ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

কোয়ার্টার নিশ্চিত করে বড় স্বপ্ন পিএসজির

প্রকাশিত: ০৬:১২, ১১ মার্চ ২০১৬

কোয়ার্টার নিশ্চিত করে বড় স্বপ্ন পিএসজির

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ নকআউট পর্ব নিশ্চিত করার পর ডেভিড লুইজ জানিয়েছিলেন, তাদের লক্ষ্য চ্যাম্পিয়ন হওয়া। ব্রাজিলিয়ান তারকার চাওয়াটা যে অমূলক নয়, সে প্রমাণ দিয়ে চলেছে তার ক্লাব প্যারিস সেইন্ট জার্মেইন (পিএসজি)। ইংলিশ চ্যাম্পিয়ন চেলসিকে দুই দুইবার হারিয়ে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগ ফুটবলের কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছে পিএসজি। দাপটের সঙ্গে সেরা আটে পা রাখার পর ফরাসী চ্যাম্পিয়নরা সর্বোচ্চ সাফল্য অর্থাৎ শিরোপা জয়ের স্বপ্ন বুনতে শুরু করেছে। বুধবার রাতে শেষ ষোলোর দ্বিতীয় লেগের ম্যাচেও জয় পায় পিএসজি। এবার চেলসিকে তাদেরই মাঠ লন্ডনের স্টামফোর্ড ব্রিজে হারায় ২-১ গোলে। প্যারিসে প্রথম লেগেও একই ব্যবধানে ব্লুজদের হারিয়েছিল লরেন্ট ব্লাঙ্কের দল। দুই লেগ মিলিয়ে তাই পিএসজির জয় ৪-২ গোলে। গতবারও প্যারিস পরাশক্তিদের কাছে হেরে বিদায় নিতে হয়েছিল চেলসিকে। রীতিমতো বিধ্বস্ত অবস্থার মধ্যে থাকা ব্লুজদের ইতোমধ্যে ইংল্যান্ডের ঘরোয়া আসরের প্রায় সব শিরোপার সম্ভাবনা শেষ হয়ে গেছে। চ্যাম্পিয়ন্স লীগ নিয়েই ছিল শুধু স্বপ্ন। কিন্তু সেটাও উবে গেছে পরশু রাতে। প্রথম লেগে হেরে আসায় শেষ আটে যেতে জয়ের বিকল্প ছিল না স্বাগতিক চেলসির। কিন্তু ঘরের মাঠ স্টামফোর্ড ব্রিজে ব্লুজদের শুরু থেকেই কেমন যেন ছন্নছড়া মনে হয়! উল্টো অতিথি পিএসজিই দাপটের সঙ্গে খেলতে থাকে। ম্যাচের প্রায় পুরো সময় জুড়েই চেলসির রক্ষণকে ব্যস্ত রাখেন ইব্রাহিমোভিচ, ডি মারিয়া, থিয়াগো সিলভারা। ম্যাচে আর্জেন্টাইন তারকা মরিয়া গোল না পেলেও দুটি গোলেই অবদান রাখেন। ইব্রাহিমোভিচ একটি গোল করেন, অন্যটি আডরিয়েন রাবিওট। চেলসির একমাত্র গোলদাতা দিয়াগো কোস্তা। প্রতিপক্ষকে ফেবারিট মেনে মাঠে নামলেও শুরুতেই এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পায় চেলসি। কিন্তু ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটে কোস্তার প্রচেষ্টা দারুণ দক্ষতায় ব্যর্থ করে দেন পিএসজি গোলরক্ষক কেভিন ট্রাপ। তিন মিনিট বাদে পাল্টা আক্রমণে এগিয়ে যেতে পারত অতিথিরা, কিন্তু ডি মারিয়ার শট চেলসি গোলরক্ষককে ফাঁকি দিলেও শেষ মুহূর্তে ডিফেন্ডার ব্রানিসøাভ ইভানোভিচ বিপদমুক্ত করেন। এরপর চেলসির রক্ষণে একটানা চাপ ধরে রাখে ফরাসী চ্যাম্পিয়নরা। এরই ধারাবাহিকতায় ১৬ মিনিটে মূল্যবান এ্যাওয়ে গোল পেয়ে যায় পিএসজি। ডি মারিয়া ও ইব্রাহিমোভিচের দারুণ নৈপুণ্যে ডি বক্সের ভেতর থেকে সহজেই লক্ষ্যভেদ করেন ফরাসী মিডফিল্ডার রাবিওট। এই গোলে এ ম্যাচে তো বটেই, দুই লেগ মিলিয়ে ৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার পথে অনেকটাই এগিয়ে যায় পিএসজি। গোল হজমের পর কিছুটা গা ঝাড়া দিয়ে উঠে চেলসি। ফলস্বরূপ ২৭ মিনিটে কোস্তার গোলে সমতা ফেরায় তারা। সাবেক বার্সিলোনা মিডফিল্ডার পেড্রোর বাড়ানো বল ধরে বক্সে ঢুকে ডিফেন্ডার থিয়াগো সিলভাকে কাটিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন ব্রাজিলিয়ান বংশোদ্ভূত স্প্যানিশ স্ট্রাইকার। ক্লাবের হয়ে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে শেষ ১৫ ম্যাচে কোস্তার এটা ১১ নম্বর গোল। এই সময়ে সতীর্থদের দিয়ে ছয় গোল করিয়েছেনও তিনি। কোয়ার্টার ফাইনালের টিকেট পেতে আরও অন্তত দুই গোলের প্রয়োজন ছিল চেলসির। কিন্তু সেটা পারেনি গাস হিডিঙ্কের দল। উল্টো বিরতির পর ৬৭ মিনিটে ইব্রাহিমোভিচ পিএসজির পক্ষে দ্বিতীয় গোল করলে সব আশা শেষ হয়ে যায় সাবেক চ্যাম্পিয়নদের। আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার ডি মারিয়ার ক্রসে ভলি করে জয়সূচক গোলটি করেন সুইডেনের ফরোয়ার্ড। ম্যাচ শেষে শিষ্যদের পারফর্মেন্সে সন্তোষ প্রকাশ করেন পিএসজি কোচ লরেন্ট ব্লাঙ্ক। বিশেষ করে তিনি ইব্রাহিমোভিচের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন। ব্লাঙ্ক বলেন, আমাদের পরিকল্পনা সফল হয়েছে। সবাই যার যার দায়িত্ব ঠিকমতো পালন করেছে।
×