউনলোড হবার সময়েই দেখা। এ দুই ধরনের ভিডিও ব্যবস্থাকে মোবাইল ভিডিও কনটেন্ট বলা হয়। ভিডিও মোবাইল কনটেন্ট হচ্ছে মোবাইল ফোনে ভিডিওর সাপোর্ট। চিত্রভিত্তিক মোবাইল ফোন কনটেন্টের হাত ধরে এখন ভিডিও মোবাইল কনটেন্টের জয়জয়কার। এখনকার বেশিরভাগ মোবাইল ফোনেই এই সুবিধা পাওয়া যায়। অনেক ধরনের মোবাইল ফোন ভিডিওর ফাইল ফরমেটের মধ্যে চারটি ফরমেট খুব জনপ্রিয়। এই ফরমেটগুলো বেশিরভাগ মোবাইল ফোন সাপোর্ট করে। এগুলো হচ্ছে থ্রিজিপি, এমপিইজি ফোর, আরটিএসপি এবং ফ্ল্যাশ লাইট। ইদানীং স্মার্ট মুভি একটি জনপ্রিয় এক্সটেনশন সিমবিয়ান অপারেটিং সিস্টেমসম্বলিত মোবাইল ফোনগুলোতে।আর যদি পছন্দসই কোন ভিডিও যেমন গান বা সিনেমা কম্পিউটার থেকে বা ডিভিডি থেকে মোবাইল ফোনে চালানোর জন্য কনভার্ট করে নিতে হবে। এমন অনেক কনভার্সন সফটওয়্যার পাওয়া যায়। মোবাইল ফোনের জন্য এমন জনপ্রিয় কনভার্টার হচ্ছেÑ ঠগউ-গঙঠওঊ গঅকঊজ, জিওএম কনভার্টার, জেট অডিও ইত্যাদি। শুধু আউটপুট ফাইল ফরমেট সিলেক্ট করে নিতে হবে এমপি৪, এএসএফ, ৩জিপি ইত্যাদিতে। সাধারণত কনভার্সনে একটু সময় লাগে। তবে কনভার্সন যত বেশি শক্তিশালী কম্পিউটার ব্যবহার করা হবে তত দ্রুত কনভার্ট হবে। আর এই কনভার্সনের সময় কম্পিউটার দিয়ে অন্য কোন কাজ না করাই ভাল। এতে কোয়ালিটি নিয়ে কোন সমস্যা হবার কথা নয়। মোবাইল ভিডিও শুধু নয়, যে কোন ভিডিওতে ফ্রেম রেট একটা বড় ব্যাপার। ফ্রেম রেট হচ্ছে ভিডিওর ক্ষেত্রে প্রতি মিনিটে কত ফ্রেম বা সিকোয়েন্স বা ছবি আপডেট হয় তার হার। ভিডিওর ফ্রেম রেট যত হবে সেই ভিডিওর কোয়ালিটি তত ভাল হবে। ডিভিডি বা ব্লু-রে ভিডিওতে সিকোয়েন্সের পাশাপাশি এই ফ্রেম রেটও অনেক বেশি থাকে বলে সেগুলোর কোয়ালিটি বেশ ভাল থাকে। মোবাইল ফোনের ভিডিওর ক্ষেত্রে ভিডিওর কোয়ালিটি একটি বড় ব্যাপার। একটু সার্চ করলেই অনেক ওয়েবসাইট পাওয়া যাবে যেগুলোতে মোবাইল ভিডিও পাওয়া যাবে। কিছু কিছু ওয়েবসাইট আছে যেখানে শুধু মোবাইল ফোনের গান বা মোবাইল ফোনের জন্য সিনেমা পাওয়া যায়। এগুলো মেমরি কার্ডে বা ফোনে সেভ করা যাবে। বেশি বেশি ভিডিও বা সিনেমা মোবাইল ফোনে সেভ করতে চাইলে অন্তত চার গিগাবাইটের মেমোরি কার্ড মোবাইলে সংযুক্ত করতে হবে।
×