ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

শীষ শুকিয়ে যাচ্ছে

হুইট ব্রাস্ট রোগে গম ক্ষেত উজাড়

প্রকাশিত: ০৪:০২, ১১ মার্চ ২০১৬

হুইট ব্রাস্ট রোগে গম ক্ষেত উজাড়

নিজস্ব সংবাদদাতা, পাবনা, ১০ মার্চ ॥ আটঘরিয়া উপজেলার শত শত একর গমক্ষেতে হুইট ব্রাস্ট রোগে আক্রান্ত হয়েছে। আক্রান্ত এসব গমক্ষেতের গমের শীষ শুকিয়ে মরে যাচ্ছে। কৃষকরা কীটনাশক প্রয়োগ করেও কোন প্রতিকার না পাওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছেন। কৃষি বিভাগ এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে। জানা গেছে আটঘরিয়া সদর, দেবোত্তর, মাছপাড়া, একদন্ত ইউনিয়নের শত শত একর জমির গম হুইট ব্রাস্ট রোগে আক্রান্ত হয়েছে। আক্রান্ত এ জমির গমের শীষ শুকিয়ে সাদা হয়ে যাচ্ছে। শীষের মধ্যে গমের দানা থাকছে না। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা কোন উপায় না দেখে উপজেলা কৃষি অফিসে প্রতিদিন ধর্ণা দিচ্ছে। কৃষি অফিস জানিয়েছে, এ ব্যাপারে তাদের তাৎক্ষণিক কিছু করার নেই। আক্রান্ত গমের নমুনা সংগ্রহ করে গবেষণার মাধ্যমে এ রোগ প্রতিরোধ জাত আবিষ্কারের মাধ্যমে এটি নির্মূল করা সম্ভব। কৃষকরা জানিয়েছে, দিন দিন আক্রান্ত জমির পরিমাণ বাড়ছে। এ অবস্থায় প্রতিকার না পাওয়ায় কৃষকরা হতাশ হয়ে পড়েছেন। একদন্ত ইউনিয়নের গমচাষী ডাঃ মজিবর জানান, তিনি ৩ বিঘা জমিতে চলতি মৌসুমে গম চাষ করেছেন। প্রতি বিঘা জমিতে তার খরচ হয়েছে ৬ থেকে ৮ হাজার টাকা। তার ৩ বিঘা জমির গম হুইট ব্রাস্ট রোগে আক্রান্ত হয়েছে। যে মুহূর্তে গমের শীষে দানা তৈরি হবে সেই সময়ে এ রোগে আক্রান্ত হওয়ায় তিনি উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। তিনি কীটনাশক স্প্রে করেও এ রোগ থেকে গমক্ষেত বাঁচাতে পারেননি। এ ব্যাপারে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ পাবনার উপ-পরিচালক বিভুতি ভূষণ সরকার জানান, গমক্ষেতে হুইট ব্রাস্ট রোগের আবির্ভাব এটাই প্রথম। জমির উষ্ণতা বৃদ্ধির কারণে এ রোগ হতে পারে। এ জাতীয় রোগের কোন প্রতিকার নেই। তবে কত পরিমাণ জমিতে এ রোগ ছড়িয়ে পড়েছে, তা তিনি জানাতে পারেননি। জলাবদ্ধতা নিরসনে বর্ষার আগেই খাল-নালা পরিষ্কারের নির্দেশ স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ চট্টগ্রাম নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে বর্ষা মৌসুম শুরুর আগেই সকল খালের মাটি উত্তোলন ও অপসারণের কাজ শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন। এছাড়া তিনি জনস্বার্থে খাল ও নালার নির্মিত সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে বলে উল্লেখ করে বলেছেন, অবৈধ দখলদার কেউই রেহাই পাবে না। মেয়র বলেন, অবৈধ দখল ছেড়ে দিতে হবে। অন্যথায় আইনের যথাযথ প্রয়োগ হবে। বৃহস্পতিবার সকালে চট্টগ্রাম নগরীর মহেষখাল থেকে মাটি ও আবর্জনা উত্তোলন কার্যক্রম পরিদর্শনকালে এলাকাবাসীর সঙ্গে মতবিনিময়ে মেয়র এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। তিনি বলেন, একশ্রেণীর নাগরিক স্বেচ্ছায় বা অনিচ্ছায়, স্বজ্ঞানে কিংবা অজ্ঞানে খাল ও নালায় ময়লা আবর্জনা ও বর্জ্য ফেলছে। এতে করে প্রতিনিয়ত ভরাট হচ্ছে খাল-নালা। অবৈধভাবে গড়ে উঠা ঘরবাড়ি, দোকান পাট ও স্থাপনার কারণেও স্বাভাবিক পানি চলাচল বিঘিœত হচ্ছে। এতে জলাবদ্ধতা প্রকট আকার ধারণ করছে। তিনি বর্ষা মৌসুমের পূর্বেই খাল-নালা পরিষ্কার করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়ে এ ব্যাপারে নগরবাসীর সহযোগিতা কামনা করেন।
×