ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

টক অব দ্য কান্ট্রি ॥ মীর কাশেমের রায় আজ

প্রকাশিত: ০৫:৪০, ৮ মার্চ ২০১৬

টক অব দ্য কান্ট্রি ॥ মীর কাশেমের রায় আজ

বিকাশ দত্ত ॥ গত কয়েকদিনে দেশের সর্বাধিক আলোচিত বিষয় মীর কাশেম আলীর মামলার আপীল বিভাগের রায় আজ। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক মৃত্যুদ-প্রাপ্ত বদর বাহিনীর তৃতীয় শীর্ষ নেতা তৎকালীন ইসলামী ছাত্রসংঘের সাধারণ সম্পাদক, চট্টগ্রামের বাঙালী খান, জামায়াতে ইসলামীর নির্বাহী পরিষদের সদস্য মীর কাশেম মূলত জামায়াতের দেশী ও বিদেশী অর্থের কা-ারি। সুপ্রীমকোর্টের আপীল বিভাগের এক নম্বর কোর্টের কার্যতালিকায় এক নম্বরে রাখা হয়েছে রায় ঘোষণার জন্য এ মামলাটি। প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার নেতৃত্বে ৫ সদস্য বিশিষ্ট আপীল বিভাগ এ রায় ঘোষণা করবেন। বেঞ্চের অন্য সদস্যগণ হলেন বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার ও বিচারপতি মোহাম্মদ বজলুর রহমান। এটি হবে আপীল বিভাগের সপ্তম রায়। মুক্তিযুদ্ধের সময় ৩০ লাখ শহীদ ৪ লাখ নির্যাতিত পরিবারের সদস্যসহ দেশের ১৬ কোটি জনগণ আপীল বিভাগের দিকে তাকিয়ে আছে। রায় সন্তোষজনক হলে শহীদের আত্মা শান্তি পাবে। রায়ে জামায়াতের অর্থ যোগানদাতা মীর কাশেমের ট্রাইব্যুনালের দেয়া মৃত্যুদ- বহাল থাকবে না দ- কমবে? মীর কাশেমের হাত অনেক লম্বা। এদিকে রাষ্ট্রপক্ষ এবং আসামিপক্ষ থেকে বলা হয়েছে তারা ন্যায়বিচার পাবেন। যুক্তি-তর্কে ট্রাইব্যুনালের দেয়া সর্বোচ্চ দ- বহাল রাখার আর্জি জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী। অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী দ- থেকে খালাস চেয়েছেন। জামায়াতে ইসলামীর প্রধান আর্থিক প্রতিষ্ঠান প্রধান অর্থ জোগানদাতা ইসলামী ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, অন্যতম প্রধান যুদ্ধাপরাধী মীর কাশেমের প্রচুর অর্থবৈভবের মালিক। তার অর্থ দেশ-বিদেশে ঢেলেছেন। ২৫ মিলিয়ন ডলারে নিয়োগ দিয়েছেন লবিস্ট। মীর কাশেমের লবিস্ট টবি ক্যাডম্যান যুদ্ধাপরাধীর বিচার নিয়ে বিদেশে অপপ্রচার চালাচ্ছেন। এখন প্রধান বিচারপতির বক্তব্যের পর যুদ্ধাপরাধ বিচার ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এবং তার মতে প্রধান বিচারপতি মন্তব্য থেকে প্রতীয়মান হয় যুদ্ধাপরাধ মামলাসমূহের বিচার প্রক্রিয়ায় ত্রুটি রয়েছে। টবি ক্যাডম্যানের এ বক্তব্যের পর আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ হয়েছে। এখন আপীলের চূড়ান্ত রায়ের জন্য কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হবে। নানা কারণে মীর কাশেম আলীর মামলাটি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। মীর কাশেমের মামলা আপীলে শুনানি চলাকালে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রধান বিচারপতি বলেছিলেন, রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এবং তদন্ত সংস্থা যে গাফিলতি করেছে এজন্য তাদের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো উচিত। মামলাগুলো যখন আমরা পড়ি, তখন আমাদের গা ঘিনঘিন করে তাদের মামলা পরিচালনা দেখে। সব মামলায় এটা হয়ে আসছে। প্রসিকিউশন, তদন্ত সংস্থার পেছনে রাষ্ট্রের লাখ লাখ টাকা খরচ হচ্ছে। কিন্তু তারা এসব কী মামলা পরিচালনা করছে? ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা শুধু ব্যস্ত টিভিতে চেহারা দেখানো নিয়ে। তারা দামী দামী গাড়ি চড়েন আর পুলিশের হুইসেল দিয়ে ঘুরে বেড়ান। এমনকি তিনি এও বলেন আপনারা মামলা নিয়ে রাজনীতি করেন। এরপর যুদ্ধাপরাধীদের আন্তর্জাতিক লবিস্ট টবি ক্যাডম্যান এই বিচার ব্যবস্থা নিয়ে আবারও প্রশ্ন তোলেন। এ ছাড়া রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা মাহবুবে আলম সে সময় বলেন, এত হাফ হার্টেড হয়ে আপনারা মামলা চালান কেন? এসব ঘটনার পর একাত্তর ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি একটি গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করেন। সেখানে সরকারের প্রভাবশালী দুই মন্ত্রী, সাবেক বিচারপতি, সাংবাদিক, সাহিত্যিক, গবেষক, আইনজীবী, প্রসিকিউটরসহ নানা পেশার নেতৃবৃন্দ ছিলেন। তারা মীর কাশেমের মামলা পুনঃশুনানিসহ প্রধান বিচারপতিকে এ মামলা থেকে সরে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান। সে কারণে অন্যান্য মামলা থেকে এটা সম্পূর্ণ আলাদাভাবে জনগণ ভাবছে কি হবে এ মামলার রায়। একাত্তর সালে যে সকল অপরাধ সংঘটিত হয়েছে তাতে বিশ্বমানবতার হৃদয়কে কাপিয়ে তুলে। একাত্তরে চট্টগ্রাম অঞ্চলের আল বদর বাহিনীর হেড কোয়ার্টার ডালিম হোটেলের পূর্ণ কর্তৃত্ব ছিল মীর কাশেম আলীর হাতে। ওই অঞ্চলের আল বদর কমান্ডার হিসেবে মীর কাশেম আলীর নির্দেশ মেনেই কাজ করতেন বাহিনীর সদস্যরা। ওই সময় ডালিম হোটেলসহ চট্টগ্রাম অঞ্চলে বদর বাহিনীর সদস্যদের দ্বারা যত নির্যাতন ও হত্যার ঘটনা ঘটেছে। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের আইয়ুব খান, ইয়াহিয়া খান, টিক্কা খানরা খান খান করে দিয়েছিলেন এ দেশটিকে। সেখানে সৃষ্টি হয় আরেক ‘বাঙালি খানের’ নির্মম ইতিহাস। তিনি হলেন মীর কাশেম আলী। ১৯৭১ সালে মীর কাশেম আলীর নির্যাতনের সকল অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে পেরেছে প্রসিকিউশন পক্ষ। আর তারই ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল মীর কাশেম আলীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদ- প্রদান করেছিলেন। প্রসিকিউশন ও তদন্ত সংস্থার বিরুদ্ধে গাফিলতির কথা বলা হলেও এ পর্যন্ত ট্রাইব্যুনাল মোট ২২টি মামলায় ২৬ জনকে দ- প্রদান করেছেন। যার মধ্যে ১৯ জনকে মৃত্যুদ- দেয়া হয়েছে। যাবজ্জীবন ১ জন, ৯০ বছরের কারাদ- ১ জন, আমৃত্যু কারাদ- দেয়া হয়েছে ৫ জনকে। যাদের আমৃত্যু কারাদ- দেয়া হয়েছে তাদের অপরাধ মৃত্যুদ-ের সমান, কিন্তু বয়সের কথা বিবেচনা করেই ট্রাইব্যুনাল তাদের আমৃত্যু কারাদ- প্রদান করেছেন। মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ২০১৪ সালের ২ নবেম্বর মীর কাশেম আলীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদ-াদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২। এ রায়ের বিরুদ্ধে ওই বছরের ৩০ নবেম্বর মীর কাশেম আলী আপীল করেন। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ১৪টি অভিযোগের মধ্যে ১০টি প্রমাণিত হয়। এর মধ্যে দুটি অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তাকে মৃত্যুদ- এবং অন্যগুলোতে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদ- দিয়েছে। আদালতে প্রসিকিউশন সন্দেহাতীতভাবে অপরাধ প্রমাণের পরই তাকে দুটি অভিযোগে মৃত্যুদ- প্রদান করা হয়েছে। বাকি ৪টি অভিযোগ প্রসিকিউশন সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে পারেননি। ১১ ও ১২ নম্বর অভিযোগে মীর কাশেম আলীকে মৃত্যুদ- দেয়া হয়। যে চার্জে ফাঁসি দেয় ট্রাইব্যুনাল ॥ মীর কাশেমের বিরুদ্ধে অভিযোগ ১০ ও ১১ তে কি ছিল। যে কারণে মীর কাশেম আলীকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ফাঁসি দেয়া হয়। ১০ নম্বর অভিযোগে বলা হয়েছে, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাকিস্তানী দখলদার সেনাবাহিনী ও তাদের দোসর রাজাকার, আল বদর, আল শামস চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকা থেকে অসংখ্য নিরীহ-নিরস্ত্র মানুষকে ধরে নিয়ে বিভিন্ন নির্যাতন কেন্দ্রে আটক রেখে নির্যাতন ও অনেককে হত্যা করে। উক্ত ঘটনার ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালের ২৯ নবেম্বর দিবাগত রাত আনুমানিক ৪.৩০/৫টার দিকে ফজরের নামাজের আযানের পূর্বমুহূর্তে পাকিস্তানী দখলদার বাহিনীর সহযোগী সশস্ত্র আল বদর বাহিনীর সদস্যরা তাদের কমান্ডার আসামি মীর কাশেম আলীর ইঙ্গিতে ও নির্দেশে চাঁন্দগাঁও থানাধীন নাজিরবাড়ী এলাকার পাড়া ঘেরাও করে সেখান থেকে গোলাম আলী নাজিরবাড়ীর মোঃ জাকারিয়া, মোঃ সালাউদ্দিন, ছুট্টু মিয়া, ইস্কেন্দার আলম চৌধুরী, মোঃ নাজিম উদ্দিনসহ আরও অনেককে আটক করে পাড়ার মসজিদের সামনে একত্রিত করে। অতঃপর সেখানে বাছাই করে গোলাম আলী নাজিরবাড়ীর আটককৃত চার জনকে এনএমসি হাইস্কুলের সামনে নিয়ে যায় এবং সেখানে আটক আরও অনেকের সঙ্গে ট্রাকে উঠিয়ে আল বদর বাহিনীর নির্যাতন কেন্দ্র আসামির পরিচালনাধীন চট্টগ্রাম মহানগরী এলাকার আন্দরকিল্লার ডালিম হোটেলে নিয়ে যায়। সেখানে আটককৃত চারজনের সবাইকে আটক রেখে আসামির নির্দেশে ও ইঙ্গিতে তার নেতৃত্বাধীন আল বদর বাহিনীর সদস্যরা তার উপস্থিতিতে তাদের পর্যায়ক্রমে অমানুষিক নির্যাতন করে। ভিকটিম নাজিমউদ্দিন বয়সে ছোট হওয়ায় ডালিম হোটেলে আটকে রাখার পরদিন ৩০ নবেম্বর সন্ধ্যায় তাকে আল বদর বাহিনীর সদস্যরা নির্যাতন কেন্দ্র থেকে ছেড়ে দেয়। ১১ নম্বর অভিযোগে বলা হয়েছে, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাকিস্তানী দখলদার বাহিনী ও তাদের দোসর রাজাকার, আল বদর, আলশামস চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকা থেকে অসংখ্য নিরীহ-নিরস্ত্র মানুষকে ধরে নিয়ে বিভিন্ন নির্যাতন কেন্দ্রে আটক রেখে নির্যাতন ও অনেককে হত্যা করে। উক্ত ঘটনার ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালের রমজানের ঈদের দিনের পর যে কোন সময় মুক্তিযোদ্ধা জসিমকে চট্টগ্রাম শহরের অজ্ঞাত স্থান থেকে আটক ও অপহরণ করে পাকিস্তানী দখলদার সেনাবাহিনীর দোসর আল বদর বাহিনীর সদস্যরা আসামি মীর কাশেম আলীর নির্দেশে ও ইঙ্গিতে তার নিয়ন্ত্রণাধীন চট্টগ্রাম মহানগরী এলাকার আন্দরকিল্লার ডালিম হোটেল নির্যাতন কেন্দ্রে নিয়ে যায়। নির্যাতন কেন্দ্রে আটক রেখে তাকে অমানুষিক নির্যাতন করা হয়। ১৯৭১ সালের ২৮ নবেম্বর আসামি মীর কাশেম আলীর নেতৃত্বে ও নির্দেশে আল বদর বাহিনীর সদস্যরা ডালিম হোটেলের ছাদে জসিমকে নির্যাতন করে হত্যা করে। তাদের নির্যাতনে নিহত অজ্ঞাতনামা আরও ৫ (পাঁচ) জনের লাশের সঙ্গে জসিমের লাশ ঐ দিন সন্ধ্যাবেলা আসামির নির্দেশে ও ইঙ্গিতে তার নেতৃত্বাধীন আল বদর বাহিনীর সদস্যরা কর্ণফুলী নদীতে ফেলে দিয়ে লাশ গুম করে। মীর কাশেম আলীর মামলাটি রায় হবে আপীল বিভাগের ৭ম মামলা। এর আগে ছয়টি আপীল মামলার চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে মৃত্যুদ-াদেশপ্রাপ্ত চারজনের ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। যাদের ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছে, জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লা, জামায়াতের অপর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ কামারুজ্জামান, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরী। এছাড়া ট্রাইব্যুনালের রায়ে মৃত্যুদ-প্রাপ্ত জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসি বহাল রেখে ৬ষ্ঠ আপীল মামলার রায় দেয়া হয়েছে গত ৬ জানুয়ারি। জামায়াতের নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে ট্রাইব্যুনালের দেয়া ফাঁসির দ-াদেশ কমিয়ে আমৃত্যু কারাদ- দিয়েছেন আপীল বিভাগ। গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর এ রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হওয়ার পর সর্বোচ্চ সাজা পুনর্বহালের আরজিতে রাষ্ট্রপক্ষ আর খালাস চেয়ে আসামিপক্ষ রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন জানিয়েছেন। চরম দ- বহাল থাকবে ॥ একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াতের ইসলামীর নির্বাহী পরিষদের সদস্য মীর কাশেম আলীর আপীলের রায়ে চরম দ- বহাল থাকবে বলে আশা করছেন রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইনী কর্মকর্তা মাহবুবে আলম। তিনি বলেন, আমি আশা করব, রায়ে তার চরম দ- বহাল থাকবে। সোমবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সামনে এ কথা বলেন এ্যাটর্নি জেনারেল। সম্প্রতি মীর কাশেমের আপীল শুনানি নিয়ে প্রধান বিচারপতিকে জড়িয়ে কিছু কথা বলেন খাদ্যমন্ত্রী। এ সমস্ত বিষয় কোন প্রভাব ফেলবে নাÑ উল্লেখ করে এ্যাটর্নি জেনারেল আরও বলেন, মামলার তথ্য, উপাত্ত, সাক্ষী ইত্যাদির ওপর রায় নির্ভর করে। বিচার বিভাগ নিয়ে কোন মন্তব্যের উপর না। এ্যাটর্নি জেনারেল বিএনপির সুরে কথা বলছে- খাদ্যমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে কোন মন্তব্য করতে চাননি মাহবুবে আলম। ন্যায়বিচার পাবেন ॥ মৃত্যুদ-প্রাপ্ত জামায়াত নেতা মীর কাশেম আলীর প্রধান আইনজীবী এ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেছেন, কোন ব্যক্তি বা সংগঠনের হুমকি-ধমকিতে সর্বোচ্চ আদালত ন্যায়বিচার থেকে বিরত থাকতে পারে না। সোমবার সুপ্রীমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতির নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেছেন, আইনজীবীরা কোন অপরাধকে সমর্থন করে না। তবে সর্বোচ্চ আদালত সাক্ষ্য-প্রমাণ ও নথিপত্র পর্যালোচনা করে মীর কাশেম আলীর আপীলের রায়ের ক্ষেত্রে ন্যায়বিচার করবে বলে আশা করছি। তিনি বলেন, বিভিন্ন মহল থেকে এ মামলায় বিচারাধীন বিষয়ে যেসব বক্তব্য ও বিবৃতি আসছে, তা এ মামলার ন্যায়বিচারের ক্ষেত্রে বাধা হবে না। মীর কাশেম আলীর মামলার রায় প্রসঙ্গে খন্দকার মাহবুব বলেন, আদালত ন্যায়বিচার করবেন। সাক্ষ্য প্রমাণ পর্যালোচনা করে আদালত যে রায় দেবেন আইনজীবী হিসেবে তা মেনে নেবেন বলেও উল্লেখ করেন মীর কাশেমের প্রধান আইনজীবী।
×