ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

দাসিয়ারছড়ায় অর্ধশতাধিক গাছ কর্তন ॥ উত্তেজনা

প্রকাশিত: ০৪:১৬, ১১ মার্চ ২০১৬

দাসিয়ারছড়ায় অর্ধশতাধিক গাছ কর্তন ॥ উত্তেজনা

স্টাফ রিপোর্টার, কুড়িগ্রাম ॥ জমি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে প্রকাশ্যে অর্ধশতাধিক ইউক্যালিপ্টাস গাছ কর্তন করেছে একদল দুষ্কৃতকারী। বৃহস্পতিবার এ ঘটনাটি ঘটেছে অধুনালুপ্ত দাসিয়ারছড়া ছিটমহলের কামালপুর গ্রামে। এ নিয়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে ওই গ্রামে। যে কোন সময় বড় ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ওই গ্রামের মহির উদ্দিন ও বাদশা মিয়া জানান, ৩০ বছর ধরে ক্রয়কৃত ১৬ শতাংশ জমির ওপর চাষাবাদ করে আসছেন ময়েন উদ্দিন মিয়া। চাষাবাদের জমির ওপর দুই শতাধিক ইউক্যালিপ্টাস গাছ লাগিয়েছেন তারা। গাছগুলোর বয়স প্রায় ৫/৬ বছর হয়েছে। এরই মধ্যে একই পাড়ার নিজাম উদ্দিন গ্রুপের লোকজন ওই জমি মালিকানা দাবি করে। এ নিয়ে গ্রামে একাধিকবার সালিশী ও থানায় বৈঠক হয়। থানার বৈঠকের সিদ্ধান্ত না হতেই নিজাম উদ্দিনের ভাড়াটিয়া অস্ত্রধারী লোকজন প্রকাশ্যে গাছগুলো কর্তন ও ইরি-বোরো লাগানো ক্ষেত তছনছ করেছে । এ ব্যাপারে ময়েন উদ্দিনের ছেলে মিনহাজুল ইসলাম বলেন ছিটমহলের মধ্যে এই জমিতে ৩০ বছর ধরে জমি চাষাবাদ করে খাচ্ছি আমরা কোন সমস্যা হয়নি। এখন বাংলাদেশ হওয়ার সঙ্গে জমির মালিক একের পর এক বৃদ্ধি পাচ্ছে। মাঝে মধ্যে উস্কানি দিচ্ছে ভাড়াটিয়া লোকজন। কুড়িগ্রামে দুধ কুমার নদীর ভাঙ্গন অব্যাহত স্টাফ রিপোর্টার, কুড়িগ্রাম ॥ নাগেশ্বরী উপজেলার কালিগঞ্জ ইউনিয়নের দুধ কুমার নদীর ভাঙ্গনে বিলীন হচ্ছে ঘর-বাড়ি, আবাদি জমি। ভাঙ্গনকবলিত এলাকার মানুষ বসতভিটা হারিয়ে খোলা আকাশ ও পার্শ্ববর্তী বাঁধে আশ্রয় নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করলেও ভাঙ্গন রোধে কোন পদক্ষেপ নেই কর্তৃপক্ষের। এলাকাবাসী জানায়, কয়েক বছর ধরে নাগেশ্বরী উপজেলার কালিগঞ্জ ইউনিয়নের কালিগঞ্জ, কাচিরভিটা, কুমরিয়ার পাড়, বলদের ভিটা, উত্তর ওয়াবদা, শালমারা ও ধনীর ভিটাসহ আশপাশের প্রায় ১০টি গ্রামে দুধ কুমার নদীর ভাঙ্গন অব্যাহত রয়েছে। এতে মসজিদ, মাদ্রাসা, স্কুলসহ বিভিন্ন স্থাপনা ও হাজার হাজার বিঘা আবাদী জমি ইতিমধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। গত এক বছরে সহস্রাধিক মানুষ ঘর-বাড়ি হারিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে কালিগঞ্জ বাজার, কালিগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়, শালমারা দাখিল মাদ্রাসা, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন স্থাপনা। বার বার উপজেলা প্রশাসন, জেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডে যোগযোগ করা হলেও কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগ-৩ এর উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মোঃ মতিয়ার রহমান জানান, কালিগঞ্জ ইউনিয়নের ভাঙ্গনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করে ২ কোটি ৭১ লাখ টাকার একটি বরাদ্দ আবেদন সংশ্লিষ্ট বিভাগে পাঠিয়েছি। এর মধ্যে ১ কোটি টাকার অনুমোদন পেয়েছি। তবে বরাদ্দ এখনও পাইনি। বরাদ্দ পেলে নদী ভাঙ্গন রোধে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
×