ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

কৃষকের আবাসিক বিদ্যুত বিল ১০ লাখ টাকা!

প্রকাশিত: ০৩:৫৩, ৯ মার্চ ২০১৬

কৃষকের আবাসিক বিদ্যুত বিল ১০ লাখ টাকা!

নিজস্ব সংবাদদাতা, টাঙ্গাইল, ৮ মার্চ ॥ সখীপুরে এক কৃষকের নামে ১০ লাখ ১০ হাজার ৬৯০ টাকা আবাসিক বিদ্যুৎ বিল এসেছে। ভৌতিক বিল পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন ওই কৃষক। বাড়ি-ঘর বিক্রি করেও ওই বিল পরিশোধ করা যাবে না বলে তিনি জানিয়েছেন। ২৩ ফেব্রুয়ারি ছিল বিল পরিশোধের শেষ দিন। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি তিনি বিলটি হাতে পেয়েছেন। কৃষকের নাম আন্তাজ আলী। তার বাড়ি উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল উত্তর ইছামারি গ্রামের আবেদনগর বাজার এলাকায়। আন্তাজ আলী তার বাড়িতে পাঁচটি বৈদ্যুতিক বাতি, তিনটি পাখা, একটি টেলিভিশন ও পানির জন্য একটি দেড় ইঞ্চি মটর ব্যবহার করেন বলে স্থানীয় বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) মিটার পাঠকের ২০১৪ সালের ১৬ মার্চ করা প্রতিবেদন থেকে তথ্য পাওয়া গেছে। আন্তাজ আলী ও স্থানীয় বিদ্যুৎ কার্যালয় সূত্র জানায়, ২০০২ সালের দিকে সখীপুর উপজেলা বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) আবাসিক সংযোগ নেন আন্তাজ আলী। যার হিসাব নং ৫২৪৬ ও গ্রাহক নং ৭৪৭১৭৫৩৯। ২০১২ সাল পর্যন্ত তিনি নিয়মিত বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করে এলেও ২০১৩ সালের জানুয়ারি মাসে ৪৪ হাজার টাকার বিল তাকে দেয়া হয়। হঠাৎ করে এ ধরনের অস্বাভাবিক বিল আসায় তিনি সখীপুর বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগে যোগাযোগ করলে বিলটি সংশোধন করা হবে বলে তাকে আশ্বাস দেয়া হয়। এ নিয়ে পুনরায় অভিযোগ করলে ওই গ্রাহকের মিটারটি নষ্ট দাবি করে পরীক্ষার জন্য তা খুলে আনা হয়। এরপর থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ থাকলেও কিছুদিন পর সাত লাখ ৫০ হাজার টাকার আরেকটি বিল তার নামে পাঠানো হয়। এতে তিনি দিশেহারা হয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে যোগাযোগ করেন। পরে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে সখীপুর বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ সরেজমিন তদন্ত করে প্রতিবেদন তৈরি করে। জানা যায়, ওই গ্রাহকের মিটারটি এনালগ হওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে প্রতিমাসে ২০০ ইউনিটের গড়বিল করা হচ্ছিল। ২০১৩ সালের দিকে মিটার রিডিং ১৫২১৫তে পৌঁছে। মিটারের সঙ্গে বিলের সমন্বয় করতে শুধু ২০১৩ সালের জানুয়ারি মাসে ৫৫৪০ ইউনিটের বিল ৪৪ হাজার টাকা করতে বাধ্য হয়। এরপর থেকে প্রতিমাসে ২০০ ইউনিটের বিল করার জন্য প্রতিবেদনে বলা হলেও কম্পিউটারে সংশোধন না হওয়ায় প্রতি মাসে সেই জানুয়ারির মতো ৪৪ হাজার টাকা করে বিল আসতেই থাকে। সখীপুর বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহাদাত আলী বলেন, বিলটি নিয়ে আপত্তি রয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
×