ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

১৩২০ মে.ও. বিদ্যুত কেন্দ্র হচ্ছে পায়রা বন্দরে

প্রকাশিত: ০৫:৪৫, ৮ মার্চ ২০১৬

১৩২০ মে.ও. বিদ্যুত কেন্দ্র হচ্ছে পায়রা বন্দরে

রশিদ মামুন ॥ এবার রুরাল পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (আরপিসিএল) এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট কয়লাচালিত বিদ্যুত কেন্দ্র স্থাপন করতে যাচ্ছে। বিদ্যুত কেন্দ্রটি পটুয়াখালীর পায়রা বন্দরে নির্মাণ করা হবে। আরপিসিএল এবং নরিনকো ইন্টারন্যাশনাল চায়না এজন্য শীঘ্রই একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করবে। ইতোমধ্যে প্রকল্প এলাকা নির্ধারণ করে মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিয়েছে আরপিসিএল। আর গত ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রকল্পর জন্য ৯১৮ একর জমি অধিগ্রহণের জন্য পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসককে অনুরোধ জানিয়েছে সরকারী এই বিদ্যুত উৎপাদন কোম্পানটি। আরপিসিএল ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুত কেন্দ্রর প্রকল্প পরিচালক সেলিম ভূঁইয়া জনকণ্ঠকে জানান, আগামী ১৫ মার্চ বিদ্যুত কেন্দ্রটির সমঝোতা স্মারক (এওইউ)-এর খসড়া নিয়ে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা হওয়ার কথা রয়েছে। ওই বৈঠকের পর আশা করা হচ্ছে এমওইউটির অনুমোদন দেয়া হবে। এমওইউ অনুমোদন পেলে নরিনকো ইন্টারন্যাশনাল চায়নাকে এমওইউ স্বাক্ষরের আমন্ত্রণ জানানো হবে। মন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, রামপালের প্রক্রিয়া অনুসরণ করে পটুয়াখালীতে নর্থ ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি একটি এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট কয়লাচালিত বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণ করছে। একই প্রক্রিয়ায় আরপিসিএলও একটি বড় কয়লাচালিত বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণ করবে। এই প্রক্রিয়ায় প্রথমে নরিনকো চায়নার সঙ্গে এমওইউ হবে। এরপ্রেক্ষিতে বিদ্যুত কেন্দ্রর অর্ধেক মালিকানা থাকবে বাংলাদেশ এবং বাকি অর্ধেক মালিকানা থাকবে চায়নার হাতে। বিদ্যুত কেন্দ্রটির ৩০ ভাগ অর্থ চায়না এবং বাংলাদেশ সরবরাহ করবে। বাকি অর্থ আসবে বৈদেশিক ঋণ সহায়তা থেকে। আরপিসিএল বলছে প্রাথমিকভাবে চায়না এক্সিম ব্যাংক এবং এশিয়ান এন্ফ্রাসটেকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক (এআইআইবি) থেকে ঋণ নেয়ার কথা সরকারকে জানানো হয়েছে। চীনের নরিনকোর সহায়তায় বিদ্যুত কেন্দ্রটির অর্থায়ন সংস্থান করা হবে। নরিনকোর কয়লাচালিত বিদ্যুত কেন্দ্র পরিচালনায় অভিজ্ঞতা থাকায় বিদ্যুত কেন্দ্রটি পরিচালনা কোন সমস্যা হবে না। বিদ্যুত বিভাগ বলছে দেশের প্রত্যেকটি সরকারী কোম্পানিকে কয়লাচালিত বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণের লক্ষ্য নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। পটুয়াখালীতে নর্থওয়েস্টের সঙ্গে আরপিসিএল এবং আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশনকে তিনটি ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। যার দ্বিতীয়টি নির্মাণ প্রক্রিয়া শুরু করেছে আরপিসিএল। বিদ্যুত কেন্দ্রটি নির্মাণে ৯১৮ দশমিক ১৪ একর জমি প্রয়োজন। ইতোমধ্যে পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসককে জমি অধিগ্রহণের অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে। সূত্র বলছে পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার নিশানবাড়িয়া, ধানখালী এবং লোন্দা মৌজায় শীঘ্রই জমি অধিগ্রহণ শুরু করবে জেলা প্রশাসন। ৯১৮ এর জমির মধ্যে ২৫ দশমিক ৭৯ একর বসতভিটা এবং বাকি ৮৯২ দশমিক ৩৫ একর মৌসুমী চাষযোগ্য নাল জমি।
×