ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

অধিকাংশ মুসলিম মার্কিন পরিচয়ে গর্বিত ॥ রুবিও

প্রকাশিত: ০৫:৩৬, ১২ মার্চ ২০১৬

অধিকাংশ মুসলিম মার্কিন পরিচয়ে  গর্বিত ॥ রুবিও

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান মনোনয়নপ্রত্যাশী ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ফ্লোরিডার সিনেটর মার্কো রুবিও বৃহস্পতিবার মায়ামিতে ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের নিয়ে বিতর্ক করেছেন। এদিকে মিশিগানের অবসরপ্রাপ্ত নিউরোসার্জন বেন কারসন ট্রাম্পের পক্ষে নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ১৫ তারিখ ফ্লোরিডায় প্রাইমারি হবে। খবর ওয়াশিংটন পোস্ট ও বিবিসি অনলাইনের। ১৫ তারিখের প্রাইমারি রুবিওর জন্য বাঁচা-মরার লড়াই। কারণ প্রাইমরিটি হচ্ছে তার নিজ অঙ্গরাজ্যে। এর আগের কয়েকটি প্রাইমারিতে তিনি শোচনীয়ভাবে খারাপ ফল করেছেন। তাই মঙ্গলবারের প্রাইমারিতে তাকে জিততেই হবে। এতে হেরে যাওয়ার অর্থ প্রতিযোগিতা থেকে বাদ পড়া। এদিন ওহাইওতেও প্রাইমারি হবে। ওহাইওর গবর্নর জন ক্যাসিক প্রতিযোগিতায় অনেক পেছনে পড়ে থেকে নিজ অঙ্গরাজ্যে জেতার জন্য চাপের মুখে আছেন। বৃহস্পতিবার টেলিভিশনে প্রচারিত মায়ামি বিতর্কে ট্রাম্প বলেন, ‘মুসলিমরা পশ্চিমাদের ঘৃণা করে।’ অন্যদিকে রুবিও বলেন, মুসলিমদের মধ্যে চরমপন্থার সমস্যা রয়েছে তবে আমেরিকার অধিকাংশ মুসলিম নিজেদের মার্কিন পরিচয়ের জন্য গর্বিত। এর আগের টেলিভিশন বিতর্কে যত ব্যক্তিগত কাদা ছোড়াছুড়ি বেশি হয়েছিল বৃহস্পতিবার সে রকম কিছু হয়নি। বরং মনোনয়নপ্রত্যাশী চার প্রার্থীই বিভিন্ন ইস্যুতে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরা ও প্রতিপক্ষকে আঘাত হানার চেষ্টা করেছেন। মুসলিম ইস্যুতে ট্রাম্পের সঙ্গে অপর তিন প্রতিদ্বন্দ্বীর স্পষ্ট পার্থক্য লক্ষ্য করা গেছে। ট্রাম্প যেমন দাবি করেছেন, সন্ত্রাসের দায়ে অভিযুক্তের পরিবারের সদস্যদেরও মেরে ফেলা উচিত। তার এ কথার সঙ্গে বাকি তিনজনের কেউই একমত হননি। ‘মুসলিমরা পশ্চিমাদের ঘৃণা করে’- এমন উক্তি ট্রাম্প কয়েকদিন আগেও করেছিলেন এবং বৃহস্পতিবারের বিতর্কে সেটি আবার পুনরুল্লেখ করে রাজনৈতিকভাবে সংশোধন দাবি করেন। এর জবাবে রুবিও বলেন, ‘রাজনৈতিক সংশোধনের বিষয়ে আমার আগ্রহ নেই। কেবলমাত্র সংশোধিত হওয়ার বিষয়টির প্রতি আমার আগ্রহ আছে।’ বিতর্কের কয়েক ঘণ্টা আগে মিশিগানের অবসরপ্রাপ্ত নিউরোসার্জন বেন কারসন ট্রাম্পের পক্ষে সমর্থন ব্যক্ত করেছেন। কারসন গত সপ্তাহে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন। এর আগে নিউজার্সির গবর্নর ক্রিস ক্রিস্টি প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে এসে ট্রাম্পের পক্ষে সমর্থন জানিয়েছিলেন। পর পর দুই মনোনয়নপ্রত্যাশীর প্রতিযোগিতা থেকে বিদায় নেয়া ও তাদের সমর্থন পাওয়া ট্রাম্পের জন্য একটি বড় অর্জন। ট্রাম্পের প্রতি বেন কারসনের সমর্থনে অনেককে অবাক করেছে। কারণ ট্রাম্প ইতোপূর্বে কারসনের অতীত ইতিহাস নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। ট্রাম্পের পক্ষে সমর্থন জানিয়ে ফক্স নিউজ রেডিওকে কারসন বলেন, ‘টেলিভিশনের পর্দার সামনের ও আড়ালের ডোনাল্ড ট্রাম্প যেন দুজন আলাদা মানুষ। পর্দার পেছনের ট্রাম্পকে আমি চিনি। তাকেই আমি সমর্থন জানিয়েছি।’ কারসনের সমর্থন ট্রাম্পকে দলীয় ভোটার ও উগ্র ইভানজেলিকদের মধ্যে যে এগিয়ে রাখবে তাতে সন্দেহ নেই। আগামী সপ্তাহে বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এক ঐতিহাসিক সফরে কিউবা যাচ্ছেন। ওবামার কিউবা সফরের ইস্যুটিও রিপাবলিকানদের বিতর্কে স্থান পায়। রুবিও একজন কিউবান অভিবাসীর সন্তান হলেও তিনি বলেছেন, ‘মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত কিউবার সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিককরণের উদ্যোগ সঠিক নয়।’ ট্রাম্প যদিও এর আগে বিভিন্ন সময়ে অভিবাসীবিরোধী বক্তব্য রেখেছেন কিন্তু ওবামার কিউবা সফরের সমালোচনা করেননি। তিনি বলেন, বিষয়টি যুুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থের অনুকূলে হতে হবে। অপর তিন মনোনয়নপ্রত্যাশী এর পর ট্রাম্পের সমালোচনা করে বলেন, তিনি ওবামা-ক্লিনটনের কিউবা নীতিকেই সমর্থন করছেন। নিউইয়র্কের বিলিওনিয়ার ট্রাম্প ইতোপূর্বে রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা না থাকলেও এবার রিপাবলিকান মনোনয়ন প্রতিযোগিতায় নেমে মিডিয়ার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পেরেছেন।
×