স্টাফ রিপোর্টার ॥ খাদ্য বিভাগের একজন উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তার প্রতিহিংসার কারণে বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা পদোন্নতি পেয়েও কর্মস্থলে যোগ দিতে পারছেন না। চার বছর আগের এসিআর না দেয়ায় তারা এমন বেকাদায় পড়েছেন। সম্প্রতি সান্তাহার সাইলোর ২ জন সুপারভাইজার তাদেরই প্রকল্প পরিচালকের নামে এমন অভিযোগ তুলেছেন। প্রকল্প পরিচালক নিয়মানুযায়ী আগের বছরের এসিআর পরের বছরের প্রথম দিকেই প্রতিস্বাক্ষর করবেন। কিন্তু তিনি তা না করে ২০১১ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত তাদের এসিআরও সই করেননি। ফলে তারা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক পদে বদলি হলেও কর্মস্থলে যোগ দিতে পারছেন না।
এ বিষয়ে প্রকল্প পরিচালক গোলাম মোস্তফা জনকণ্ঠকে বলেন, সুপারভাইজার মোঃ জামাল উদ্দিন সুমন যে সব অপকর্ম ঘটিয়েছে, তাতে আমি যদি রিপোর্ট দেই তাহলে ওর চাকরি চলে যাবে। আমি সহজে মানুষের ক্ষতি করতে চাই না বলেই এখনও সে চাকরি করে যাচ্ছে। সান্তাহারে গিয়ে যদি ওর সম্পর্কে জানতে চান তাহলে বুঝবেন কত মানুষ তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে। ওর সঙ্গে আমার কোন জমি জমার বিরোধ নেই-আমি কেন ওর এসিআর দেবো না। নিশ্চয়ই এমন কোন কাজ সে করেছে, যার জন্য এসিআর দেয়া হচ্ছে না। বর্তমানে আমি ওই প্রকল্পের পরিচালক নেই। বর্তমানে আমি খাদ্য ভবনে আছি। বিষয়টি নিয়ে আমার কাছে না এসে নানা জায়গায় দেন দরবার করে বেড়ায়।
সান্তাহার সাইলোর সুপারভাইজার মোঃ জামাল উদ্দিন সুমন অভিযোগ করেন, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের চলতি দায়িত্বে পদায়ন হয়েও কাজে যোগ দিতে পারছেন না তিনি। এই পদে ২ শ’র বেশি পদ খালি রয়েছে। সান্তাহার সাইলোর ২ জন সুপারভাইজারের ২০১১ ও ২০১২ সালের এসিআর ২০১৫ সালেও প্রতিস্বাক্ষর না করার জন্য আমাদের পদায়ন হয়নি। বিষয়টি উদ্দেশ্যমূলক ও ক্ষমতার অপব্যবহার।
বিষয়টি পরে আমরা খাদ্য বিভাগের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা দিয়ে সুপারিশ করিয়েও কোন ফল পাইনি। আমরা পদোন্নতি যোগ্য কর্মকর্তা হয়েও পদোন্নতি থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। এসিআর সই হলেই আমরা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক হিসাবে যোগদান করতে পারি। কিন্তু স্বেচ্ছাচারিতার কারণে দীর্ঘদিন ধরে আমাদের ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সব জায়গায় গিয়েও কোন প্রতিকার পাচ্ছি না।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: