ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

সংস্কৃতি সংবাদ

কণ্ঠশীলনের ওয়াহিদুল হক স্মারণিক মিলনোৎসব শুরু কাল

প্রকাশিত: ০৫:৫১, ১০ মার্চ ২০১৬

কণ্ঠশীলনের ওয়াহিদুল হক স্মারণিক মিলনোৎসব শুরু কাল

স্টাফ রিপোর্টার ॥ লেখক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও সঙ্গীতজ্ঞ ওয়াহিদুল হকের জন্মদিন ১৬ মার্চ। তার জন্মদিন উপলক্ষে ‘তোমাতে রয়েছে সকল ধর্ম, সকল যুগাবতার’ প্রতিপাদ্যে ‘ওয়াহিদুল হক স্মারণিক মিলনোৎসব ২০১৬’ আয়োজন করেছে তারই হাতে গড়া প্রতিষ্ঠান কণ্ঠশীলন। কেন্দ্রীয় গণগ্রন্থাগারের শওকত ওসমান মিলনায়তনে আগামীকাল শুক্রবার সকাল ১০টায় দুই দিনব্যাপী উৎসবের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য উপদেষ্টা সাংবাদিক ইকবাল সোবহান চৌধুরী। উৎসবে ওয়াহিদুল হকের জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোচনা করবেন মঞ্চসারথী আতাউর রহমান ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি থাকবেন জাতীয় কবিতা পরিষদের উপদেষ্টাম-লীর সদস্য কবি হাবিবুল্লাহ সিরাজী, গণসঙ্গীত সমন্বয় পরিষদের সভাপতি ফকির আলমগীর, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ, বাংলাদেশ পথনাটক পরিষদের সভাপতি মান্নান হীরা, বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আহ্কাম উল্লাহ ও বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সভাপতিম-লীর সদস্য ঝুনা চোধুরী। এ উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবে বুধবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলন হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন কণ্ঠশীলনের সভাপতি আহমাদুল হাসান হাসনু, সাধারণ সম্পাদক রইস উল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ আবদুর রাজ্জাক, ওয়াহিদুল হক স্মারণিক মিলনোৎসবের আহ্বায়ক মীর বরকত, কণ্ঠশীলনের প্রশিক্ষক ও নির্দেশক গোলাম সারোয়ার এবং এটিএন বাংলার প্রোগ্রাম ম্যানেজার আসলাম শিকদার প্রমুখ। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠে মীর বরকত জানান, ’১১ ও ১২ মার্চ অনুষ্ঠান দিনব্যাপী চলবে। উদ্বোধনী আয়োজন শুরু হবে সকাল ১০টায় চলবে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত। দুই দিনের এই আয়োজনে দেশের বরেণ্য সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বরা আলোচনা করবেন। সাংস্কৃতিক পর্বে দেশের অগ্রজ ও অনুজরা অংশ নেবেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত অন্যরা বলেন, ওয়াহিদুল হক আমৃত্যু কণ্ঠশীলন ভাবনাকে ধারণ করেছিলেন, তার স্বপ্ন ছিল এ সংগঠনের সব শিক্ষার্থীকে সঙ্গে নিয়ে সারাদেশে এর কার্যক্রমকে ছড়িয়ে দেয়া। আমরা তার সেই স্বপ্ন এবং কর্মকা- বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সব সদস্যদের মাঝে এই পরিকল্পনা ছড়িয়ে দেয়ার ব্রত নিয়ে দুই দিনের এই অনুষ্ঠানমালার কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। কণ্ঠশীলন উত্তীর্ণ ১ম থেকে ৮৫তম আবর্তনের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ ও তাদের ভাবনাসমূহ গ্রহণের মধ্য দিয়ে কণ্ঠশীলন ওয়াহিদুল হকের কর্মকা-ের বাস্তবায়ন রূপরেখা প্রয়াস পাওয়া যাবে, আমরা তাই আশা করি। এই আয়োজন কেবল অনুষ্ঠান নয়, কেবল পুনর্মিলন নয়, এই আয়োজন দেশের সব সাংস্কৃতিক কর্মীর এক বৃহৎ উৎসবে পরিগণিত হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী শিশুদের কারুশিল্প মেলা দৃকে ॥ গ্যালারিতে শোভা পাচ্ছে ব্লক বাটিক ও সূচিকর্মের নকশা করা শাড়ি, ওড়ানা, থ্রিপিস, কুশন কভার, বেড কভারসহ বিভিন্ন রঙে খচিত নানা রকম পোশাক। গ্যালারির বিভিন্ন কোনে ছোট ছোট টেবিলে রয়েছে নানা রঙের মোম, পুঁতির মালা, ব্যাগ, ফুলদানিসহ বিচিত্র রকমের হস্তশিল্প। অটিস্টিক, বুদ্ধি ও বহুমাতৃক ২৫ জন প্রতিবন্ধী কিশোর-কিশোরীর তৈরি এসব হস্তশিল্প নিয়ে ধানম-ির দৃক গ্যালারিতে বুধবার থেকে শুরু হয়েছে ‘কারুশিল্প মেলা’। তিন দিনব্যাপী এ মেলার আয়োজন করেছে সীড এবং সহযোগিতা করেছে আইডিএলসি ফিন্যান্স লিমিটেড। বিকেলে মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. চৌধুরী মোঃ বাবুল হাসান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের অধ্যাপক সৈয়দ আবুল র্বাক আলভী, এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক কে এম আব্দুস সালাম, জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের পরিচালক ড. মোঃ আনোয়ার উল্লাহ, সাংবাদিক মুস্তাফিজ শফি, সীডের নির্বাহী পরিচালক দিলারা সাত্তার মিতু প্রমুখ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অটিজম ও প্রতিবন্ধী শিশু-কিশোরদের পাশাপাশি আরও উপস্থিত ছিলেন তাদের নিয়ে কর্মরত বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা। দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিল্পী সমাপ্তি রায়ের কণ্ঠে পরিবেশিত ‘আগুনের পরশমণি ছোঁয়াও প্রাণে’ গানটির সঙ্গে অতিথিদের নিয়ে মোম ও প্রদীপ জ্বালিয়ে মেলার উদ্বোধন করে অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী শিশুরা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথিরা বলেন, অটিস্টিক, বুদ্ধি ও বহুমাত্রিক প্রতিবন্ধী কিশোর-কিশোরীদের বৃত্তিমূলক কাজের মেধা, দক্ষতা ও প্রতিভা সবার নজরে আনতে এ প্রদর্শনী খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ ধরনের শিশুরা যখন কোন কাজ করে তখন মন দিয়ে করে। এদের নিয়ে কাজ করা ধৈর্যের ব্যাপার। এদের সঙ্গে বন্ধুত্বের মতো ব্যবহার করেই তাদের প্রতিভার পরিচয় পাওয়া সম্ভব। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে প্রদর্শনীর বিভিন্ন অংশ ঘুরে দেখেন অতিথিরা। এ মেলা চলবে ৯ মার্চ পর্যন্ত এবং প্রতিদিন দুপুর ১২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত দর্শনার্থী ও ক্রেতাদের জন্য খোলা থাকবে।
×