ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

চেতনায় মুক্তিযুদ্ধ

সমাজ ভাবনা ॥ এবারের বিষয় ॥ মুক্তিযুদ্ধ- নতুন প্রজন্মের ভাবনায়

প্রকাশিত: ০৩:৪১, ১০ মার্চ ২০১৬

সমাজ ভাবনা ॥ এবারের বিষয় ॥ মুক্তিযুদ্ধ- নতুন প্রজন্মের ভাবনায়

ইসলাম তরিক কোটি মানুষের আর্তনাদ, লাখো প্রাণের বলিদান, হাজারো মা বোনের সম্ভ্রম ও অজস্র মানুষের নিঃস্বার্থ ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের এই স্বাধীনতা। একাত্তরের সেই ভয়াবহ মুক্তিযুদ্ধের ফসল, আজকের এই স্বাধীনতা। স্বাধীনতা বাঙালীর শ্রেষ্ঠ অর্জন। সারা বিশ্বের মানচিত্রে বাঙালীদের এই অর্জন, বাঙালীদের শ্রেষ্ঠত্বের আসনে বসিয়ে রেখেছে। এই স্বাধীনতা বিশ্বদরবারে প্রমাণ করে দিয়েছে, বাংলার দামাল ছেলেদের বীরত্বগাথা ইতিহাসের কথা। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে বাংলার জনগণের বীরত্ববোধ ও একাত্মবোধ বিশ্বদরবারে আজও এক একটি বিস্ময়। সেদিনের একাত্মবোধটাই বিশেষ করে আমাদের বিজয়কে ত্বরান্বিত করেছিল। কিন্তু বড্ড আফসোস আজ আমাদের মাঝে সেই একাত্মবোধটা নেই। যে যার ইচ্ছেমতো স্বাধীনতার নিষ্কলুষ ইতিহাসকে বিকৃত করে চলেছে। মুক্তিযুদ্ধকে যতটা মূল্যায়ন করা দরকার, ততটা করছি না। মুক্তিযুদ্ধ যে আমাদের চেতনার রং সে কথা আমরা ভুলে যাচ্ছি বার বার। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছাড়া আমাদের সামনে চলা নিষ্ফল। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়েই আমাদের সামনে এগুতে হবে। আর এজন্য নতুন প্রজন্মের পাশে দাঁড়াতে হবে বিজ্ঞ অভিভাবকদের। আমাদেরকে জানাতে হবে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস। শেখাতে হবে মুক্তিযুদ্ধের অবদান ও মূল্যায়ন। বিবেকের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে বার বার নিঃস্ব হয়েছি। ফিরেছি শূন্য হাতে। সত্যই কি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আমরা গুলিয়ে ফেলেছি? নয়ত আজ স্বাধীন দেশের এমন বেহাল অবস্থা কেন? এর জন্য দায়ী কে? নিশ্চয় আমাদের অভিভাবক সমাজ। তারা অক্ষম আমাদের হৃদয় মন্দিরে মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ জাগাতে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় মাখা রক্তিম রং নতুন প্রজন্মের ভেতর জাগাতে না পারলে, বাঙালীর বীরত্ব বেশিদিন থাকবে না। সুসংগঠিত হবে না দেশ ও জাতি। তাই দেশ ও জাতিকে জাগ্রত করতে নতুন প্রজন্মকে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত করার বিকল্প কিছু নেই। আজকে বিষয়টি তুচ্ছ ভাবলে, আগামীতে বাঙালী নিঃস্ব হয়ে যাবে। তাই আসুন, নতুন প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরি। সমৃদ্ধ করি দেশ ও জাতিকে। সান্তাহার, বগুড়া থেকে
×