ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

যুদ্ধাপরাধী বিচার

মাওলানা সাখাওয়াতসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে অষ্টম সাক্ষীর জবানবন্দী

প্রকাশিত: ০৫:৫৮, ৮ মার্চ ২০১৬

মাওলানা সাখাওয়াতসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে অষ্টম সাক্ষীর জবানবন্দী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে যশোরের সাবেক সংসদ সদস্য মাওলানা সাখাওয়াত হোসেনসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের অষ্টম সাক্ষী হাসান আলী শেখ ও নবম সাক্ষী কামাল সর্দার জবানবন্দীতে বলেছেন, সাখাওয়াতের নির্দেশে রাজাকার খালেক মিরন শেখকে গুলি করে। পরে মিরন শেখকে চিংড়া বাজার রাজাকার ক্যাম্পে নিয়ে যায়। সাক্ষীদের জবানবন্দী শেষে আসামি পক্ষের আইনজীবী তাদের জেরা করেন। পরবর্তী সাক্ষীর জন্য ১৫ মার্চ দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। বিচারপতি শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে দুই সদস্যবিশিষ্ট আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ সোমবার এ আদেশ প্রদান করেছে। এ সময় প্রসিকিউশন পক্ষে উপস্থিত ছিলেন প্রসিকিউটর জিয়াদ আল মালুম, প্রসিকিউটর রিজিয়া সুলতানা চমন। আর আসামি পক্ষে ছিলেন সাত্তার পালোয়ান ও আব্দুস শুকুর। প্রসি্িকউশনের অষ্টম সাক্ষী তার জবানবন্দীতে বলেন, আমার নাম হাসান আলী শেখ। আমার বর্তমান বয়স ৯১ বছর। আমার ঠিকানা গ্রাম-মহাদেবপুর, থানা-কেশবপুর, জেলা-যশোর। একাত্তরে আমি কৃষি কাজ করতাম। আমি প্রাইমারি পর্যন্ত লেখাপড়া করেছি। একাত্তর সালে গ্রামের মিরন শেখ মুক্তিযুদ্ধে নাম লিখিয়েছিলেন। মিরন শেখ স্থানীয় রাজাকারদের সংবাদ মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে পৌঁছে দিত। মিরন শেখের ভাইপো লিয়াকত আলী মুক্তিযোদ্ধা হওয়াতে ১৯৭১ সালে আশ্বিন মাসে সকাল ১০ সাড়ে ১০টার দিকে চিংড়া রাজাকার ক্যাম্প থেকে ৩০/৪০ রাজাকার আসাদের গ্রামে আসে। তারা মুক্তিযুদ্ধের সমর্থক ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বাড়িঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়। এই সময় আমি আমার বাড়িতে ছিলাম। ঐ ঘটনা দেখে আমি আমার বাড়ির উত্তর দিকে ঝোঁপের ভেতরে লুকাই। সাক্ষী আরও বলেন, একটু পরে এখান থেকে দেখতে পাই যে, মিরন শেখ তার বাড়ি থেকে দৌড়ে মাঠের দিকে পালাচ্ছে। রাজাকাররা তার পেছনে থেকে ধাওয়া করছে। তখন মিরন শেখ মাঠের মধ্য গিয়ে দুই হাত তুলে দাঁড়িয়ে পড়ে। রাজাকাররা এ সময় মিরন শেখকে ঘিরে ফেলে। আমি আরও দেখতে পাই যে, রাজাকার খালেক মিরন শেখকে গুলি করে এর পর রাজাকাররা মিরন শেখকে চিংড়া বাজার রাজাকার ক্যাম্পে নিয়ে যায়।
×