ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

চোট শঙ্কায় জাতীয় ফুটবল দলের অনুশীলন...

প্রকাশিত: ০৫:৫১, ১২ মার্চ ২০১৬

চোট শঙ্কায় জাতীয় ফুটবল দলের অনুশীলন...

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ সামনেই বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচ। তার আগে একটি প্রস্তুতি ম্যাচ। হাতেও সময় আর বেশি নেই। কাজেই দম ফেলারও ফুরসত নেই। চলছে ঘাম ঝরানো অনুশীলন। সেটা নয়া দ্রোণাচার্যের অধীনে। বলা হচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের কথা। ইনজুরি সমস্যা আর শৃংখলা ভঙ্গের অভিযোগে জাতীয় দলের দশ খেলোয়াড় ক্যাম্পের বাইরে। চলছে নবীনদের নিয়ে অনুশীলন। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে জর্দানের বিপক্ষে নিয়ম রক্ষার শেষ ম্যাচ আগামী ২৪ মার্চ জর্দানের আম্মানে। দু’বেলা অনুশীলনের প্রথম পর্বে রিকভারি সেশন এক সপ্তাহের। সেটা শেষ হয়েছে ইতোমধ্যেই। হেড কোচ গঞ্জালো সানচেজ মরেনোর চাওয়া ছিল এমনটাই। জাতীয় দলের ক্যাম্পে ২৪ ফুটবলার। কিন্তু গত ২৯ ফেব্রুয়ারি অনুশীলন শুরু করে একদিনও সবাইকে একসঙ্গে পাননি কোচ মরেনো! চারজন আছেন শেখ জামাল ধানম-ি ক্লাবের এএফসি কাপের ক্যাম্পে। আবাহনীর পক্ষে ৯, মোহামেডানের ২ ও নৌবাহিনীর হয়ে একজন মাগুরা টুর্নামেন্টে খেলেছেন। প্রথমোক্ত দু’দলের হয়ে ১৪ মার্চ ১১ ফুটবলার টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলতে যাবেন। অথচ ১৬ মার্চ জাতীয় দল আম্মান যাবে জর্দানের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাই ম্যাচ খেলতে। যাত্রাপথে দুবাইয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে ফিফা প্রীতি ম্যাচ খেলবে আগামী ১৮ মার্চ। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার আবাহনীর সঙ্গে একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলে জাতীয় দল। খেলাটি গোলশূন্য ড্র হয়। আবাহনীর হয়ে খেলেন জাতীয় দলের ক্যাম্পে থাকা ওয়ালী ফয়সাল, ইমন বাবু ও ছোট শাহেদ, জাতীয় দলের লাল জার্সিতে জীবন, জুয়েল, আরিফ ও শাকিল। এদিকে চোট সমস্যা দেখা দিয়েছে জাতীয় দলে। নাসিরের জ্বর, রনির গোড়ালিতে চোট, আবাহনীর সঙ্গে ম্যাচ খেলে হাঁটুতে ব্যথা পেয়েছেন ফাহাদ ও বাজে ট্যাকলিংয়ে পা কেটে গেছে রেজাউলের। জীবনও শতভাগ ফিট দেখছেন নন। ম্যাচে নিশ্চিত গোলের সুযোগ পেলেও কাজে লাগাতে পারেনি গঞ্জালোর দল। জর্দান ম্যাচের আগে আামী ১৮ মার্চ সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে লাল সবুজের প্রতিনিধিরা। আরব আমিরাত এবং জর্দানের বিপক্ষে ম্যাচে গোলরক্ষকদের কঠিন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হবে। এমনটাই মনে করেন বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের গোলরক্ষক প্রশিক্ষক আতিকুর রহমান। তবে বাকি সময়টুকুতে নিজেদের ঠিকভাবে প্রস্তুত করে তুলতে পারলে এই দুই ম্যাচেও বাংলাদেশের গোলরক্ষকরা ভাল করবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। তিনি বলেন, ‘কোন সন্দেহ নেই, জর্দান অনেক ভাল ও শক্তিশালী দল। তাদের বিপক্ষে আমাদের ম্যাচটি চ্যালেঞ্জিং হবে। এর আগে তারা আমাদের চার গোলে হারিয়েছে। এবার আমাদের লক্ষ্য থাকবে আমাদের গোলপোস্ট যতটা সম্ভব সুরক্ষিত রাখা। আমাদের গোলরক্ষকদের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যে আমি এগুলো নিয়ে কাজ করবো।’ রাশিয়া বিশ্বকাপ বাছাইয়ে এখন পর্যন্ত সাত ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। যেখানে দুই গোল করার বিপরীতে বেঙ্গল টাইগাররা হজম করেছে ২৪ গোল! এই পরিসংখ্যানেই স্পষ্টÑ প্রতিপক্ষের ফরোয়ার্ডদের কাছে কতটা অসহায় ছিল বাংলাদেশের গোলরক্ষকরা। কয়েক মাসের ব্যবধানে আবারও এমনই পরীক্ষার সম্মুখীন হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ঘরের মাঠে জর্দানের বিপক্ষে ৪-০ ব্যবধানে হেরেছিল বাংলাদেশ। এবার লড়াইটা প্রতিপক্ষের মাঠে হচ্ছে বলে চোখ রাঙ্গাচ্ছে আরও ভয়ঙ্কর কিছু। পাশাপাশি আরব আমিরাতের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচটিতেও হিমেল-লিটন-রানাদের কঠিন পরীক্ষায় পড়তে হবে বলে মনে করছেন গোলকিপিং কোচ আতিকুর রহমান আতিক। এদিকে নিষিদ্ধের প্রক্রিয়ায় থাকায় দলে ডাক পাননি গত কয়েক ম্যাচে আলো ছড়ানো গোলরক্ষক শহীদুল আলম সোহেল। তাই কোচের প্রশিক্ষণ চলছে মাজহারুল ইসলাম হিমেল, আশরাফুল ইসলাম রানা আর রাসেল মাহমুদ লিটনকে ঘিরেই। কিন্তু এখান থেকে কেউ চোটে পড়লে সেটা দলের জন্য চরম দুর্ভোগ বয়ে আনতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেন আতিক।
×