বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার ॥ প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. গওহর রিজভী বলেছেন, অধিকার কেউ হাতে তুলে দেয় না। সব অধিকার কেড়ে নিতে হয়। আপনাদের ভোটের অধিকার কেউ হাতে তুলে দেয়নি। অনেক সংগ্রাম করে আপনারা নিজেদের ভোটের অধিকার অর্জন করেছেন। ধাপে ধাপে সংগ্রাম করে, আন্দোলন করে অধিকার আদায় করতে হয়। তাই বাকি অধিকারগুলোও আপনা আপনি আসবে না, আন্দোলন-সংগ্রাম করে অধিকার আদায় করে নিতে হবে। এখন পর্যন্ত এ দেশের নারীরা উত্তরাধিকার সম্পত্তির অধিকার পায়নি। এজন্যও আপনাদের গলা তুলে দাবি করতে হবে। আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আয়োজিত এক সমাবেশ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। নারীর অর্জন ও সাফল্যকে স্থায়ী করার লক্ষ্যে চাই আরও রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক উদ্যোগ শীর্ষক ওই সমাবেশের আয়োজন করে বিভিন্ন নারী, মানবাধিকার এবং উন্নয়ন সংগঠনের প্লাটফর্ম সামাজিক প্রতিরোধ কমিটি।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি আয়শা খানমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ইউএন উইমেনে বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ ক্রিস্টিন সুসান হান্টার, ইউএনএফপিএ বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ আরজেন্টিনা পি ম্যাটাভেল প্রমুখ। এর আগে কবিতা আবৃত্তি এবং গানের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুরু হয়।
এ সময় অধ্যাপক ড. গওহর রিজভী আরও বলেন, নারীর প্রতি আমাদের মনোভাব বদলাতে হবে। এখনও আমাদের মনোভাব খুবই পুরুষতান্ত্রিক। পুরুষরা নারীদের সুবিধা দিবে এটা হবে না। মানুষ হিসেবে নারীর প্রাধান্য এটা তাদের অধিকার। যখন পর্যন্ত আমরা সমাজের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন করতে পারব না, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা কিছুই করতে পারব না। কিছুদিন আগে আপনারা দেখেছেন হেফাজতে ইসলাম নারীদের কোথায় নামিয়ে নিয়ে গেছে। আমরা কি এ ধরনের গণতন্ত্র চাই। তাই সব রাজনৈতিক দলকে নারীদের অধিকার তাদের নির্বাচনী মেনিফেস্টতে দিতে হবে। যদি না দিতে পারে, তাহলে ভোট দেয়ার অধিকার আপনাদের। আপনারা ভোট দেয়ার সময় চিন্তা করে দেখবেন, তাদের ভোট দেবেন কি না?
সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি আয়শা খানম বলেন, নারীদের সম্পর্কে সবার মনোভাবের পরিবর্তন হচ্ছে। নারীরা দৈহিকভাবে দুর্বল এটা মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। এদেশের নারীরা ঝুঁকি নিয়ে কলে-কারখানায়, অফিস-আদালতে কাজ করছেন। এ দেশের অর্থনৈতিক শক্তির মূল চালিকাশক্তি কৃষক ও নারী।
এ দেশের নারীরা বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের স্বপ্ন সফল করছে। আজকে তারা সাহসের সঙ্গে রাষ্ট্র পরিচালনা করছেন।