ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

কমেছে ডাল ও ডিমের দাম

বাজারে গ্রীষ্মকালীন সবজি ও ফল আসতে শুরু করলেও দাম বেশি

প্রকাশিত: ০৫:০১, ১২ মার্চ ২০১৬

বাজারে গ্রীষ্মকালীন সবজি ও ফল আসতে শুরু করলেও দাম বেশি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ গরম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কাঁচা বাজারে আসতে শুরু করেছে গ্রীষ্মকালীন সবজি। এসব সবজির মধ্যে রয়েছে- করলা, বরবটি, ঢেঁড়স, মিষ্টি কুমড়া, কাঁচকলা, পেঁপে, কচু প্রভৃতি। চাহিদা থাকায় এসব সবজি বিক্রি হচ্ছে ভাল দামে। বিশেষ করে ক্রেতারা বাজারে গিয়েই খোঁজ করছেন করলা ও পেঁপের। ২০ থেকে ৫০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে এসব সবজি। ধীরে ধীরে কমে আসছে শীতকালীন সবজি। এ ছাড়া পেঁয়াজের ঝাঁঝ ফের বাড়তে শুরু করলেও দাম কিছুটা কমেছে রসুনের। দাম কমার তালিকায় আছে ডাল ও ডিম। এ ছাড়া চাল, চিনি, আটা ও ভোজ্যতেলসহ অন্যান্য নিত্যপণ্যের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দর-দামের এসব তথ্য পাওয়া গেছে। এ ছাড়া টানা তিন মাস দাম বাড়লেও এ সপ্তাহে কেজিপ্রতি দাম কমেছে দেশী ও আমদানি করা রসুনের। রসুন দেশী ৩০ টাকা কমে মান ও বাজারভেদে ৯০ থেকে ১০০ টাকা প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে। আর আমদানি রসুন প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে বাজারভেদে ২০০ থেকে ২২০ টাকায়। দাম কমে যাওয়ার প্রসঙ্গে বিক্রেতারা জানান, বাজারে রসুনের মজুদ বেড়েছে। এ কারণে কিছুটা কম দামে বিক্রি হচ্ছে। তবে ক্রেতারা বলছেন, বেশি লাভের আশায় অতিরিক্ত রসুন মজুদ করায় কিছুটা দাম কমেছে। আগামী সপ্তাহে আবার দাম বাড়তে পারে। এ ছাড়া বাজারে পেঁয়াজের দাম আবার কিছুটা বেড়েছে। বাজারভেদে দেশী পেঁয়াজ ৩৫ থেকে ৪০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। আর আমদানি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। আলু বিক্রি হচ্ছে আগের দামেই। প্রতিকেজি আলু এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকা। এ ছাড়া গত সপ্তাহের থেকে ২০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ফার্মের মুরগি। ব্রয়লার প্রতিকেজি ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতিকেজি লেয়ার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়। গরু ও খাঁসির মাংস আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। প্রতিকেজি গরুর মাংস ৩৮০ টাকা এবং খাসির মাংস ৫৬০ থেকে ৫৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজার ও ডিমের আকার ভেদে রাজধানীর বাজারে ডিম বিক্রি হচ্ছে প্রতিহালি ৩৪ থেকে ৩৬ টাকায়। দেশী মুরগির ডিমের হালি ৪৫ টাকা। হাঁসের ডিমের হালি ৪৬ টাকা। এদিকে, সরবরাহ কিছুটা কমলেও অপরিবর্তিত দামে বিক্রি হচ্ছে শীতকালীন সবজি। ফুলকপি, বাঁধাকপি প্রতি পিস ২০ থেকে ২৫ টাকা ও টমেটো বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা কেজিতে। কাঁচামরিচ কেজিপ্রতি ৪০ টাকা, ধনেপাতা ৪০ টাকা কেজি, শালগম ২০ টাকা, বেগুন জাতভেদে ৪০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শিম প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। এ ছাড়া স্থিতিশীল রয়েছে মাছের বাজার। বাজারে তেলাপিয়া মাছ বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ১২০ থেকে ১৫০ টাকায়, রুই মাছ প্রতিকেজি ১৬০ থেকে ২৮০, কাতলা মাছ ২২০ থেকে ৩২০ টাকা, সিলভার কার্প ১৮০ থেকে ২৪০, সরপুঁটি ২২০ থেকে ২৬০, চিতল মাছ ৪৬০ থেকে ৫৫০, দেশী শিং মাছ ৫৫০ থেকে ৬৫০, মাগুর মাছ ৬০০ থেকে ৭০০, কৈমাছ ২৬০ থেকে ৪০০ টাকা, শোল মাছ ৪০০ থেকে ৫৫০, বোয়াল মাছ ৪৫০ থেকে ৫০০, পাঙ্গাশ ১৩০ থেকে ১৬০, ফার্মের কৈ ২০০ থেকে ২২০ টাকা। এ ছাড়া ছোট সাইজের ইলিশ মাছ ৭০০ থেকে ৮৫০, পোয়া মাছ ১৮০ থেকে ৩০০, সুরমা মাছ ৪০০ থেকে ৪৫০, চিংড়ি ৫৫০ থেকে ৬০০, কোরাল ২২০ থেকে ৪০০, কালো রূপচাঁদা ৩০০ থেকে ৩৫০, সাদা রূপচাঁদা ৭৫০ থেকে ৯০০, লইট্যা মাছ বিক্রি হচ্ছে কেজি ১০০ থেকে ১২০ টাকায়।
×