ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

শেখ জামালের লড়াকু হার

প্রকাশিত: ০৬:১১, ৯ মার্চ ২০১৬

শেখ জামালের লড়াকু হার

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ফলটা অনুমেয়ই ছিল। তবে প্রশ্ন ছিল, কত গোলে হবে সেই হার? অনেকেই ভেবেছিলেন কমপক্ষে এক হালি তো হবেই। কিন্তু না। মোটামুটি ভাল খেলেই হেরেছে শেখ জামাল ধানম-ি ক্লাব লিমিটেড। মঙ্গলবার এএফসি কাপের চূড়ান্ত পর্বের ‘হোম’ ম্যাচে শেখ জামাল ২-০ গোলে হারল ফিলিপিন্সের সেরেস লা সাল্লে ফুটবল ক্লাবের কাছে। জোড়া গোল করেন ক্লাবটির ফরোয়ার্ড আদ্রিয়ান গ্যালার্দো। এ নিয়ে টানা দুই ম্যাচ হারল জামাল। প্রথম ম্যাচে তারা সিঙ্গাপুরের ক্লাব টেম্পাইন রোভার্সের কাছে ৪-০ গোলে হেরেছিল। পক্ষান্তরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে মালয়েশিয়ার সেলানগোর এফএ’র সঙ্গে ২-২ গোলে ড্র করেছিল সেরেস। জামালের পরের ম্যাচ আগামী ১৫ মার্চ ঢাকায় মালয়েশিয়ার সেলানগোর এফএর সঙ্গে। মাঠে নামার আগের দিনই দলের কোচ শফিকুল ইসলাম মানিক আভাস দিয়েছিলেন এখনও সেভাবে গুছিয়ে উঠতে না পারায় শেখ জামালের পক্ষে ম্যাচ জেতা অনেক কঠিন। তবে জয়ের আশাটা ঠিকই থাকবে। আশা আশাই থেকে গেছে। তা আর বাস্তবে রূপ নেয়নি। তবে সান্ত¡না একটাইÑ হারলেও বাজেভাবে হারেনি তারা। তবে মাঝমাঠের দুর্বলতা এবং খেলোয়াড়দের মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়ার অভাবেই হেরেছে জামাল। প্রথমার্ধেই দুই গোল খেয়ে পিছিয়ে পড়া জামাল অবশ্য দ্বিতীয়ার্ধে তুলনামূলক ভাল খেলেছে। এই অর্ধে তারা কোন গোল হজম করেনি। এমনকি খেলা শেষ হওয়ার ১৫ মিনিট আগে দশজনের দলে পরিণত হলেও বিপক্ষ দলকে গোল করতে দেয়নি তারা। এটাই যা সান্ত¡না! সেরেস দলে রয়েছে স্প্যানিশ ও কোরিয়ান ফুটবলার। রয়েছে ফিলিপিন্সের জাতীয় দলেরও বেশকিছু ফুটবলার। তাই এমন দলের সঙ্গে এই ব্যবধানে হার জামালের জন্য মন্দ নয়। ২৫ মিনিটে এগিয়ে যায় ফিলিপিন্সের ক্লাবটি। মিডফিল্ডার প্যাট্রিক আলসালার ক্রস কাজে লাগিয়ে গোল আদায় করে নেন ফরোয়ার্ড আদ্রিয়ান গ্যালার্দো (১-০)। ২৯ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে সফরকারীরা। মার্কাস সর্কের পাসে বল পয়ে বক্সে ঢুকে জামালের আগুয়ান গোলরক্ষক শহীদুল আলম সোহেলকে পরাস্ত করেন গ্যালার্দো (২-০)। প্রথমার্ধের শেষ মিনিটে ব্যবধান কমানোর একটা সুযোগ এসেছিল জামালের। ওয়েডসনের ফ্রি কিকে হেড নিয়েছিলেন ল্যান্ডিং ডার্বোয়ে। কিন্তু অল্পের জন্য বল জড়ায়নি জালে। দুর্ভাগ্যই জামালের ফিরতি বলে বক্সে দাঁড়ানো ফুটবলাররা আরেক দফা চেষ্টা চালিয়েছিলেন। কিন্তু দক্ষতার সঙ্গেই বল বাইরে পাঠিয়েছে সেরেসের ডিফেন্ডাররা। ৭৫ মিনিটে দশ জনের দলে পরিণত হয় শেখ জামাল। দ্বিতীয়বারের মতো হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন ডিফেন্ডার ইয়াসিন খান। বক্সের বাইরে থেকে প্রতিপক্ষের ফ্রি কিক কোনমতে ঝাঁপিয়ে পড়ে রক্ষা করেছেন গোলরক্ষক শহীদুল আলম সোহেল। এশিয়ান ফুটবলে বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থান ‘ইস্ট জোন’-এ। এই অঞ্চল থেকে এএফসি কাপে অংশগ্রহণ করবে মোট ১৬ দল। ইন্দোনেশিয়া ও কুয়েতের ওপর নিষেধাজ্ঞা আর আফগানিস্তান ও উত্তর কোরিয়ার ক্লাবগুলো নাম প্রত্যাহার করে নেয়ায় সবমিলিয়ে দলই থাকছে ১৬টি। তাই এএফসি কাপের প্লে অফ বা বাছাইপর্বের প্রয়োজন হচ্ছে না। ম্যাকাওয়ের বেনফিকা ও স্বাগতিক কিরগিজ ক্লাব এফসি আলগাকে টপকে প্লে অফের ছাড়পত্র পেয়েছিল শেখ জামাল। এএফসি কাপে চ্যাম্পিয়ন দল প্রাইজমানি হিসেবে পাবে সাড়ে তিন লাখ ডলার। রানার্সআপ দল পাবে আড়াই লাখ ডলার। সেমিফাইনালিস্ট, কোয়ার্টার ফাইনালিস্ট এবং সেরা ১৬ অবস্থান করা দলগুলো পাবে যথাক্রমে ৪০, ২৫ এবং ১৫ হাজার ডলার করে। এখন দেখার বিষয়, শেখ জামাল তাদের পরের ম্যাচে কেমন ফল করে।
×