ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলাদেশের কাছে পরাজয়ের বেদনা এখনও ভুলতে পারেননি ইংলিশ অধিনায়ক

ইংলিশদের দুঃখ মোচন করতে চান মরগান

প্রকাশিত: ০৬:১১, ১১ মার্চ ২০১৬

ইংলিশদের দুঃখ মোচন করতে চান মরগান

মোঃ মামুন রশীদ ॥ ছয় বছর আগে টি২০ বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ইংল্যান্ড। বিশ্বকাপ নামের বড় কোন আসরে সেটিই প্রথমবার শিরোপা জয় ছিল তাদের। কিন্তু এরপর ২০১২ আর ২০১৪ সালের আসরে সেমিফাইনালেই পৌঁছতে পারেনি। টি২০ ফরমেটের দুঃখটা ঘোচেনি ওয়ানডে বিশ্বকাপেও। গত বছর অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নেয় ইংলিশরা। আন্ডারডগ বাংলাদেশের কাছে হেরেই বিদায়টা নিশ্চিত হয়েছিল। এই বিশ্বকাপের কিছুদিন আগেই এ্যালিস্টার কুকের কাছ থেকে দায়িত্বটা হস্তান্তর হয়েছিল মরগানের কাছে। হতাশাজনক সেই দুঃখটা আজও ভুলকে পারেননি তিনি। এবার ভারতের অনুষ্ঠিত টি২০ বিশ্বকাপেও তিনিই ইংল্যান্ড দলকে নেতৃত্ব দেবেন। এবার যে করেই হোক দারুণ কিছু করে ইংলিশদের পুরনো সব দুঃখ মোচন করতে চান মরগান। তবে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে পরাজয়টা এখনও ভুলতে পারেননি ইংলিশ অধিনায়ক। ৯ মার্চ, ২০১৫- এ্যাডেলেইড ওভাল! বাংলাদেশের বিরুদ্ধে জিতলেই শুধু সুযোগটা ছিল গ্রুপ পর্ব পেরিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার। কিন্তু সেটা পারেনি ইংল্যান্ড। অধিনায়ক হিসেবে প্রথমবার বিশ্বকাপ খেলতে নেমে মরগান এক দুঃসহ বেদনাকে সঙ্গী করেই দলকে নিয়ে ফিরেছেন দেশে। এমনকি ব্যাট হাতেও সে সময় দারুণ খারাপ সময় কাটছিল তার। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যখন শূন্য রানে আউট হলেন সেটি ছিল ৯ ইনিংসে চতুর্থবারের মত্ োডাক! এখন অবশ্য নতুন করে শুরু করতে হবে। এক বছর আগের সেই স্মৃতিটা কোন কাজে আসবে না। যদিও সেটা ভুলতেই পারছেন না মরগান আরেক বিশ্বকাপ মঞ্চে উপস্থিত হয়ে। টি২০ বিশ্বকাপ খেলতে এখন ভারতের মুম্বাইয়ে অনুশীলন নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে ইংলিশরা। মরগান চাইছেন অতীত অভিজ্ঞতা ক্যারিয়ারের বাকিটা সময় পুরোপুরি কাজে লাগিয়ে দলকে দারুণ কিছু উপহার দিতে। এ বিষয়ে মরগান বলেন, ‘আমি মনে করি এটা (ভাল এবং বাজে ফর্মের সন্নিবেশ) সবসময়ই থাকবে। বিশেষ করে সেই বিশ্বকাপটা, শুধু ওই দিনটাই (বাংলাদেশের বিরুদ্ধে) বিশেষ জরুরী নয়। কিন্তু আমার মনে হয় পুরো সফরটাই আমার জন্য একটা শিক্ষণীয় ব্যাপার ছিল। আলাদাভাবে একজন অধিনায়ক হিসেবে এ ধরনের নির্দিষ্ট কিছু পরাজয়ের মধ্যে দিয়ে যেতেই হয় এবং এ ধরনের হতাশাটাও একদিন ক্যারিয়ারে বড় কোন সাফল্যের আনন্দ বয়ে আনে। আমার মনে হয় সেটা আমাদের মনোভাবে পরিবর্তন এনেছে, খেলোয়াড়দের গ্রুপে একটা পরিবর্তন এনেছে এবং নির্দিষ্টভাব্ েআমাদের ফলাফলেও পরিবর্তন এনেছে।’ অবশ্য এবার বিশ্বকাপ খেলতে আসার আগেও গত ১২ মাসে ইংল্যান্ডের তেমন ধারাবাহিক কোন নৈপুণ্য দেখা যায়নি। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে ওয়ানডে সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে থাকার পরও ৩-২ ব্যবধানে হেরেছে এবং দুই ম্যাচের টি২০ সিরিজে ২-০ ব্যবধানে হেরে এসেছে। এবার টি২০ বিশ্বকাপে গ্রুপ-১ অবশ্য তেমন বড় কোন প্রতিপক্ষ নেই। শ্রীলঙ্কা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, দক্ষিণ আফ্রিকা ছাড়া প্রাথমিক রাউন্ড থেকে উঠে আসা দলের বিরুদ্ধে খেলতে হবে ইংলিশদের। কিন্তু কিছুদিন আগের ব্যর্থতাটা কাটিয়ে উঠতে পারবে মরগানের দল? এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা সঙ্গত কারণেই আত্মবিশ্বাসী। আমাদের দলে প্রচুর মেধার সমন্বয় যেমন আছে তেমনি অনেক ম্যাচজয়ী পারফর্মারও আছে। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকায় আমরা যেভাবে খেলেছি, তারপর নিজেদের প্রশ্ন করেছি- আমরা কি সঠিক পন্থায় খেলছি? কিংবা ঠিকভাবেই হারছি? এরপর আমরা অনেক কাজ করেছি। এখন পর্যন্ত দলের মধ্যে ইতিবাচক মনোভাব এবং মানসিকতা আছে। এখন সেটা এই বড় টুর্নামেন্টে কাজে লাগানো দরকার।’
×