ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

পটুয়াখালীতে জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মেলন ১১ মার্চ

প্রকাশিত: ০৩:৫৫, ৮ মার্চ ২০১৬

পটুয়াখালীতে জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মেলন ১১ মার্চ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ‘জাহীদুর রাহীম স্মৃতি পরিষদ নামে ১৯৭৮ সালে যাত্রা শুরু হয়। তখন এ নাম সবার কাছে পরিচিত ছিল না। পরে ১৯৮০ সালে জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ নাম রাখা হয়। আমরা রবীন্দ্র সংস্কৃতিকে সবার কাছে তুলে ধরতে চাই। এ নিয়ে কে কি ভাবছে, তার বিনিময় হয় আমাদের সম্মেলনের মাধ্যমে। রবীন্দ্রনাথ কি বলে গেছেন, তাঁর সঙ্গে জীবনের অনেক অভিজ্ঞতা মিলে যায়। দেশের মানুষ যদি অন্য পথে চলে যায়, তাদের ফিরিয়ে আনার দায়িত্ব আমাদের। আমরা বোঝাব ভুলগুলো কোথায়। আমাদের দেশের মানুষ আমাদের আত্মীয়। আমরা যদি মানুষকে-মানুষের সম্প্রীতির বোধে ফিরিয়ে আনতে পারি, তবে এ প্রতিষ্ঠানটির সার্থকতা পাবে’ জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কথাগুলো বলেন পরিষদের সভাপতি সন্জীদা খাতুন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অমর বাণী ‘মুক্তি তোরে পেতেই হবে’ প্রত্যয়ে পটুয়াখালীতে ১১ মার্চ শুরু হচ্ছে জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদের পঁয়ত্রিশতম অধিবেশন। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পাঁচ শতাধিক শিল্পী ও সংস্কৃতিকর্মীরা এতে অংশ নেবে। বিকেল সাড়ে ৪টায় শেখ রাসেল শিশুপার্কে আয়োজিত তিন দিনব্যাপী জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান। প্রধান অতিথি থাকবেন শিল্পী মুস্তফা মনোয়ার। রবীন্দ্রপদক দিয়ে গুণী সম্মাননা জানানো হবে পটুয়াখালীর সংস্কৃতি সেবক নির্মল কুমার দাশগুপ্তকে। এ উপলক্ষে ছায়ানট সংস্কৃতি ভবনের রমেশচন্দ্র দত্ত স্মৃতি মিলন কেন্দ্রে সোমবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলন হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন পরিষদের সভাপতি সন্জীদা খাতুন, সহ-সভাপতি আ ব ম নূরুল আনোয়ার, সাধারণ সম্পাদক লাইসা আহমদ লিসা, কোষাধ্যক্ষ লিলি ইসলাম, বুলবুল ইসলাম প্রমুখ। সংবাদ সম্মেলনে লাইসা আহমদ লিসা লিখিত বক্তব্যে তিন দিনব্যাপী আয়োজনের বিস্তারিত তুলে ধরেন। তিনি বলেন, তিন দিনেই সান্ধ্য অধিবেশন সাজানো হয়েছে গুণীজনের সুবচন রবিরশ্মি, আবৃত্তি, পাঠ, নৃত্য, ও গান দিয়ে। শেষ দিন সকালে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি, ও মফিদুল হকের লেখা ‘শিক্ষা-চিন্তক ও শিক্ষাকর্মী রবীন্দ্রনাথ সমকালীন তাৎপর্য’ শীর্ষক সেমিনার। পটুয়াখালীর সংস্কৃতি রসিকদের জন্য এবারের সম্মেলনে যুক্ত হয়েছে মুকুন্দ দাসের গান, ছায়ানটের গীতি আলেখ্য, কণ্ঠশীলনের কাব্য আলেখ্য ও নৃত্যনন্দনের রবীন্দ্র নৃত্যনাট্য ‘চন্ডালিকা’ পরিবেশনা। এছাড়া বরাবরের মতো থাকছে পঞ্চকবির গান ও লোকসঙ্গীত। বার্ষিক অধিবেশন উপলক্ষে যথারীতি প্রকাশিত হচ্ছে বিশিষ্টজনের লেখা প্রবন্ধের সংকলন-সঙ্গীত সংস্কৃতি।
×