ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

নবম গ্রেড এন্ট্রি পদ করে বেতন বৈষম্য নিরসন

প্রকাশিত: ০৭:৫৫, ১১ মার্চ ২০১৬

নবম গ্রেড এন্ট্রি পদ করে বেতন বৈষম্য নিরসন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ নবম গ্রেডকে এন্ট্রি পদ করে প্রথম শ্রেণীর ক্যাডার, নন-ক্যাডারসহ বিভিন্ন সংস্থায় সরাসরি নিয়োগপ্রাপ্তদের একই বেতন স্কেল দেয়া হবে। তবে ক্যাডারভুক্তরা একটি ইনক্রিমেন্ট পাবেন। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে ‘বেতন বৈষম্য নিরসন সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি’র বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ, আইনমন্ত্রী এ্যাডভোকেট আনিসুল হক, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমত আরা সাদেক, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব আবুল কালাম আজাদ, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাহবুব আহমেদ, জনপ্রশাসন সচিব ড. কামাল আবু নাসের চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, বৈঠকে তিনটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এরমধ্যে দুটি বিষয় একটু টেকনিক্যাল ধরনের। অষ্টম ও নবম গ্রেড-এ দুটি নিয়ে একটা সমস্যা ছিল। এখানে পরিবর্তন আনা হয়েছে। অর্থ সচিব মাহবুব আহমেদ এ প্রসঙ্গে বলেন, পে-ফিকসেশনের ক্ষেত্রে কেউ অষ্টম গ্রেডে কেউ বা নবম গ্রেডে চলে গিয়েছিল। ফলে একটা জটিলতার সৃষ্টি হয়েছিল। এখন নবম গ্রেডটাকে এন্ট্রি পদ করা হয়েছে। প্রথম শ্রেণীর ক্যাডার, নন-ক্যাডার কিংবা বিভিন্ন সংস্থায় যারা সরাসরি নিয়োগপ্রাপ্ত সকলেই একই স্কেলে বেতন পাবেন। তবে ক্যাডারভুক্তরা একটি ইনক্রিমেন্ট পাবেন। সরকারী কলেজ শিক্ষকদের বিষয়ে অর্থসচিব বলেন, এখানে শিক্ষকরা চতুর্থ গ্রেড থেকে তৃতীয় গ্রেডে উন্নীত হওয়ার ক্ষেত্রে আগে ৫০ ভাগ সিলেকশন গ্রেড পেতেন, এখন সিলেকশন গ্রেডের পরিবর্তে ৫০ ভাগ প্রমোশন দেয়া হবে। প্রমোশন পেয়ে তারা উপরের গ্রেডে যাবেন। সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, তাদের কিছু কস্ট-টস্ট আছে। ইতোমধ্যে তাদের সঙ্গে তিন সচিব (প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, অর্থ সচিব ও জনপ্রশাসন সচিব) বৈঠক করেছেন এবং বিষয়টি এখন প্রায় সমাধান হওয়ার পথে। শুধু একটি বিষয়ে তিন সচিব এখনও তাদের সঙ্গে একমত হতে পারেননি। সে জন্য বেতন বৈষম্য নিরসন কমিটির আগামী বৈঠকে ৪-৫ জন শিক্ষক প্রতিনিধি রাখা হবে। ওই বৈঠকেই বিষয়টি নিষ্পত্তি করা এবং এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানান মুহিত। প্রসঙ্গত, গত বছর ২০১৫ সালের ৭ সেপ্টেম্বর মন্ত্রিসভায় অষ্টম বেতন কাঠামো অনুমোদনের পর পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এবং সরকারী কলেজের শিক্ষকরা আন্দোলন করে আসছেন। একই সঙ্গে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা নানা কর্মসূচী পালন করে আসছেন।
×