ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

চীনে রফতানি কমেছে ২৫ শতাংশ

প্রকাশিত: ০৬:২৯, ১১ মার্চ ২০১৬

চীনে রফতানি কমেছে ২৫ শতাংশ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ চীনের রফতানি গত ফেব্রুয়ারিতে ব্যাপক হারে কমেছে। এই সময়ে দেশটির ১২৬.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সমমূল্যের রফতানি কমেছে। যা গত বছর একই সময়ের তুলনায় ২৫.৪ শতাংশ কম। শুধু তাই নয়, এটি গত ৭ বছরের মধ্যেও সর্বনিম্ন। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ চীনের রফতানি গত বছর একই সময়ের তুলনায় ২৫.৪ শতাংশ কমেছে। যেখানে আমদানি কমেছে ১৩.৮ শতাংশ। এর আগে বেজিং জানায়, ২০১৫ সালে চীনের প্রবৃদ্ধি হয়েছে মাত্র ৬.৯ শতাংশ। যা গত ২৫ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। চীন চলতি বছর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৬.৫ থেকে ৭ শতাংশ নির্ধারণ করেছে, যা ২০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম। গত বছরই আশঙ্কাজনকহারে চীনের প্রবৃদ্ধি হ্রাস পেয়েছে। এর মধ্যে চলতি বছর চীন সরকারের প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা এ পরিমাণ নির্ধারণ করায় অনেকে একে আর্থিক মন্দা কাটিয়ে ওঠার ‘পূর্বাভাস’ বলে মনে করছেন। তবে ফেব্রুয়ারিতে ব্যবসার এ পরিসংখ্যান বা চিত্র দেশটিতে নতুন করে শঙ্কার সৃষ্টি করেছে। যদিও ইতোমধ্যে আর্থিক মন্দা কাটিয়ে উঠতে চীন সরকার চাকরি ও অভ্যন্তরীণ ব্যয় সঙ্কোচনে বেশকিছু সংস্কারমূলক পদক্ষেপ নিয়েছে। দেশটির কাস্টমস চিত্রে দেখা যায়, গত মাসে চীনের ১২৬.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সমমূল্যের রফতানি কমেছে। যা এক বছর আগের তুলনায় ২৫.৪ শতাংশ কম। সামনে রফতানি আরও কমতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, রফতানি কমে তা ১৫ শতাংশে গিয়ে ঠেকবে। চীনকে বলা হয় ‘বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির মূল চালিকাশক্তি।’ বর্তমানে বিশ্বজুড়ে দেশটির পণ্যের চাহিদা কমেছে। ফলে বহির্বিশ্বে চীনের পণ্য কম বিক্রি হচ্ছে। এটিই চীনের অর্থনৈতিক ভিতকে দুর্বল করে দিয়েছে। একই সঙ্গে বৈশ্বিক অর্থ ব্যবস্থায়ও পরিবর্তন সাধন করেছে। প্রসঙ্গত, পণ্যের বিক্রি কমে যাওয়ায় বাইরের পণ্যও কম কিনছে চীন।
×