ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

খুলনা অঞ্চলের রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলো ফের অর্থ সঙ্কটে

প্রকাশিত: ০৪:০৯, ৯ মার্চ ২০১৬

খুলনা অঞ্চলের রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলো ফের অর্থ সঙ্কটে

স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা অফিস ॥ খুলনা অঞ্চলের রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলো আবার অর্থ সঙ্কটে পড়েছে। টাকার অভাবে মিলগুলো প্রয়োজনীয় পাট কিনতে পারছে না। শ্রমিক-কর্মচারীদের মজুরি ও বেতন দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। বিক্রিতে আশানুরূপ সাড়া না মেলায় মিলগুলোতে বস্তার স্তূপ জমেছে। এদিকে বকেয়াসহ ৫দফা দাবিতে শ্রমিকরা আন্দোলন কর্মসূচী দিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ পাটকল কর্পোরেশন (বিজেএমসি) নিয়ন্ত্রিত খুলনা অঞ্চলের ৮ পাটকলে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ১০ লাখ ৪০ হাজার কুইন্টাল অর্থাৎ ২৬ হাজার মণ পাট কেনার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। কিন্তু এ পর্যন্ত কেনা সম্ভব হয়েছে মাত্র সাড়ে তিন লাখ কুইন্টাল অর্থাৎ পৌনে নয় লাখ মণ। যা লক্ষ্যমাত্রার মাত্র ৩৪ শতাংশ। অর্থ সঙ্কটে মিলগুলো এখন প্রয়োজনীয় কাঁচাপাট কিনতে পারছে না। মিলে পর্যাপ্ত পাট না থাকায় নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা পূরণে হিমশিম খেতে হচ্ছে। বর্তমানে দেশে বিজেএমসি নিয়ন্ত্রিত সবচেয়ে বড় জুট মিল হচ্ছে খুলনার খালিশপুর ক্রিসেন্ট জুট মিল। এই মিলে ৭-৮ দিনের পাট মজুদ আছে। প্লাটিনাম জুট মিলে ৬দিনের, স্টার জুট মিলে ১০ দিনের, ইস্টার্ন জুট মিলে ১৪ দিনের, কার্পেটিং জুট মিলে ২২ দিনের, জে জে আই জুট মিলে ২৩ দিনের, খালিশপুর জুট মিলে ২৫ দিনের ও দৌলতপুর জুট মিলে এক মাসের পাট মজুদ রয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে। জানা গেছে, বাংলাদেশ পাটকল কর্পোরেশনের (বিজেএমসি) আওতায় খুলনা অঞ্চলে পাটকল রয়েছে ৯টি। এর মধ্যে খুলনার আলিম জুট মিলটি ব্যক্তিমালিকানায় ছেড়ে দিতে উচ্চ আদালতের নির্দেশ থাকায় ওই মিলটির উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। বাকি খুলনার ক্রিসেন্ট, প্লাটিনাম, স্টার, খালিশপুর, দৌলতপুর ও ইষ্টার্ন এবং যশোরের নওয়াপাড়ায় যশোর জুট ইন্ডাস্ট্রিজ (জেজেআই) ও কার্পেটিং জুটমিলে মোট শ্রমিক রয়েছেন প্রায় ৪০ হাজার। এর মধ্যে স্থায়ী শ্রমিক প্রায় ২০ হাজার। বাকি সব বদলি শ্রমিক। এসব মিলে শ্রমিকদের ২ সপ্তাহ থেকে ৭-৮ সপ্তাহের মজুরি এবং কর্মচারীদের ১ থেকে ২ মাসের বেতন বাকি পড়েছে।
×