ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলাদেশের ৮ উইকেটে হার;###;ম্যাচসেরা ধাওয়ান;###;সিরিজসেরা সাব্বির

ভারতই জিতল ॥ বৃষ্টিভেজা মাঠে সীমিত ওভারে

প্রকাশিত: ০৮:৩১, ৭ মার্চ ২০১৬

ভারতই জিতল ॥ বৃষ্টিভেজা মাঠে সীমিত  ওভারে

মিথুন আশরাফ ॥ কত স্বপ্ন, কত আশা; সব মুহূর্তেই শেষ হয়ে গেল। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন ছিল। আশা ছিল, প্রথমবারের মতো কোন টুর্নামেন্টের শিরোপা জিতে ইতিহাস গড়ার। সব ধুলোয় মিশে গেল। শিখর ধাওয়ান (৬০) ও বিরাট কোহলি (৪১*) মিলেই সব স্বপ্ন ধূলিসাত করে দিল। ভারত আরাম আয়েশে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে জিতে এশিয়া কাপের শিরোপা আবারও জিতে নিল। প্রথমবারের মতো টি২০ ফরমেটে হলো টুর্নামেন্টটি। প্রথম আসরেই টানা ৫ ম্যাচ জিতে অপরাজিত থেকেই বাজিমাত করল ভারত। সেই সঙ্গে এশিয়া কাপে সবচেয়ে বেশি ছয়বার চ্যাম্পিয়নও হলো। বাংলাদেশ ২০১২ সালের পর দ্বিতীয়বারের মতো রানার্সআপ হয়েই সান্ত¡না খুঁজে পেল। পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কাকে পেছনে ফেলে যে টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ, সেটিই শেষপর্যন্ত বড় প্রাপ্তি হয়ে রইল। টস হারে বাংলাদেশ। বৃষ্টি হওয়ার পর যেই টস জিতত, আগে ফিল্ডিংই নিত। ভারত অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি তাই করলেন। এবং বলেও দিলেন, ‘এগিয়ে থাকা গেল। এত কম ওভারের (১৫ ওভারের ম্যাচ) ম্যাচে পড়ে ব্যাটিং করা গেল।’ বাংলাদেশ অবশ্য ব্যাটিং করার সুযোগটি কাজে লাগায়। মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ (৩৩*) ও সাব্বির রহমান রুম্মনের (৩২*) ৪৫ রানের জুটিতে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৫ ওভারে ১২০ রান করে। ধাওয়ান-কোহলির ৯৪ রানের জুটিতে ১৩.৫ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ১২২ রান করে জিতে ভারত। বরাবরের মতো এবারও প্রথম ওভারেই বল করতে এসে উইকেট শিকার করলেন আল আমিন। রোহিত শর্মাকে (১) আউট করে দিলেন। সিøপে ক্যাচ মিস করা যেন ধারাবাহিকতায় পরিণত হয়েছিল সৌম্য সরকারের। এদিন প্রথম উইকেটটিই তালুবন্দী করলেন সৌম্য। কিন্তু এরপর ধাওয়ান-কোহলি মিলে ধীরে ধীরে এগিয়ে যেতে থাকেন। পাওয়ার প্লেতে ৩৩ রান যোগ হয়। চাপের ম্যাচ খেলতে খেলতে অভ্যস্থ ভারত। ফাইনালই খেলেছে ৬০টি। জিতেছে ২৬ ম্যাচে। আর বাংলাদেশ মাত্র তৃতীয়বারের মতো কোন ফাইনাল ম্যাচ খেলেছে। এমন স্নায়ুচাপের ম্যাচে অভিজ্ঞতায় ‘যোজন-যোজন’ এগিয়ে ভারত। দলের ক্রিকেটাররাও। এরপরও আশা থাকে। যেভাবে একের পর এক জয় তুলে নিয়ে ফাইনালে খেলেছে বাংলাদেশ, ভারতকেও হারিয়ে দিতে পারে! কিন্তু এশিয়া কাপে এবার প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা পেসার আবু হায়দার রনি বল করতে এসেই ১৪ রান দিয়ে দিলেন। সাকিবও তার প্রথম ওভারে যখন ১৫ রান দিলেন, তখনই বোঝা গেল ম্যাচটি হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে। যে শিখর ধাওয়ান পুরো টুর্নামেন্টজুড়েই ব্যর্থ থাকেন। সেই ধাওয়ান কি না ফাইনালে এসে টি২০ ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ ৬০ রান করলেন। আর কোহলি তো দলের সেরা ব্যাটসম্যানই। বড় ম্যাচের ব্যাটসম্যান। তিনিও খেলে দিলেন আবার। করলেন অপরাজিত ৪১ রান। দুইজন মিলে ৯৪ রানের জুটি গড়ে বাংলাদেশকে হারিয়েই দিলেন। শেষে যখন ১২ বলে জিততে ১৯ রান লাগে। আল আমিনকে ছক্কা, চার, ছক্কা হাঁকানোর সঙ্গে ১৪তম ওভারে ১ বল বাকি থাকতেই ২০ রান নিয়ে খেলা শেষ করে দেন মহেন্দ্র সিং ধোনি (২০*)। সহজভাবেই ফাইনাল ম্যাচ জিতে শিরোপাও ঘরে তুলল ভারত। বাংলাদেশ যেমন শেষ ম্যাচে এসে মোহাম্মদ মিঠুনের পরিবর্তে অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার নাসির হোসেন ও নুরুল হাসানকে সরিয়ে পেসার আবু হায়দার রনিকে খেলিয়ে দিল। বলতে গেলে শেষ ম্যাচে এসে ‘জুয়া’ খেলল। বিশেষ করে রনিকে খেলিয়ে দিয়ে। ভারতও তেমনি চমক দেখাল শুরুতেই। রবিচন্দ্রন অশ্বিনের হাতে বল তুলে দিল। প্রথম ওভারের শেষ বলে সৌম্য সরকারও অশ্বিনকে কাভার দিয়ে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে দিলেন। এরপর দ্বিতীয় ওভারে যখন আশিষ নেহরা বল করতে আসলেন, প্রথম বলেই স্কয়ার লেগ দিয়ে বাউন্ডারি হাঁকালেন তামিম ইকবাল। যেন জয়ের সুবাতাস এখান থেকেই শুরুও হয়ে গেল। এরপর একটু বুঝে খেলেন তামিম ও সৌম্য। খারাপ বল আসার অপেক্ষায় থাকেন। চতুর্থ ওভারে বল করতে এসে সেই অপেক্ষা ফুরোয়। দ্বিতীয় বলে তামিম একটি বাউন্ডারি হাঁকান। এরপর চতুর্থ ও পঞ্চম বলে টানা দুটি বাউন্ডারি হাঁকান সৌম্য। কিন্তু ওভারের শেষ বলে গিয়েই সৌম্য (১৪) আউট হয়ে যান। সবাই তখন খানিক সময়ের জন্য হতাশ হন। সঙ্গে এও মাথায় থাকে, ১৫ ওভারের খেলা, একেকজন ব্যাট করতে নেমে এভাবে ১৪-১৫ রান করে স্কোরবোর্ডে যোগ করে দিয়ে গেলেই হয়। তামিমও ১৩ রান করে বুমরাহর বলে আউট হয়ে গেলেন। তবে পরপর দুই ওভারে ২ উইকেট যাওয়াতে দল একটু চাপে পড়ে যায়। তামিম-সৌম্য আউট হওয়ার পর সাব্বির ও সাকিব এগিয়ে চলতে থাকেন। পাওয়ার প্লের ৫ ওভারেই বাংলাদেশ স্কোরবোর্ডে যোগ হয়ে যায় ৩০ রান। ষষ্ঠ ওভারের তৃতীয় বলে জাদেজার বলে যখন পুল করে বাউন্ডারি হাঁকান সাকিব, তখনই বোঝা যায়, বাংলাদেশ সেরা অলরাউন্ডার আসল ম্যাচে এসে কিছু করবেন। কুঁচকিতে টান পড়ায় ফাইনাল ম্যাচ খেলা থেকে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিলেন সাকিব। সেখানে খেললেন এবং একের পর এক বাউন্ডারিও হাঁকালেন। পুরো টুর্নামেন্টে অনেকটাই নীরব থাকা সাকিব ফাইনালে এসে জ্বলে উঠলেন। পুরো টুর্নামেন্টে প্রথমবারের মতো গ্যালারিতেও শোনা গেল, ‘সাকিব, সাকিব’। সেই সাকিব দ্রুতই ১৬ বলে ২১ রান করে শর্ট ফাইনলেগে ক্যাচ আউট হন। ততক্ষণে বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডে ৬৪ রান যোগ হয়ে যায়। সাকিব আউট হতেই ঝিমিয়ে পড়ে বাংলাদেশের স্কোর। টানা তিন ওভার কোন বাউন্ডারিই হয়নি। মুশফিক ব্যাট হাতে নামতেই যেন সেই দুঃখ ভরা সময়ের শুরু হয়ে যায়। ৫ বলে ৪ রান নিয়ে রানআউটও হয়ে যান মুশফিক। তখন সবাই বলাবলি করতে থাকে, মাহমুদুল্লাহ আছেন ফর্মে। অথচ মুশফিককে কেন নামানো হলো? মুশফিক আউট হওয়ার পর মাশরাফি ব্যাট হাতে নেমেই সাজঘরে ফিরেন। তখন স্কোরবোর্ডে ৭৫ রান যোগ হয়। এমন অবস্থায় দ্রুত রান তোলা জরুরী ছিল। সাব্বিরের সঙ্গে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ সেই চেষ্টাই করে যান। সুইপ করে নেহরার বলে বাউন্ডারি হাঁকান সাব্বির। মাহমুদুল্লাহ কেন পিছিয়ে থাকবেন। তিনিও সোজাসোজি বাউন্ডারি হাঁকান। বাংলাদেশের স্কোর ১৩ ওভারে ৯২ রানে চলে যায়। জিততে হলে ২ ওভারে বেশি রান স্কোরবোর্ডে যোগ করতে হবে। ভারতকে চাপে ফেলতে হবে। এমন অবস্থায় ১৪ ওভারটি করতে আসেন পান্ডে। দুই বলে ‘চার-ছক্কা’ হাঁকান। তৃতীয় বলে ২ রান নেন। চতুর্থ বলেই আবার ছক্কা হাঁকিয়ে দেন মাহমুদুল্লাহ। পান্ডে যেন পাগল হয়ে যান। ওয়াইড দিয়ে দেন। এ ওভারেই ২১ রান হয়ে যায়। বাংলাদেশও মুহূর্তেই ১১৩ রান স্কোরবোর্ডে যোগ করে ফেলে। শেষ ওভারে গিয়ে ৭ রান যোগ করতে পারে বাংলাদেশ। ১২০ রান হয়। মাহমুদুল্লাহ ১৩ বলে ৩৩ রান করে অপরাজিত থাকেন। আর সাব্বির ২৯ বলে ৩২ রান করে থাকেন অপরাজিত। সাব্বির-মাহমুদুল্লাহ মিলে ষষ্ঠ উইকেটে ৪৫ রানের জুটি গড়েন। যা বাংলাদেশকে জয়ের ভিত গড়ে দেয়। কিন্তু সেই জয় আর মিলল না। বিকেল পাঁচটায় মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের চারদিক ঘিরে সে কী উত্তেজনা। জনতার ঢল নামে! সেই ঢলে হঠাৎ করে একটি স্থানে জটলা লেগে আছে। কেন? সামনে গিয়ে দেখা গেল জটলার মাঝে একজন বৃদ্ধ তার পাঁচ বছরের নাতিকে দুই ঘাড়ে বসিয়ে নাচছে। গাইছে, ‘জিতবে এবার জিতবে বাংলাদেশ।’ সঙ্গে নাতিও হাত দুলাচ্ছে। ক্রিকেটের প্রতি সে কী ভালবাসা! বৃদ্ধ থেকে শিশু পর্যন্ত ক্রিকেটে মাতোয়ারা হয়ে আছে। আচ্ছন্ন হয়ে আছে ক্রিকেটে। বাংলাদেশ ক্রিকেট দল যে দিনের পর দিন উৎসব করার সুযোগ করে দিচ্ছে। কিন্তু একটু পরেই সব উৎসব যেন মিলিয়ে যেতে থাকে। হিমশীতল বাতাসের পরপরই যে ঝড় শুরু হয়। ভেঙ্গে যায় জটলা। থেমে যায় বৃদ্ধের নাচা। কিন্তু নাচের ফাঁকে বৃদ্ধ যে বললেন, ‘বাংলাদেশ জিতবে আজ (রবিবার)।’ সেই আশা কিন্তু থামেনি। যখন খেলা শুরু হয়, শেষও হয়; তখন গিয়ে সেই আশার বেলুন হতাশায় পরিণত হয়ে ফুটে! বিকেল সোয়া পাঁচটা থেকেই মেঘে ঢেকে যায় আকাশ। সঙ্গে বাতাস বয়ে যায়। হিমশীতল বাতাস। যে বাতাসে সুবাতাসও খোঁজা হয়েছে। তখন থেকেই সবার মনে একটিই প্রশ্ন, ‘রিজার্ভ ডে কী আছে?’ না কি যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন হয়ে যাবে বাংলাদেশ ও ভারত। মুহূর্তেই জানা গেল, কোন ‘রিজার্ভ ডে’ নেই। পৌনে ৬টার দিকে যখন বৃষ্টি নামার আভাস বোঝা গেল, আর সেই আভাসে উইকেট বাঁচানোর জন্য কিউরেটর গামিনি ডি সিলভা তার সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে উইকেট কাভার দিয়ে ঢাকতে শুরু করলেন, তখন সবাই এও বলা বলি করতে শুরু করে দিলেন, খেলা না হলে না হবে, বাংলাদেশের ইতিহাসে তো শিরোপা জয় লেখা হয়ে যাবে। হোক সেটিতে যুগ্ম যুক্ত থাকবে। বলা তো যাবে, চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ। তবে এমনটি আসলে কথার কথা। সবার একটিই চাওয়া, ম্যাচ যেন শেষপর্যন্ত হয় এবং দাপট দেখিয়ে ম্যাচ জিতে নেয় বাংলাদেশ। এ আশা দর্শকদের মাঝেই বেশি দেখা গেছে। দর্শকরা যে অনেক চেষ্টার পর ‘সোনার হরিণ’ হয়ে যাওয়া টিকেট পেয়েছেন। ফাইনাল খেলা দেখে ইতিহাসের সাক্ষী হবেন, সেই আশাই ছিল। আর যদি বাংলাদেশ জিতে, তাহলে আনন্দের মাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার অপেক্ষাও থাকে। সোয়া ছয়টার দিকে যেন ম্যাচ হওয়ার সব আশা, ভরসা, স্বপ্ন শেষ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাই জাগে। কালবৈশাখীর ঝড় যেন এসে যায়। তাতে করে উইকেট ঢেকে রাখার কাভারও উড়ে যেতে থাকে! খানিক সময়ের জন্য অন্ধকার হয়ে যায় পুরো মিরপুর স্টেডিয়াম। মিনিট দুইয়েকের মধ্যে মুষলধারে বৃষ্টিও নামা শুরু হয়ে যায়। সব থামে। হঠাৎ করে ৬টা ২০ মিনিট হতেই পুরো স্টেডিয়াম আবার অন্ধকার হয়ে যায়। এবার ঝড় নয়, পুরো স্টেডিয়ামে ফ্ল্যাড লাইট বন্ধ হয়ে যায়। কী যে অবস্থার সৃষ্টি হয়। বোঝাই যায়, খেলা হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তখনও এক ঘণ্টার বেশি সময় বাকি থাকে। কিন্তু সাড়ে ছয়টার দিকে যে বৃষ্টি শুরু হয়, তা যেন আর থামতেই চায়নি। ৭টা যখন বাজে ফ্লাডলাইট আবার জ্বলে। তবে ম্যাচ শুরুর সময় বেড়ে যায় এক ঘণ্টা। অর্থাৎ সাড়ে ৮টার আগে খেলা হওয়ার কোন সুযোগই থাকেনি। যদি এরপরও বৃষ্টি হয়, ১০টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করার সিদ্ধান্ত হয়। ৫ ওভার করে খেলা হলেও শিরোপা নির্ধারণ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। পৌনে আটটার দিকে বৃষ্টি পুরোপুরিই থেমে যায়। উইকেট থেকে কাভারও উঠানো হয়। সোয়া আটটার দিকে দুই দলই মাঠে নামে। একদিকে ভারত ক্রিকেটাররা, আরেকদিকে বাংলাদেশ ক্রিকেটাররা ফুটবল খেলতে থাকেন। আর দর্শকরা চিৎকার করতে থাকেন। শেষপর্যন্ত যে খেলা শুরু হওয়ার সম্ভাবনা ভালভাবেই জাগে। মিরপুর স্টেডিয়ামের ড্রেনেজ পদ্ধতি যে অনেক ভাল। বৃষ্টি শেষ হতেই পানি নিষ্কাশন হয়ে যায়। এরপরও মাঠের অবস্থা দেখে পৌনে ৯টায় আম্পায়াররা সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা জানান। সাড়ে নয়টায় খেলা শুরু হওয়ার সিদ্ধান্তও হয়। ১৫ ওভার করে খেলা হওয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্তও নেয়া হয়। এর আগেই মাশরাফি সব ক্রিকেটারের সঙ্গে হাত গলা মেলাতে থাকেন। তখন স্টেডিয়ামে গর্জন উঠে, ‘বাংলাদেশ, বাংলাদেশ’। একই সময়ে যখন জায়ান্ট স্ক্রিনে বিরাট কোহলিকে বল খেলতে দেখা যায়, দর্শকরা ‘ভুয়া, ভুয়া’ বলতে থাকেন। ৯টা ১০ মিনিটে অবশেষে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচের টস হয়। যে টস হওয়ার কথা ৭টায়, সেখানে বৃষ্টির জন্য দুই ঘণ্টা ১০ মিনিট পর হয় টস। তাতে হারে বাংলাদেশ। শুরুতে হার হয়।
×