ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

রাজধানীতে হঠাৎ ঝড় বৃষ্টি, দুর্ভোগে ক্রিকেটের হাজার হাজার দর্শক

প্রকাশিত: ০৮:৩৮, ৭ মার্চ ২০১৬

রাজধানীতে হঠাৎ ঝড় বৃষ্টি, দুর্ভোগে ক্রিকেটের হাজার হাজার দর্শক

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীতে রবিবার সন্ধ্যায় ঝড়ো হাওয়াসহ মাঝারি থেকে ভারি বর্ষণ হয়েছে। পাশাপাশি বিদ্যুত চমকাতে থাকে। হঠাৎ বয়ে যাওয়া শক্তিশালী ঝড়ের ভয়ে এদিক সেদিক দৌড়াতে থাকে লোকজন। ঝড়ের সময় মিরপুর স্টেডিয়ামের সকল ফ্লাডলাইটের আলো নিভে যায়। পুরো স্টেডিয়ামে নেমে আসে অন্ধকার। এর আগে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতেই মূল উইকেট ঢেকে রাখার পাশাপাশি মাঠ থেকে ম্যাচ সম্প্রচারের ইলেক্ট্রনিক সরঞ্জাম সরিয়ে নেয়া হয়। ঝড়ে নগরীর ফুটপাথের অনেক ভাসমান দোকানের পলিথিনের ছাউনি উড়ে যায়। তাড়াহুড়া করে দৌড়াতে গিয়ে আহত হন অনেক পথচারী। নগরীর রাস্তাঘাট ও অলিগলি হয়ে ওঠে কর্দমাক্ত। কোথাও কোথাও জমে ওঠে বৃষ্টির পানি। নগরীর অনেক এলাকায় দেখা দেয় বিদ্যুত বিভ্রাট। কাল বৈশাখীর মৌসুম চলছে এবং তা যেকোন সময় বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। তাদের সেই কথাই বাস্তবে রূপ নিল রবিবার। এদিন বিকেল ৫টার পরই রাজধানীর আকাশ হয়ে ওঠে মেঘাচ্ছন্ন ও অন্ধকার। সন্ধ্যা ৬টার পর বাড়তে থাকে বাতাসের বেগ। এক পর্যায়ে তা ঝড়ে রূপ নেয়। ঝড়ের স্থায়িত্ব ছিল প্রায় ২০ মিনিট। ঝড় শেষ হওয়ার পরও চলতে থাকে বৃষ্টি। মার্চে এমনতিইে নিম্নচাপ ও ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনা রয়েছে। চলতি মাসের দ্বিতীয়ার্ধে সামগ্রিকভাবে স্বাভাবিক অপেক্ষা অধিক বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। বয়ে যাবে মৃদু তাপপ্রবাহ। গত এক সপ্তাহ ধরে তাপমাত্রা বেড়েই চলেছে। এদিকে, ঝড় বৃষ্টিতে সাময়িক দুর্ভোগে পড়েন জমজমাট এক ফাইনালের আশায় মিরপুর স্টেডিয়ামে উপস্থিত হাজার হাজার দর্শক। দ্বাদশ এশিয়া কাপের ফাইনালে বাংলাদেশের শিরোপা স্বপ্নে বিভোর হয়ে পুরো দেশেই তখন ছিল উৎসবমুখর পরিবেশ। কিন্তু বাদ সাধে বেরসিক প্রকৃতি। মিরপুরের আকাশে কালো মেঘ জমে ওঠে। এক পর্যায়ে নেমে আসে প্রবল বৃষ্টি। আবহাওয়া অধিদফতরের বুলেটিনে বলা হয়েছে, মার্চ মাসে দেশের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে ২ থেকে ৩ দিন তীব্র কালবৈশাখী অথবা বজ্র-ঝড় এবং দেশের অন্যত্র ১ থেকে ২ দিন মাঝারি কালবৈশাখী অথবা বজ্র-ঝড় হতে পারে। মার্চের দিনের তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে বেড়ে ৩৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যাবে। ওই মাসে বঙ্গোপসাগরে ১ থেকে ২টি নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এর মধ্যে একটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। আর এপ্রিলে দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে ৩ থেকে ৪ দিন মাঝারি থেকে তীব্র কালবৈশাখী অথবা বজ্র-ঝড় ও দেশের অন্যত্র ২ থেকে ৩ দিন হালকা থেকে মাঝারি কালবৈশাখী অথবা বজ্রঝড় হতে পারে। ওই মাসে দেশের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে ২ থেকে ৩টি মৃদু তাপপ্রবাহ এবং এর মধ্যে একটি তীব্র তাপপ্রবাহে রূপান্তরিত হতে পারে।
×