ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

অধ্যাপক হাসান আবদুল কাইয়ূম

প্রসঙ্গ ইসলাম ॥ নারীর মর্যাদা ও অধিকার প্রতিষ্ঠায় ইসলাম

প্রকাশিত: ০৪:০১, ১১ মার্চ ২০১৬

প্রসঙ্গ ইসলাম ॥ নারীর মর্যাদা ও অধিকার প্রতিষ্ঠায় ইসলাম

নর ও নারী মিলেই মানবজাতি। প্রিয়নবী হযরত মুহম্মদ সাল্লাল্লাহু ’আলায়হি ওয়া সাল্লাম নরপ্রধান পৃথিবীতে নারীদের যথাযোগ্য মর্যাদা ও অধিকার প্রতিষ্ঠা করে এক অনন্য বিপ্লব সাধন করেন। বিশ্ব মানব সভ্যতার ইতিহাসে তিনিই সর্বপ্রথম এবং তিনিই কেবলমাত্র নারীদেরকে সম্মানের মসনদে অধিষ্ঠিত করেন। তাঁর আবির্ভাবের পূর্বে নারীদের শুধু ব্যবহার করা হতো ভোগের সামগ্রী হিসেবে, তাদের স্বাধীনতা বলতে কিছুই ছিল না, তারা যেন ছিল আসবাবপত্রের মতো, তাদের মনে করা হতো পণ্যসামগ্রী, তারা তখন দিন গুজরান করত নিদারুণ নির্যাতনের মধ্যে, তারা বনে গিয়েছিল অস্থাবর সম্পত্তি এবং খেলনার বস্তু। নারীরা কেবলই পুরুষের সেবা করবে- এমনতরো ধারণা সর্বত্র শিকড় গেড়ে বসেছিল। সেবাদাসী প্রথা বিশ্বসমাজ জীবনে ব্যাপকভাবে বিদ্যমান ছিল, যে কারণে সৃষ্টি হয়েছিল থিওডোরা ও আম্রপালীদের মতো অসংখ্য সেবাদাসীর ও গণ-মনোরঞ্জক রমণীর। খোদ আরব দেশে তো কন্যা সন্তান হওয়াকে দুর্ভাগ্য মনে করা হতো। অনেক পিতা কন্যাসন্তান হলে তাকে জ্যান্ত কবর দিতেও কুণ্ঠাবোধ করত না। প্রিয়নবী হযরত মুহম্মদ সাল্লাল্লাহ আলায়হি ওয়া সাল্লাম নারীদেরকে এক করুণ অমানবিক হাল থেকে উদ্ধার করেন এবং তাদেরকে কন্যা হিসেবে, ভগ্নি হিসেবে, মাতা হিসেবে, স্ত্রী হিসেবে সর্বোপরি মানুষ হিসেবে অধিকার প্রদান করেন। তাদেরকে তিনি ন্যায্য ও সম্মানজনক মর্যাদা দান করেন। তারা লাভ করেন সদাশয়তা এবং শ্রদ্ধা। তারা পিতা-মাতার কাছ থেকে কন্যা হিসেবে লাভ করে স্নেহ-মমতা এবং আদর। শুধু তাই নয়, সে উত্তরাধিকারিত্বও অর্জন করে। সে ভগ্নি হিসেবে তার ভাই ও পরিবারের অন্য সদস্যদের কাছ থেকে লাভ করে সহমর্মিতা ও সহযোগিতা; মাতা হিসেবে সবার কাছ থেকে লাভ করে যথাযথ কর্তৃত্ব ও ভক্তি। মাতা হয়ে ওঠে মহিমান্বিত। বধূ হিসেবে সে লাভ করে মুবারকবাদ, শুভেচ্ছা এবং আন্তরিক অভ্যর্থনা ও পরিবারের সকল সদস্যের কাছ থেকে লাভ করে প্রেম-প্রীতি, কর্তৃত্ব ও উত্তরাধিকারিত্ব। মানুষ হিসেবে লাভ করে সামাজিক সম্মান, মর্যাদা এবং মানবিক মূল্যবোধ। প্রিয়নবী হযরত মুহম্মদ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লামকে আল্লাহ্ জাল্লা শানুহু যা হুকুম করেছেন তিনি তার বাস্তবায়ন করেছেন, কায়েম করেছেন শরী’আত। কুরআন মজীদে স্পষ্ট ভাষায় বিশ্ব মানব সভ্যতা নির্মাণে নারী ও পুরুষের যৌথ অবদানের উল্লেখ রয়েছে। আল্লাহ্ জাল্লা শানুহু উল্লেখ করেছেন: হে মানুষ! আমি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছি এক পুরুষ ও এক নারী হতে। পরে তোমাদেরকে বিভক্ত করেছি বিভিন্ন জাতি ও গোত্রে, যাতে তোমরা একে অপরের সঙ্গে পরিচিত হতে পারো (সূরা হুজুরাত : আয়াত ১৩)। নারীর প্রথম পরিচয় সে পিতা-মাতার কন্যা। কিন্তু কন্যা হিসেবে তার যে কদর তা প্রিয়নবী হযরত মুহম্মদ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লামের আবির্ভাবের পূর্বে ছিল না। কন্যা সন্তান জন্ম নিলে পিতা-মাতার মুখ কালো হয়ে যেত। এ অবস্থার কথা উল্লেখ করে কুরআন মজীদে ইরশাদ হয়েছে : তাদের কাউকে যখন কন্যাসন্তানের সুসংবাদ দেয়া হয় তখন তার চেহারা কালো হয়ে যায় এবং সে অসহনীয় মনস্তাপে ক্লিষ্ট হয়। তাকে যে সংবাদ দেয়া হয় তার গ্লানিহেতু সে লোক সমাজ হতে নিজেকে লুকায়। সে ভাবে, হীনতা সত্ত্বেও সে ওকে রাখবে, না মাটিতে পুঁতে দেবে। সাবধান, তারা যে সিদ্ধান্ত নেয় তা কত নিকৃষ্ট (সূরা নহল : আয়াত ৫৮-৫৯)। এই আয়াতে কারীমা দ্বারা কন্যা জন্মগ্রহণ করলে অসন্তুষ্ট হওয়াকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। এতে এটা স্পষ্ট হয়ে যায় যে, কন্যা সন্তান জন্মগ্রহণ করলে খুশি হওয়া উচিত। হাদিস শরীফে বর্ণিত হয়েছে : যে স্ত্রীলোকের গর্ভ থেকে প্রথম কন্যা সন্তান জন্মগ্রহণ করে সে পুণ্যময়ী। কন্যা সন্তান হোক কিংবা পুত্রসন্তান হোক- সবই যে আল্লাহ্র রহমত তা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে কুরআন মজীদে। ইরশাদ হয়েছে : আসমানসমূহ ও পৃথিবীর সার্বভৌমত্ব আল্লাহরই তিনি যা ইচ্ছা করেন তা সৃষ্টি করেন। তিনি যাকে ইচ্ছা কন্যাসন্তান দান করেন এবং যাকে ইচ্ছা পুত্র সন্তান দান করেন (সূরা শুরা : আয়াত ৪৯)। প্রিয়নবী হযরত মুহম্মদ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম একদিন সাহাবায়ে কিরামকে বললেন : যে ব্যক্তি কন্যা বা ভগ্নিকে লালন-পালন করে, তাদেরকে সুশিক্ষা দান করে এবং তাদের প্রতি সদয় ব্যবহার করে, তারপর বয়ঃপ্রাপ্ত হলে সৎ পাত্রে ন্যস্ত করার মাধ্যমে তাকে স্বাবলম্বী করে দেয় তার জন্য জান্নাত ওয়াযিব হয়ে যায়। এক ব্যক্তি জিজ্ঞাসা করলেন : ইয়া রাসূলাল্লাহ, দুটো থাকলে? তিনি বললেন: দুটোর ক্ষেত্রেও। আর একজন জিজ্ঞাসা করলেন : একটি থাকলে? তিনি বললেন একটির ক্ষেত্রেও (মিশকাত শরীফ)। অন্য একখানি হাদিসে আছে যে কারও যদি কন্যা সন্তান ভূমিষ্ঠ হয় আর তাকে যদি সে পুঁতে না ফেলে, তাকে যদি অপমানিত না করে এবং তাকে উপেক্ষা করে যদি পুত্র সন্তানের প্রতি পক্ষপাতিত্ব না করে তবে আল্লাহ্ তাকে জান্নাতে দাখিল করবেন (আবু দাউদ)। প্রিয়নবী হযরত মুহম্মদ সাল্লাল্লাহ আলায়হি ওয়া সাল্লামের আবির্ভাবের পূর্বে পুরুষ যত ইচ্ছে পতœী গ্রহণ করতে পারত, উপপতœী ও রক্ষিতা রাখবার কুপ্রথা সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে বিদ্যমান ছিল। স্ত্রী গ্রহণ এবং ইচ্ছে হলেই তাকে বেচে দেয়া ছিল যেন অত্যন্ত স্বাভাবিক ব্যাপার। নারীরা হয়ে উঠেছিল পণ্য সামগ্রীর মতো। তাদের না ছিল সম্মান, না ছিল মর্যাদা, না ছিল কোনোরূপ অধিকার। তিনি সুনির্দিষ্ট বিবাহ নীতিমালা ও তালাক বিধান প্রবর্তনের মাধ্যমে বহু বিবাহ প্রথার শিকড়ে কুঠারাঘাত করলেন এবং বিবাহ বিচ্ছেদকে নিয়ন্ত্রিত করলেন। চারজন পর্যন্ত স্ত্রী গ্রহণের অনুমতি দেয়া হলেও সে ক্ষেত্রে জুড়ে দেয়া হলো কতকগুলো শর্ত। যার ফলে ইচ্ছে করলেই একাধিক স্ত্রী গ্রহণের প্রবণতা রোধ হয়ে গেল। এ ব্যাপারে কুরআন মজীদে ইরশাদ হয়েছে : তোমাদের পছন্দমতো বিবাহ করবে দুই, তিন অথবা চার নারীকে। আর যদি আশঙ্কা করো যে সুবিচার করতে পারবে না তবে একজনকে (সূরা নিসা: আয়াত ৩)। এই আয়াতে কারীমায় চারটি পর্যন্ত বিয়ে করার অনুমতি থাকলেও প্রত্যেক স্ত্রীর ওপর সুবিচার (আদল) না করার আশঙ্কা থাকলে একটি বিয়ে করার জোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আইয়ামে জাহেলিয়াতের পাপ-পঙ্কিলতার আবর্তে নিমজ্জিত তদানীন্তন পুরুষ সমাজের উপেক্ষা, অবহেলা, জুলুম-নির্যাতন নারী সমাজকে এমন অসহায় অবস্থায় নিয়ে এসেছিল যে তারা ভাবতেই পারত না যে, মানুষ হিসেবে তারা স্বীকৃতি পাবে। নারীর অবস্থা এমন পর্যায়ে গিয়ে উপনীত হয়েছিল যে তারা যেন সৃষ্টি হয়েছে কেবলমাত্র পুরুষের চিত্তবিনোদন ও কাম-ক্ষুধা মিটানোর জন্য। প্রিয়নবী হযরত মুহম্মদ সাল্লাল্লাহ আলায়হি ওয়া সাল্লাম বিয়ের বিধান প্রবর্তন করে নারীর অধিকার সুনিশ্চিত করলেন। নারীর সম্মতি ছাড়া কোন পুরুষ কোন নারীকে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করতে পারবে না। এই বিধান দিয়ে তিনি নারীদের মর্যাদা সমুন্নত করলেন। স্বামী গ্রহণের ক্ষেত্রে তার পছন্দ করবার পূর্ণ অধিকার দেয়া হলো : ফলে পুরুষ ইচ্ছে করলে একজন নারীকে স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করতে পারবে এমন যে রীতি প্রচলিত ছিল তা আর থাকল না। পুরুষের স্ত্রীর ওপর যতটুকু অধিকার স্ত্রীরও পুরুষের ওপর ততটুকু অধিকার নিশ্চিত করা হলো। কুরআন মজীদে স্বামী-স্ত্রীর পারস্পরিক সম্পর্ক সম্পর্কে ইরশাদ হয়েছে। তারা তোমাদের পরিচ্ছদ এবং তোমরা তাদের পরিচ্ছদ (সূরা বাকারা : আয়াত ১৮৭)। স্ত্রী ও স্বামী দৈহিকভাবে আলাদা দুটি সত্তা হলেও তারা দু’য়ে মিলে এক আত্মা- এই চেতনা দান করেছেন প্রিয়নবী হযরত মুহম্মদ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম। কুরআন মজীদে ইরশাদ হয়েছে : এবং তাঁর (আল্লাহ্র) নিদর্শনাবলীর মধ্যে রয়েছে: তিনি তোমাদের মধ্য হতে তোমাদের জন্য সৃষ্টি করেছেন তোমাদের সঙ্গিনীদেরকে যাতে তোমরা তাদের নিকট শান্তি পাও এবং (আল্লাহ) তোমাদের মধ্যে পারস্পরিক ভালোবাসা ও দয়া সৃষ্টি করেছেন, (সূরা রুম : আয়াত ২১)। তিনিই (আল্লাহ্) তোমাদেরকে এক ব্যক্তি হতে সৃষ্টি করেছেন ও তা থেকে তার সঙ্গিনী সৃষ্টি করেছেন যাতে সে তার নিকট শান্তি পায় (সূরা আ’রাফ : আয়াত ১৮৯)। এই দু’খানি আয়াতে কারীমাতে বলা হয়েছে যে, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে আল্লাহ্ জাল্লা শানুহু পারস্পরিক ভালবাসা ও দয়া সৃষ্টি করেছেন যাতে করে সুখী দাম্পত্য জীবন গড়ে ওঠে এবং পারস্পরিক সম্প্রীতির বন্ধন সুদৃঢ় হয়। এতে এ কথা সুস্পষ্ট হয়ে যায় যে, স্বামী-স্ত্রী একে অপরের পরিপূরক এবং পরস্পরের প্রীতি বন্ধন যত মজবুত হবে দাম্পত্য জীবন তত সুখী-সুন্দর হবে। প্রিয়নবী হযরত মুহম্মদ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লামের আবির্ভাবের পূর্বে নারীকে মনে করা হতো পাপের মূল উৎস এবং কোন কোন ধর্মে তো বলাই হয়েছে নারী হচ্ছে শয়তানের ফাঁদ। আর প্রিয়নবী (সা.) এসে ঘোষণা করলেন যে, তারা পরস্পর পরস্পর থেকে। সংসার জীবনে নারী-পুরুষের মর্যাদা একই রকম। গৃহে স্ত্রীর অবস্থান একজন সম্রাজ্ঞীর মতো। প্রিয়নবী হযরত মুহম্মদ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: তোমাদের সবাই এক একজন শাসক (রা’ঈ) এবং প্রত্যেকেই তার নিয়ন্ত্রণাধীনদের (রা’য়ত) সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে। আমীর (রাজা) হচ্ছে দেশের শাসক আর পুরুষ হচ্ছে পরিবারের শাসক। নারী হচ্ছে তার স্বামী ও সন্তানদের শাসক, সুতরাং তোমরা প্রত্যেকেই শাসনকর্তা এবং প্রত্যেকেই জিজ্ঞাসিত হবে (বিচার দিনে) তোমাদের নিয়ন্ত্রণাধীনদের সম্পর্কে (বুখারী শরীফ)। প্রিয়নবী হযরত মুহম্মদ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লামের আবির্ভাবের পূর্বে নারীর সম্পত্তির উত্তরাধিকারিত্ব লাভ করার কোন ন্যায়সঙ্গত নীতিমালা ছিল না। অধিকাংশ ক্ষেত্রে সে বঞ্চিত হতো। প্রিয়নবী হযরত মুহম্মদ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লামই সর্বপ্রথম নারীকে পুরুষের সহশরিক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করলেন এবং মৃতের সম্পত্তির হিস্যাদার হিসেবে তার অধিকার নিশ্চিত করলেন। তিনি উত্তরাধিকারী বিষয়ক যে বিধিবিধান প্রদান করলেন তাতে অগ্রগণ্য যে বারোজন উত্তরাধিকারী স্থির করা আছে তার মধ্যে আট জনই হলো নারী। কুরআন মজীদে মৃতের সম্পত্তিতে নারীর অধিকার সম্পর্কে ইরশাদ হয়েছে : পিতা-মাতা এবং আত্মীয়স্বজনের পরিত্যক্ত সম্পত্তিতে নারীরও অংশ আছে, তা অল্পই হোক অথবা বেশিই হোক, এক নির্ধারিত অংশ (সূরা নিসা: আয়াত ৭)। প্রিয়নবী হযরত মুহম্মদ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ও সাল্লাম যে ব্যবস্থা দিলেন তাতে নারী পিতার সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হলো। শুধু তাই নয়, সে সন্তানের সম্পত্তিরও উত্তরাধিকারিত্ব লাভ করেছে। সে উত্তরাধিকারী সূত্রে সে সম্পত্তি পায় তার উপর তার স্বত্বাধিকারিত্ব অটুট থাকে। তার মৃত্যুর পর সে সম্পত্তির উত্তরাধিকার লাভ করে তার ওয়ারিশগণ। কুরআন মজীদে নারী-পুরুষ উভয়কেই পরিশ্রমী ও কর্মনিষ্ঠ হবার তাকীদ দেয়া হয়েছে। আল্লাহ্ জাল্লা শানুহু ইরশাদ করেন : আমি তোমাদের মধ্যে কোনো কর্মনিষ্ঠ নর অথবা নারীর কর্ম বিফল করি না। তোমরা একে অপরের অংশ (সূরা আল-ইমরান: আয়াত ১৯৫)। এই আয়াতে কারীমায় আরো লক্ষ্য করা যায় যে, এখানে নারী ও পুরুষকে বলা হয়েছে বা’দুকুম্ মিম্ বা’দি-অর্থাৎ তোমরা একে অপরের অংশ। এর দ্বারা নারীর অধিকার ও মর্যাদা পুরুষের সমান অবস্থানে অধিক্ষিত করা হয়েছে। লেখক : পীর সাহেব, দ্বারিয়াপুর শরীফ, উপদেষ্টা, ইনস্টিটিউট অব হযরত মুহম্মদ (সা.), সাবেক পরিচালক, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ
×