ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

কলাপাড়ায় বেহাল কমিউনিটি ক্লিনিক ॥ রোগী যেতে সাহস পান না

প্রকাশিত: ০৪:১৭, ১০ মার্চ ২০১৬

কলাপাড়ায় বেহাল কমিউনিটি ক্লিনিক ॥ রোগী যেতে সাহস পান না

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, ৯ মার্চ ॥ ছাদের পলেস্তরা খসে পড়ছে। কার্নিশ বরাবর চারদিকে ফাটল ধরেছে। টয়লেট নেই। পানির ব্যবস্থা নেই। বৃষ্টি হলে পানিতে ওষুধসহ মালামাল ভিজে যায়। রোগী এসে বসতে পারছেন না। জানালা ভেঙ্গে পড়েছে। যে কোন সময় পুরো ভবনটি ধসে পড়ার চরম শঙ্কা রয়েছে। পাটুয়া কমিউনিটি ক্লিনিকের এমন বেহাল দশা হয়েছে। ভবনটিতে চিকিৎসাসেবা তো দূরের কথা, এখন ধসে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। রোগীসহ যে কোন মানুষ এবং কর্মীরা ক্লিনিকে গিয়ে থাকেন অজানা শঙ্কায়। এখন ভয়ে প্রসূতিরা ওই ক্লিনিকে যেতে সাহস পান না। ২০০০ সালে নির্মাণ করা এ ক্লিনিকটি এখন ধসে বিপর্যয়সহ চিকিৎসাসেবা বন্ধের উপক্রম হয়েছে। ফলে অজপাড়াগাঁয়ের অন্তত চার শ’ পরিবার এখন তাদের চিকিৎসাসেবা বন্ধের শঙ্কায় পড়েছেন। চম্পাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রিন্টু তালুকদার জানান, কমিউনিটি ক্লিনিকটির ভবন জরুরীভিত্তিতে মেরামত করা না হলে ধসে পড়ে চিকিৎসাসেবা বন্ধ হয়ে যাবে। পার্বতীপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নাই নাই নিজস্ব সংবাদদাতা পার্বতীপুর থেকে জানান, পার্বতীপুরে একমাত্র ৫০ শয্যাবিশিষ্ট হেলথ কমপ্লেক্স হাসপাতালে ডাক্তার সঙ্কটে চিকিৎসাক্ষেত্রে খারাপ অবস্থা। বুধবার বেলা ১১টার দিকে সরেজমিন হাসপাতালে গিয়ে এ অবস্থা চোখে পড়ে। ইনডোরে সব বেড মহিলা ও পুরুষ রোগীতে ভর্তি। আউটডোরেও অসংখ্য মহিলা, পুরুষ ও শিশু রোগী। তবে দায়িত্বরত ডাক্তার ও নার্সরা জানালেন চাহিদা অনুপাতে ওষুধ সরবরাহ নেই। গত দেড় মাস ধরে এ অবস্থা। কর্তৃপক্ষ জানায়, ডাক্তারের অভাবে জরুরী বিভাগ চালানো যাচ্ছে না। এ বিভাগে নিয়োগকৃত দুই ডাক্তারের একজন সুলতানা আশরাফী আহমেদ মাতৃত্ব ছুটিতে ও অপরজন ডাঃ আতীয়াহ হাসীন ঢাকায় ডেপুটেশনে কর্মরত। সঙ্কট নিরসনে হরিরামপুর, বেলাইচন্ডি, চন্ডিপুর ও হামিদপুর ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে যথাক্রমে ডাক্তার হুমায়ুন রশীদ, আফরোজা সুলতানা, রায়হান আলী ও নাসরিন জাহানকে শিফটিং ডিউটিতে এনে হাসপাতালের জরুরী বিভাগ চালানো হচ্ছে। আল্ট্রাসনোগ্রাম রুম বন্ধ। টেকনিশিয়ানের অভাবে এটি পড়ে আছে। এক্সরে মেশিন দীর্ঘদিন ধরে খারাপ। ফলে রেডিওগ্রাফার দিলীপ দত্তের কাজ নেই। তিনি বসে থেকে বেতন তুলছেন। অনুরূপ অবস্থা এ্যাম্বুলেন্সের। এ্যাম্বুলেন্স খারাপ হয়ে পড়ে থাকায় ড্রাইভার আরিফুল ইসলাম অলিখিত ছুটি ভোগ করছেন। স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ নবিউর রহমান জানান, লেখালেখি ও পত্র যোগাযোগে নথিই শুধু ভারি হয়েছে। কাজ হয় না।
×