চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াং বলেছেন, সহিংসতাপ্রবণ জিনজিয়াংয়ের পশ্চিমাঞ্চলে জাতিগত উইঘুরদের প্রাণকেন্দ্রের উন্নয়নের জন্য আরও সচেষ্ট হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। অঞ্চলে যুবকদের অর্থ উপার্জনে কিছু না কিছু করার সুযোগ রয়েছে তা নিশ্চিতের জন্য তিনি এ উন্নয়নের আহ্বান জানান। জিনজিয়াংয়ের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি এ কথা বলছিলেন। খবর ওয়েবসাইটের।
সরকার বলেছে, তারা জ্বালানিসমৃদ্ধ জিনজিয়াংয়ে ইসলামপন্থী জঙ্গী ও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের মারাত্মক হুমকির মোকাবেলা করছেন অত্যন্ত দৃঢ়তার সঙ্গে। মধ্য এশিয়ার সীমান্তসংলগ্ন কৌশলগত এলাকায় জিনজিয়াংয়ের অবস্থান। সম্প্রতি কয়েক বছর ধরে চলমান সহিংসতায় এখানে নিহত হয়েছে কয়েক শ’ মানুষ। নির্বাসিত ব্যক্তিরা ও মানবাধিকার গ্রুপগুলো বলেছে, সরকারের বিরুদ্ধে লড়াইরত কোন সুসংহত জঙ্গী গ্রুপের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার কোন বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেনি সরকার। তারা বলেন, জিনজিয়াংয়ে বসবাসরত মুসলিম উইঘুরদের সংস্কৃতি ও ধর্মের ওপর নিয়ন্ত্রণের কারণে তারা হতাশ হয়ে পড়েছে এবং এ হতাশা থেকে জন্ম নিয়েছে অসন্তোষের। চীনের রাষ্ট্রীয় দৈনিক জিনজিয়াং ডেইলি শুক্রবার জানিয়েছে, চীনের বাৎসরিক পার্লামেন্ট অধিবেশনে জিনজিয়াংয়ের প্রতিনিধিদের উদ্দেশে লি বলেন, অঞ্চলটি এক বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত অবস্থানে রয়েছে। অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন জিনজিয়াংয়ের কমিউনিস্ট পার্টি প্রধান ও গবর্নরও। লি বলেন, জিনজিয়াংয়ের উন্নয়ন ও স্তিতিশীলতা নির্ভর করছে জাতীয় ও জাতিগত ঐক্য এবং জাতীয় নিরাপত্তার ওপর। তিনি বলেন, তিনি মনে করেন যে, জিনজিয়াং বর্তমানে সাধারণভাবে স্থিতিশীল রয়েছে। চীনের চতুর্থ পর্যায়ের নেতা ইউ জেংশেং গত সেপ্টেম্বরে জিনজিয়াংয়ের দক্ষিণাঞ্চল সফরকালে বলেছেন, এ অঞ্চল বিচ্ছিন্নতাবাদবিরোধী লড়াইয়ের প্রধান রণাঙ্গন। উইঘুর অধ্যুষিত এ এলাকায়ও সাম্প্রতিক কয়েক বছর ধরে চলছে অসন্তোষ। লি দক্ষিণাঞ্চল সম্পর্কে বলেন, উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতার জন্য শিক্ষা হচ্ছে এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ। বিশেষ করে এ অঞ্চলে আপনাদের বিশেষ করে দৃষ্টি দিতে হবে শিক্ষার প্রতি।