ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

হাইটেক পার্ক নির্মাণে পরিবেশের যেন ক্ষতি না হয়

প্রকাশিত: ০৫:৩৪, ১০ মার্চ ২০১৬

হাইটেক পার্ক নির্মাণে পরিবেশের যেন ক্ষতি না হয়

বিডিনিউজ ॥ তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়নে দেশে যেসব হাইটেক পার্ক গড়ে তোলা হচ্ছে সেগুলোর বাস্তবায়নে প্রাকৃতিক পরিবেশের যেন কোন ক্ষতি না হয় সেদিকে নজর দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার প্রধানমন্ত্রীর দফতরে বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের বোর্ড অব গবর্নরসের সভায় তিনি এ পরামর্শ দেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষা করে আইসিটি পার্কগুলো গড়ে তুলতে হবে। ১৯৯৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার আমলে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে তিনশ’ ৫৫ একর জমিতে হাইটেক পার্ক করার সিদ্ধান্ত হয়, যার কাজ এখন অনেক দূর এগিয়েছে। এছাড়া যশোরে সফটওয়ার টেকনোলজি পার্ক, ঢাকায় জনতা টাওয়ার সফটওয়ার টেকনোলজি পার্ক ও মহাখালী আইটি ভিলেজ, সিলেট ইলেকট্রনিক্স সিটি এবং রাজশাহীতে বরেন্দ্র সিলিকন সিটি স্থাপনের কাজও এগিয়ে চলছে। গোপালগঞ্জ, কুমিল্লা, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, সিলেট, খুলনা, বরিশাল, রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকার কেরানীগঞ্জ, জামালপুর এবং নাটোরেও আইটি পার্ক প্রতিষ্ঠার কাজও প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের বোর্ড অব গবর্নরসের প্রথম বৈঠক হয় এদিন। বৈঠকে হাইটেক পার্কগুলো স্থাপনের কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করা হয় বলে তার প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের জানান। কালিয়াকৈরের হাইটেক পার্কটি সরকারী ও বেসরকারী অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে গড়ে তোলা হচ্ছে বলে জানান তিনি। এজন্য সামিট টেকনোপলিস লিমিটেডের সঙ্গে ২০১৫ সালের ২৮ জুন ২৩৪ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি করে সরকার। ৩৫৫ একর আয়তনের কালিয়াকৈরের এই পার্কের ২৩২ একরকে পাঁচটি ব্লকে ভাগ করা হয়েছে। গত বছর ১৫ অক্টোবর এ পার্কের ভবন নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। হাইটেক পার্কগুলো গড়ে তোলা হলে দেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে বলে আশা প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ পার্কগুলোতে দেশী-বিদেশী বিনিয়োগ হবে এবং রফতানি বৃদ্ধি পাবে। হাইটেক পার্কগুলোতে যেসব পণ্য উৎপাদন হবে সেগুলোর চাহিদা দেশেও রয়েছে বলে জানান তিনি। দেশের হাইটেক পার্কগুলোতে প্রায় দশ লাখ লোকের কর্মসংস্থান হবে এবং এ খাত থেকে পাঁচ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রফতানি করা যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন শেখ হাসিনা। বৈঠকে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শেরিফ, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু, বাংলাদেশ ব্যাংকের গবর্নর আতিউর রহমান, বিনিয়োগ বোর্ডের চেয়ারম্যান সৈয়দ এ সামাদ, মুখ্যসচিব আবুল কালাম আজাদ এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিবরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
×