ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

বিজেপি নেতা রাম মাধব

হাসিনার নেতৃত্বে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের পাশে থাকবে ভারত

প্রকাশিত: ০৭:৫০, ৫ মার্চ ২০১৬

হাসিনার নেতৃত্বে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের পাশে থাকবে ভারত

কূটনৈতিক রিপোর্টার ॥ ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) জাতীয় সাধারণ সম্পাদক রাম মাধব বলেছেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের পাশে থাকবে ভারত। বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও সংবিধানের প্রতি ভারত শ্রদ্ধাশীল। তবে গণতন্ত্র মানে বাস পোড়ানো নয় বলেও তিনি মন্তব্য করেন। এদিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পানিবণ্টন সমস্যা সমাধানের প্রতি জোর দিয়েছেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে ‘বাংলাদেশ ও ভারত সম্পর্কের নতুন দিগন্ত’ শীর্ষক দুই দিনব্যপী এক সেমিনারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তারা এসব কথা বলেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশ ও ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন পররাষ্ট্র মন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, ভারতীয় জনতা পার্টির জাতীয় সাধারণ সম্পাদক মাধব রায়, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা, ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশের সভাপতি নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ভারতীয় জনতা পার্টির জাতীয় সাধারণ সম্পাদক রাম মাধব বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে গণতন্ত্র চলছে, সেই গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের পাশে থাকবে ভারত। বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও সংবিধানের প্রতি ভারত শ্রদ্ধাশীল। গণতন্ত্রের মধ্যে স্বাধীনতা থাকতে হবে। এই স্বাধীনতা বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। তবে গণতন্ত্রের স্বাধীনতা মানে বাস পোড়ানো নয়। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ইতিহাস, সংস্কৃতি, ভাষা ইত্যাদির মধ্যে বন্ধন রয়েছে। দিনে দিনে এই বন্ধন জোরালো হচ্ছে। প্রতিবেশী হিসেবে ভারত একটি বড় দেশ। তবে বাংলাদেশের প্রতিবেশী হিসেবে ভারত বড় হলেও বড় ভাই নয়। বড় ভাই হতেও চায় না। আমরা একে অপরের মধ্যে অংশীদার হতে চাই। রাম মাধব বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরের মধ্যে দিয়ে দুই দেশের সম্পর্ক উন্নীত হয়েছে। এই সম্পর্ক এখন বহুমুখী ও বিস্তৃত। আমরা এই সম্পর্ক আরও গভীরভাবে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র মন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, ১৯৭১ সালের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে একটি ঐতিহাসিক বন্ধন তৈরি হয়েছে। সেই ঐতিহাসিক সম্পর্ককে আমরা কোনভাবেই অস্বীকার করতে পারি না। তারপর থেকেই দুই দেশের বন্ধ জোরালো হয়েছে। এই সম্পর্ক এখন দিনে দিনে আরও গভীর হচ্ছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরের মধ্যে দিয়ে এই সম্পর্ক এখন গভীর। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, বাংলাদেশ-ভারত বিভিন্ন ইস্যুর মধ্যে নিরাপত্তা সহযোগিতার ক্ষেত্রে এখন বিশেষ জোর দিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দিয়েছেন, বাংলাদেশ জঙ্গী ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সে থাকবে। সেই অনুযায়ী দুই দেশ এখন নিরাপত্তা সহযোগিতার ক্ষেত্রে জোর দিচ্ছে। ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিভিন্ন খাতে সহযোগিতা দিনে দিনে বাড়ছে। বিশেষ করে আন্তসংযোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। সড়ক, রেল, বিমান পথের পাশাপাশি নৌ পথেও যোগাযোগ বাড়ছে। প্রতিবেশী দেশ হিসেবে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সুসম্পর্ক অব্যাহত রাখা প্রয়োজন বলেও তিনি মন্তব্য করেন। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশের সহসভাপতি সত্যম রায় চৌধুরী, অনুষ্ঠানের সমন্বয়ক এ এসএম সামছুল আরেফিন। দুই দিনব্যাপী সেমিনার আজ শনিবার শেষ হবে। এতে বিভিন্ন পর্বে দুই দেশের প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখবেন।
×