ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

দর্শক বাড়াতে আরও মঞ্চ প্রয়োজন ॥ হৃদি হক

প্রকাশিত: ০৬:০০, ৫ মার্চ ২০১৬

দর্শক বাড়াতে আরও মঞ্চ প্রয়োজন ॥ হৃদি হক

অভিনেত্রী, নাট্যকার ও পরিচালক হৃদি হক। বাবা নাট্য ব্যক্তিত্ব ড. ইনামুল হক ও মা লাকি ইনামের হাত ধরে মঞ্চে প্রবেশ। নিজের অদম্য ইচ্ছা ও নিরলস প্রচেষ্টায় ধীরে ধীরে অভিনয়সহ একটি পূর্ণাঙ্গ থিয়েটার কর্মী হয়ে উঠেছেন। উপস্থাপনাতেও দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। নাগরিক নাট্যাঙ্গনের ২০তম প্রযোজনায় ‘গহর বাদশা ও বানেছা পরী’ নাটকের পুনর্কথন ও নির্দেশনার পাশাপাশি বিশেষ একটি চরিত্রে অভিনয়ও করছেন। রাজধানীর মহিলা সমিতিতে চলমান ভাঙ্গা-গড়া নাট্যোৎসবে আজ শনিবার সন্ধ্যা ৭টায় নাটকটির নবম মঞ্চায়ন হবে। এ সম্পর্কে কথা হয় তার সঙ্গে। মহিলা সমিতিতে আপনার প্রথম নির্দেশিত নাটক মঞ্চায়ন হচ্ছে অনুভূতি কেমন? হৃদি হক : আমার অভিনয় শুরুটাও হয়েছিল মহিলা সমিতির মঞ্চ থেকে। ভবনটি ভাঙ্গাও হয় ভাঙ্গা-গড়া নাট্যোৎসব দিয়ে। তখনও এ উৎসবে অংশ নিয়েছি। এখন নতুন ভবনেও চলছে ভাঙ্গা-গড়া নাট্যোৎসব। এখানে আমার নির্দেশনায় নাটক হচ্ছে, এ অনুভূতি ভাষায় ব্যক্ত করা কঠিন। অসম্ভব এক ভাললাগা কাজ করছে। যদিও আমার এ নাটকটির জন্য মঞ্চটি খুবই ছোট, তথাপি মহিলা সমিতি হচ্ছে প্রাণের জায়গা, এ কারণে সুযোগটা ছাড়তে নারাজ। নাটকটি নিয়ে কেমন সাড়া পেয়েছেন? হৃদি হক : অভূতপূর্ব সাড়া পেয়েছি। এ পর্যন্ত আটটি শো করেছি, প্রতিটিতে দর্শকের উপস্থিতি ছিল হাউসফুল। দর্শককে ভাল কিছু দিলে তারা যে হলমুখী হয়, তার বাস্তব প্রমাণ ‘গহর বাদশা ও বানেছা পরী’ নাটক। নাটকটিতে আপনার চরিত্র? হৃদি হক : আমি বানেছা পরীর চরিত্রে অভিনয় করছি। এতে গহরের দুটো বয়স। প্রথমটিতে অভিনয় করছেন আসিব চৌধুরী এবং দ্বিতীয়টিতে জুয়েল জহুর। মঞ্চ পরিকল্পনায় রয়েছেন সাজু খাদেম। আমাদের দেশের থিয়েটারের বর্তমান অবস্থা কেমন? হৃদি হক : আমার মনে হয়, স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশকে তুলে ধরার আধুনিক শিল্প হচ্ছে থিয়েটার। এখন শুধু বাংলা ভাষাভাষী নয়, আমরা ভাষাভাষীদের মধ্যেও এই শিল্পকে ছড়িয়ে দিতে পারছি। আমাদের থিয়েটার এখন সব দেশের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে পারে। থিয়েটারকে আরও এগিয়ে নিতে করণীয় কি? হৃদি হক : শিল্পকলা একাডেমি ছাড়া থিয়েটারের জন্য আর মঞ্চ নেই। দর্শক সঙ্কট আছে আমি এটা মেনে নিতে পারি না। দর্শক বাড়াতে আরও মঞ্চ প্রয়োজন। Ñগৌতম পা-ে
×