ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

কনডেম সেলে ফাঁসি বহালের রায় শুনেছেন মীর কাশেম

প্রকাশিত: ০৫:৫০, ৯ মার্চ ২০১৬

কনডেম সেলে ফাঁসি বহালের রায় শুনেছেন মীর কাশেম

নিজস্ব সংবাদদাতা, গাজীপুর, ৮ মার্চ ॥ গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের কনডেম সেলে বন্দী যুদ্ধাপরাধের মামলায় ফাঁসির দ-প্রাপ্ত আসামি জামায়াতের নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও দিগন্ত মিডিয়া কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান মীর কাশেম আলী মঙ্গলবার আপীল বিভাগের রায়ে ফাঁসির দ- বহাল রাখার খবর কয়েক ঘণ্টা পর দুপুরে শুনেছেন। অনানুষ্ঠানিকভাবে রায়ের এ খবর শোনার পর তার মধ্যে তেমন কোন প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। এতে তিনি ভেঙ্গে পড়েননি বা বিচলিত হননি। এমনকি দুপুরে স্বাভাবিকভাবেই খাওয়া দাওয়া করেছেন বলে কারা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২-এর সুপার প্রশান্ত কুমার বণিক জানান, মীর কাশেম আলী এ কারাগারের ৪০ নম্বর কনডেম সেলে বন্দী রয়েছেন। এর আগে গ্রেফতারের পর ২০১২ সাল থেকে তিনি এ কারাগারে রয়েছেন। একাত্তরে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে ২০১২ সালের ১৭ জুন মতিঝিলে নয়া দিগন্ত কার্যালয় থেকে কাশেমকে গ্রেফতার করা হয়। পরের বছর ৫ সেপ্টেম্বর অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে ট্রাইব্যুনালে শুরু হয় তার যুদ্ধাপরাধের বিচার। ২০১৪ সালের আগে তিনি হাজতবাসকালে ডিভিশনপ্রাপ্ত বন্দীর মর্যাদায় ছিলেন। পরে দ-প্রাপ্তির পর তাকে ফাঁসির (কনডেম) সেলে পাঠানো হয়। মঙ্গলবার সকালে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির আপীল বেঞ্চ ট্রাইব্যুনালের দেয়া সর্বোচ্চ সাজার রায় বহাল রেখে রায় ঘোষণা করেন। তার কক্ষে টেলিভিশন কিংবা কোন রেডিও না থাকায় মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকেও তার ফাঁসির দ-াদেশের বিরুদ্ধে করা আপীল বহালের রায়ের বিষয়টি তিনি জানতে পারেননি। তবে দুপুরে তিনি (মীর কাশেম) কোন না কোনভাবে তার ফাঁসি বহালের রায়ের খবর জানতে পেরেছেন। তবে কিভাবে তিনি জানতে পেরেছেন সে ব্যাপারে কোন তথ্য জানাতে পারেননি ওই কারা সুপার। তবে মীর কাশেম আলী ওই রায়ের সংবাদটি শুনেছেন বলে জানতে পেরেছেন। ওই কারা সুপার জানান, রায় ঘোষণার প্রায় তিন ঘণ্টা পর অনানুষ্ঠানিকভাবে রায়ের সংবাদটি তিনি জেনেছেন। রায়ের খবর জানার পর তার মধ্যে তেমন কোন প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। রায় এমন হতে পারে বলে আগে থেকেই মীর কাশেম আলীর মনোবল শক্ত ছিল বলে আঁচ করা গেছে। রায় শোনার পর তিনি ভেঙ্গে পরেননি বা বিচলিত হননি। এ ব্যাপারে রিভিউ করতে পারেন বলে ইঙ্গিত পেয়েছেন কারা কর্তৃপক্ষ। তিনি স্বাভাবিকভাবেই দুপুরে কারাগার থেকে দেয়া মাছ, সবজি ও ডাল ভাত খেয়েছেন। এদিন তার সঙ্গে দেখা করতে কেউ কারাগারে আসেননি।
×