ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

পাকিস্তানে নারী সুরক্ষা আইন ‘অনৈসলামিক’ঘোষণা করল ধর্মীয় পরিষদ

প্রকাশিত: ০৪:১৮, ৬ মার্চ ২০১৬

পাকিস্তানে নারী সুরক্ষা আইন  ‘অনৈসলামিক’ঘোষণা  করল ধর্মীয় পরিষদ

পাকিস্তানের প্রভাবশালী একটি ধর্মীয় পরিষদ দেশটিতে নারীর সুরক্ষায় প্রণীত আইন ‘অনৈসলামিক’ বলে ঘোষণা করেছে। বুধবার পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় প্রদেশে পাঞ্জাবে নারীর সুরক্ষায় একটি আইন পাস হয়। পারিবারিক সহিংসতা এবং শারীরিক ও যৌন নির্যাতনের হাত থেকে নারীদের সুরক্ষায় করা হয় ওই আইন, যা পাকিস্তানে নজিরবিহীন। খবর ইয়াহু নিউজের। ওই আইনে নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতার খবর দেয়ার জন্য বিনামূল্যে হট লাইন চালু করা এবং নারীর জন্য আশ্রয় কেন্দ্র স্থাপনের কথাও বলা হয়েছে। আইনটি প্রস্তাব করার পর রক্ষণশীল ধর্মীয় নেতারা এর সমালোচনা করে বলেন, আইনটি মুসলমানদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ আল কোরআন ও পাকিস্তানের সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এক সংবাদ সম্মেলনে ‘দ্য কাউন্সিল অব ইসলামিক আইডিওলজি’র প্রধান মুহাম্মদ খান শেরানি বলেন, পুরো আইনটিই ভুল ও অনৈসলামিক। ৫৪ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত এই কাউন্সিলটি এর আগেও বিভিন্ন বিতর্কিত ঘোষণা দিয়েছে। যেমন, ধর্ষণ মামলায় প্রাথমিক প্রমাণ হিসেবে ডিএনএ পরীক্ষা করার বিরোধিতা করে এই পরিষদ বলেছিল, কোন নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ করার জন্য প্রমাণ হিসেবে চারজন পুরুষ সাক্ষীকে আদালতে উপস্থাপন করার যে আইন আগে ছিল সেটিই ঠিক। এছাড়া, আট বা নয় বছরের বালিকাকে বিয়ে দেয়ার বিরুদ্ধে কঠোর আইনী ব্যবস্থা গ্রহণের একটি প্রস্তাবও এই কাউন্সিলের বিরোধিতার কারণে জানুয়ারিতে বাতিল হয়ে যায়। নতুন আইনে নিপীড়নের ঘটনা তদন্তে জেলা পর্যায়ে প্যানেল গঠন করা হবে এবং অপরাধীকে নজরে রাখতে জিপিএস ব্রেসলেট বাধ্যতামূলকভাবে ব্যবহার করতে হবে। পারিবারিক সহিংসতার ক্ষেত্রে আদালতের আদেশ লঙ্ঘনকারীর এক বছরের বেশি কারাদ-ের বিধান রাখা হয়েছে। দ্বিতীয়বার একই অপরাধ করার ক্ষেত্রে কারাদ-ের মেয়াদ দুই বছরের বেশি হবে। পাকিস্তানের ধর্মভিত্তিক সবচেয়ে বড় দল জমিয়ত-ই-উলেমা ইসলামের প্রধান ফজলুর রেহমান সাংবাদিকদের বলেন, এই আইন একজন পুরুষকে নিরাপত্তাহীন করবে।
×