ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

আবারও ইনজুরির শিকার রাকিব

প্রকাশিত: ০৮:৫১, ৭ মার্চ ২০১৬

আবারও ইনজুরির শিকার  রাকিব

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ‘২০১৪ সালের ৯ ডিসেম্বর লিগামেন্ট অপারেশন হয়। সুস্থ হয়ে আবার খেলা শুরু করি। কিন্তু গত ৯ জানুয়ারি অনুশীলন করার সময় পায়ে আবারও বাঁ পায়ে ব্যথা পাই। তারপর গত ৫ ফেব্রুয়ারি ডাক্তার প্রশান্ত আগারওয়াল পা পরীক্ষা করেন। তিনি জানান, বাঁ পায়ের জয়েন্ট অপারেশন করতে হবে। তার জন্য প্রায় দেড় লাখ টাকা লাগবে। এত টাকা আমার নেই। কি যে হবে, এ নিয়ে ভীষণ দুশ্চিন্তায় আছি।’ কথাগুলো রাকিব হাসানের। দরিদ্র অথচ মেধাবী ও তুখোড় এক ফুটবলার। খেলেছে বাংলাদেশ জাতীয় অনুর্ধ-১৬ দলে। বিকেএসপির উচ্চ মাধ্যমিকের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। লেফটব্যাক পজিশনে খেলা রাকিবের নিবাস বগুড়া সদরে। এখানেই জন্ম তার। খুবই দরিদ্র পরিবারেরর সন্তান সে। বাবা মোজাহার আলী সবজি বিক্রেতা। মা মিরিনা বেগম গৃহিণী। ৩ ভাই, ১ বোনের মধ্যে রাকিব তৃতীয়। ২০১১ সালে যাত্রা শুরু বিকেএসপির হয়ে। এরপর ২০১৩ সালে বগুড়া ফুটবল লীগের ১টি ম্যাচে (ফাইনাল) খেলা। অনুর্ধ-১৬ জাতীয় দলে ডাক পাওয়া ওই বছরই। সেবারই বয়সভিত্তিক সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ খেলতে যায় নেপালে (বাংলাদেশের কোচ ছিলেন রেনে কোস্টার, সহকারী কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন)। ২০১৩ সালে বিকেএসপির মাঠে একটি অনুশীলন ম্যাচ খেলতে গিয়ে প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়ের সঙ্গে সংঘর্ষে বাম পায়ে মারাত্মক আঘাত পায় সে। রাকিবের চিকিৎসার খরচ দিয়ে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেন নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক। তিনি রাকিবের চিকিৎসার ব্যাপারে বাড়িয়ে দেন সাহায্যের হাত। তার সাহায্যেই গত বছরের ৯ ডিসেম্বর দরিদ্র পরিবারের সন্তান রাকিবের অপারেশন হয়। প্রায় ২ লাখ টাকা খরচ হয় অপারেশনের জন্য। অনেক সময় লাগে রাকিবের সুস্থ হয়ে উঠতে। তারপর চলছিল নিয়মিত ফুটবল অনুশীলন। কিন্তু বেশিদিন কপালে সুখ সইলো না তার। অনাকাক্সিক্ষতভাবে আবারও সর্বনাশা চোটের শিকার হতে হলো রাকিবকে। মহৎ অন্তঃপ্রাণ ক্রীড়াপ্রেমীরা যদি রাকিবকে অর্থ সাহায্য করতে চান, তাহলে ০১৬৮৭৮০৩১৫৮ এবং ০১৯১৪১৬৩৯৩৫ ... এই দুটি নম্বরে বিকাশ করতে পারেন।
×