ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

তাপস মজুমদার

বন থেকে বনশ্রী সুন্দরের সর্বনাশ

প্রকাশিত: ০৩:৪০, ৮ মার্চ ২০১৬

বন থেকে বনশ্রী সুন্দরের সর্বনাশ

ঘরের পাশে আরশিনগর। তাতে পড়শিদের বসবাস। সেই পড়শির খবরাখবর আমরা রাখি না। পড়শিদের খবর পেতে হয় বিদেশী গণমাধ্যম থেকে। ১ মার্চ মঙ্গলবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে যুক্তরাজ্যের বিখ্যাত ও প্রভাবশালী পত্রিকা গার্ডিয়ান জানিয়েছে, বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামের জঙ্গলে বাঘ আছে। সেসঙ্গে রয়েছে অন্যান্য দুর্লভ বন্যপ্রাণীও। অথচ এতদিন পর্যন্ত আমরা জানতাম, বাংলাদেশের কেবলমাত্র সুন্দরবন অঞ্চলেই বাঘ আছে, পৃথিবী বিখ্যাত রয়েল বেঙ্গল টাইগার। কেউ বলেন তিনশ’, কেউ বলেন একশ’। গুনে দেখে সাহস কার! কিছুদিন আগে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক চ্যানেলে সম্প্রচারিত এক ডকুমেন্টারিতে দেখলাম, তারা সুন্দরবন অঞ্চলে বাঘের সন্ধান পাওয়ার জন্য টানা সাতদিন ক্যামেরা-টেমেরা লাগিয়ে বসেছিল ধৈর্য ধরে, জ্যান্ত টোপও ছিল ষাঁড় বাছুর। দুর্ভাগ্য, বাঘের দেখা মেলেনি। সুন্দরবনের বাঘ এমনই বিরলদর্শন! সেই প্রেক্ষাপটে বান্দরবানে বাঘ! একটু নড়েচড়েই বসলাম বটে। ক্রিয়েটিভ কনজারভেশন এ্যালায়েন্স (সিসিএ) একটি প্রকৃতি পর্যবেক্ষণ ও সংরক্ষণ বিষয়ক সংস্থা। তারা পার্বত্য অঞ্চলের স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতা নিয়ে রাঙামাটি-বান্দরবান-খাগড়াছড়ির বিভিন্ন বনাঞ্চলে ক্যামেরার ফাঁদ পেতে নিবিড় পর্যবেক্ষণ চালিয়েছে গত পাঁচ বছর ধরে। সেখানে তারা খোঁজ পেয়েছে বিবিধ বন্যপ্রাণীর এক বিশাল ভা-ারের। অবশ্য এলাকাবাসীর অভিজ্ঞতা তাদের এ কাজে প্রভূত সহায়ক হয়েছে। সংস্থা এবং স্থানীয়দের দাবি, পার্বত্য জঙ্গলে এখনও বাঘ আছে কয়েকটি। আরও আছে সূর্য ভালুক, বড় বুনো ষাঁড়, বুনো কুকুর, বিশেষ রঙের চিতা। তারা প্রথমবারের মতো ভালুক ও বুনো ষাঁড়ের ছবিও তুলেছে। না, বাঘের দেখা পায়নি। আর তাই ছবিও তুলতে পারেনি। তবে ১৩ সেন্টিমিটার একটি থাবার ছবি তুলেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি বাঘের পায়ের ছাপ। পাগ মার্কের (বাঘের পায়ের ছাপ) ছবিটি তারা পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণাগারে। ডেলাওয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশী শিক্ষার্থী হাসান রহমান, যিনি গবেষণা করেন বুনো বিড়াল নিয়ে, তিনি ছবিটির ব্যাপারে ‘সন্দিহান’। তবে বাঘ-সুরক্ষাবিষয়ক আন্তর্জাতিক সংগঠন প্যান্থারার টাইগার প্রোগ্রামের জ্যেষ্ঠ পরিচালক জন গুড়রিচ ছবি এবং পায়ের মাপ দেখে মোটামুটি নিশ্চিত হয়েছেন যে, এটি বাঘেরই পদচিহ্ন। সিসিএ এবং স্থানীয় অধিবাসীদের অভিজ্ঞতা বলে পার্বত্য অঞ্চলে এখন পর্যন্ত ১৫টি বাঘ থাকলেও থাকতে পারে। এবারে স্বয়ং অভিজ্ঞতার কথা একটু বলি। ছাত্রাবস্থায় তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান আমলের শেষ দিকে আমাদের একাধিকবার পার্বত্য অঞ্চলে এক্সারশন ট্যুরে যাওয়ার সুযোগ ঘটে। তখন সত্যি সত্যিই রাঙামাটি, সাজেক ভ্যালি, কাপ্তাই, বান্দরবান এবং খাগড়াছড়ির অনেক স্থানে ছিল সুনিবিড় বনরাজি, সঘন অরণ্যানি। তখন সেখানে অন্যান্য বন্যপ্রাণীর পাশাপাশি ব্যাঘ্রের উপস্থিতি সম্পর্কেও ব্যাপক জনশ্রুতি ছিল। বুনো গয়াল তো ছিলই। এক সময় ঢাকার পশু হাসপাতাল এবং পরে মিরপুর চিড়িয়াখানায় বিভিন্ন প্রজাতির বাঘ, কালোবাঘ বা ব্ল্যাক প্যান্থার এবং চিতার ব্যাপক ও দুর্লভ সংগ্রহ ছিল। এ রকম দেখেছি চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায়ও। বনের বাঘ, চিতা তো এমনিতেই সুদর্শন ও জ্বলজ্বলে, তাই বলে ব্ল্যাক প্যানথারও কোন অংশেই কম আকর্ষণীয় নয়। সবাই জানেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলটি বাংলাদেশের প্রায় এক-দশমাংশ এলাকাজুড়ে। ছোট-বড় ১১ থেকে ১৩টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর বসবাস। সেখানে কিছু আইন শৃঙ্খলাজনিত নিরাপত্তার সমস্যাও রয়েছে। শান্তি চুক্তি সত্ত্বেও সর্বত্রই যে শান্তি প্রতিষ্ঠা হয়েছে, এমন কথা বলা যাবে না। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মধ্যে জাতিগত কোন্দল এবং দলাদলিও রয়েছে। আর তাই গত ক’বছরে অনেক বাঙালী সমতল থেকে সেখানে গিয়ে বসতি গাড়লেও দুর্গম ও দুষ্প্রবেশ্য বনাঞ্চলসহ পাহাড়ী অঞ্চল কিছু অবশিষ্ট আছে। আর তাই বাঘ থাকাও কিছু বিচিত্র নয়। ব্যাঘ্র প্রজাতি সর্বদাই গভীর-গোপন ও নির্জনতা ভালবাসে। আর তাই সুন্দরবন অঞ্চলে মনুষ্য সমাগম বেশি বিধায় বাঘের দর্শন পাওয়া নিতান্তই দৈব ঘটনা বলতে হবে। তবে একটি প্রশ্ন সঙ্গত কারণেই ঘুরপাক খাচ্ছে মনে। বান্দরবানে বাঘ আছে এই তথ্যটি আমাদের গার্ডিয়ান পত্রিকার সূত্রে বিদেশী বিশেষজ্ঞ ও সিসিএর সৌজন্যে জানতে হলো কেন? আমাদের দেশেই বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ফরেস্ট্রি ও ভূগোল বিভাগ আছে। তাদেরও নিশ্চয়ই নিয়মিত এক্সারশন ট্যুরসহ গবেষণাকর্ম চালাতে হয়। তারাও তো বিশেষ আগ্রহ নিয়ে সুন্দরবন, সিলেট, পার্বত্য অঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন বনাঞ্চলের ফুল-ফল-বৃক্ষ প্রজাপতি, বন্যপ্রাণী-সরীসৃপ, পাখ-পাখালি ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক বিষয়াদি নিয়ে গবেষণা চালাতে পারে। অস্বীকার করার উপায় নেই যে, গত ক’বছরে দেশে প্রকৃতি ও পরিবেশ সচেতনতাসহ বন্যপ্রাণী, পশুপাখি পর্যবেক্ষণ ও সংরক্ষণে সচেতনতা বেড়েছে অনেক। তবে এটুকুই যথেষ্ট নয়। প্রায় ১৭ কোটি জনসংখ্যা অধ্যুষিত দেশে এ বিষয়ে আরও জনসচেতনতা আবশ্যক বোধকরি। দৈন্যাবস্থা চোখে পড়ে আরও একদিকে। বেসরকারী সংস্থা সোসাইটি ফর এনভায়রনমেন্ট এ্যান্ড হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট (শেড) প্রকাশ করেছে ‘সুন্দরবনস এ্যাটলাস, বাংলাদেশ ফরেস্ট কম্পার্টমেন্ট ম্যাপস এ্যান্ড গেজেটিয়ার।’ এটিও গত ১৫ বছর ধরে সুন্দরবনের বিভিন্ন অলি-গলি, অন্দি-সন্ধি, সুলুক-সন্ধান ও পর্যবেক্ষণ করে প্রস্তুত করেছেন জার্মান নাগরিক গারট্রুড নয়মান ডেনসাউ ও হেলমুট ডেনসাউ এবং অস্ট্রিয়ার নাগরিক পিটার গার্নগ্রস। বন বিভাগ সুন্দরবনকে ৫৫টি অংশ তথা কম্পার্টমেন্টে ভাগ করেছে। বিদেশী গবেষকরা গত ক’বছরে সেই দুর্গম বনের প্রতিটি এলাকা ঘুরে ঘুরে এবং পুরনো নথিপত্র ঘেঁটে তৈরি করেছেন অত্যন্ত পরিশ্রমলব্ধ এই মানচিত্র। সুন্দরবনের প্রতিটি অংশের বিস্তারিত খুঁটিনাটি ও তথ্যবহুল মানচিত্র রচিত হলো এই প্রথম এবং তাও সেই বিদেশী সহায়তায়। এটিও কেন দেশীয় শিক্ষার্থী ও গবেষকরা করতে পারল না, সর্বোপরি বন বিভাগ, সেটি এক মোক্ষম প্রশ্ন বটে। প্রসঙ্গত মনে পড়ে, ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক আমলে প্রণীত ডিস্ট্রিক গেজেটিয়ারের কথা, যেগুলো প্রণয়ন করতেন ব্রিটিশ সিভিল সার্ভিসের সদস্যরা। উল্লেখ্য, সেসব ছিল খুবই তথ্যবহুল ও উঁচুমানের কাজ। আরও মনে পড়ে ডালটন হুকারের কথা। ১৮৫৪ সালে রচিত কয়েক খ-ে প্রকাশিত হিমালয়ান জার্নালে তিনি হিমালয়ের উদ্ভিদ রাজ্যের খুঁটিনাটি খবর সর্বপ্রথম তুলে ধরেন। এটি অত্যন্ত সুললিত ভাষায় অনুবাদ করে বাঙালী পাঠকদের উপহার দিয়েছেন প্রকৃতিবিজ্ঞানী ও উদ্ভিদবিদ দ্বিজেন শর্মা। তো সেই হিমালয়ের পর্বতমালা সংলগ্ন বিভিন্ন এলাকা যেমন ভারত, সিকিম, ভুটান, নেপাল ও পশ্চিমবঙ্গ থেকে চোরাইপথে সংগৃহীত বিবিধ দুর্লভ উদ্ভিদ প্রজাতির বীজ, চারা, ফুল ও ফল পাচার হয়ে যাচ্ছে যুক্তরাজ্যের বাজারে। সম্প্রতি এই তথ্য বেরিয়ে এসেছে বিবিসির অনুসন্ধানে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে রডোডেনড্রন, ক্যামেলিয়া, ম্যাগনোলিয়া, জেনটিয়ানা, ব্রহ্মকমল ও অন্যান্য। এর অনিবার্য ফল যা হচ্ছে তা হলো, নির্বিচারে অপরিকল্পিতভাবে চারা ও বীজ সংগ্রহের ফলে বিনষ্ট হচ্ছে স্থানীয় প্রকৃতি ও পরিবেশ। অন্যদিকে স্থানীয়রা বঞ্চিত হচ্ছে বাণিজ্যিক ও অর্থকরী সুবিধাদি থেকে। ফলে কমছে না এলাকার সাধারণ মানুষের দারিদ্র্য ও বঞ্চনা। আরও একটা ব্যাপার লক্ষণীয়। পর্যটক ও ট্র্যাকারদের আধিক্য এবং অবাধ বিচরণও সৌন্দর্য ও পরিবেশ বিনষ্ট করছে দেবাত্মা হিমালয়ের। এর ফলে এমনকি দুর্গম ও দুর্লঙ্ঘ এভারেস্ট-অন্নপূর্ণার শিখর পর্যন্ত হয়ে পড়ছে দুষিত ও বর্জ্যবহুল। প্রসঙ্গত মনে পড়ছে বাংলাদেশের বনখেকো কুখ্যাত হিসেবে সুখ্যাত বনদস্যু ওসমান গণির কথা। ২০০৭ সালের ২৯ মে তৎকালীন ১/১১ সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অপরাধ দমন অভিযান সংক্রান্ত টাস্কফোর্স বা যৌথবাহিনী ওসমান গণিকে উত্তরার সরকারী বাসা থেকে গ্রেফতার করে। তার বাসা থেকে পাওয়া যায় কোটি কোটি নগদ টাকা, যা মূলত বনসম্পদ লুট করে আহরিত বলে ধারণা করা হয়। পিএইচডিধারী ওসমান গণিকে ২০০৮ সালের ৫ জুন বিচারে ১২ বছর এবং স্ত্রীকে ৩ বছরের সশ্রম কারাদ-ের আদেশ দেন বিশেষ আদালতের বিচারক। সে সময়ে ওসমান গণি গ্রেফতার হলেও রহস্যজনক কারণে স্ত্রী-সন্তানসহ পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। সেই ওসমান গণির মুক্তির মেয়াদ আসন্ন বলে জানা গেছে। তবে তিনি নাকি মুক্তিতে আর আগ্রহী নন। স্ত্রী-সন্তানের সঙ্গেও তার নেই কোন যোগাযোগ। শেষ করি সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের (জন্ম-১৮৩৪) পালামৌর প্রসঙ্গ টেনে। সাহিত্য সম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের অগ্রজ সঞ্জীবচন্দ্র হলেন বাংলা সাহিত্যের প্রথম সফল ভ্রমণ কাহিনীর লেখক। চাকরি জীবনে ছিলেন সরকারী প্রশাসনের করণিক। পরে অবশ্য পদোন্নতি পেয়ে উন্নীত হন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে। এই পদও তার লেখালেখির পুরস্কার। বহু কষ্ট ও তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করে তিনি তৎকালে প্রজা কল্যাণের উদ্দেশ্যে বেঙ্গল রায়ত (ইবহমধষ জুড়ঃ) নামে ইংরেজীতে একটি গ্রন্থ রচনা করেন। এটি পড়ে মুগ্ধ হয়ে তৎকালীন লেফটেনেন্ট গবর্নর তাকে নিয়োগ দেন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট পদে। কর্মসূত্রেই তার বার বার বিহারের পালামৌ বনাঞ্চল ভ্রমণ। সেই নির্জন বিজন বনে তিনি প্রত্যক্ষ করেন সঘন সবুজ অরণ্যরাজি, বন্যপশু-পাখির অবাধ বিচরণ এবং বনবাসী কোল-ভীলদের আদিম জীবনযাত্রা। পরে এটি কয়েকটি প্রবন্ধের আকারে প্রমথনাথ বসু ছদ্মনামে প্রকাশিত হয় বঙ্গদর্শনে। এটি গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হলে স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ পড়ে এত বিমুগ্ধ হন যে পালামৌ নামে একটি প্রবন্ধ রচনা করেন, যা আজ পর্যন্ত এই গ্রন্থের শ্রেষ্ঠতম মূল্যায়ন। বহুল ব্যবহৃত ও উদ্ধৃত ‘বন্যেরা বনে সুন্দর, শিশুরা মাতৃক্রোড়ে’ লোকবাক্যটি নেয়া হয় পালামৌ বইটি থেকে। তবে বলতেই হয় যে, এখন আর বন্যেরা যেমন বনেও নিরাপদ নয়, তেমনি শিশুরাও নিরাপদ নয় মাতৃক্রোড়ে। উদাহরণ বনশ্রী। তবে এটি একটি ভিন্ন প্রসঙ্গ, যা নিয়ে আলোচনা করা যেতে পারে বারান্তরে। বহুল আলোচিত, কুখ্যাত ও দ-প্রাপ্ত ওসমান গণির কথা আমরা বলেছি। তবে বাস্তবতা হলো এ রকম ওসমান গণি অনেক আছে। একজনের সাজা হয়, দশজনের হয় না। ফলে নতুন নতুন ওসমান গণি জন্ম নেয়। আর সাফসুতরো হয় বন, বনাঞ্চল, টিলা ও পাহাড়শ্রেণী। এতে শুধু বন্যপ্রাণী, পাখ-পাখালি ও গাছগাছালিই বিপন্ন ও বিরান হয়ে পড়ে না; দেশের প্রকৃতি ও পরিবেশও হয় বিপন্ন ও বিপদগ্রস্ত। আর তার অনিবার্য খেসারত দিতে হয় আবহাওয়া ও জলবায়ুর পরিবর্তনজনিত সমূহ ঝড়-ঝঞ্ঝা, খরা, অনাবৃষ্টি, অতিবৃষ্টি, বন্যা, জলোচ্ছ্বাস ও মহাপ্লাবনে। মানুষই যেখানে আদৌ নিরাপদ নয়, সেখানে বন্যপ্রাণী ভাল থাকবে, এমন আশা করা বাতুলতা।
×