ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

রাজধানীর ওয়াসার পানিতে দুর্গন্ধ

প্রকাশিত: ০৩:২৭, ৫ মার্চ ২০১৬

রাজধানীর ওয়াসার পানিতে দুর্গন্ধ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীর কিছু এলাকার ওয়াসার পানিতে বেশ কিছুদিন ধরেই ময়লা আর দুর্গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। তাই পানি ব্যবহারে মোটেও স্বস্তি পাচ্ছেন না এলাকার বাসিন্দারা। তাদের অভিযোগ, ওয়াসার পানি চোখে দিলেই জ্বালাপোড়া করছে, পানি ফুটালেও গন্ধ যাচ্ছে না। ওয়াসা বলছে, শীতলক্ষ্যা নদীর পানির দূষণ কমাতে কেমিক্যাল ব্যবহারের কারণেই পানির এ অবস্থা। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পানি পান করলে হতে পারে পেটের পীড়াসহ নানা সমস্যা। ওয়াসার পানির কারণে অসুস্থ সহধর্মিণীর কথা জানাচ্ছিলেন রাজধানীর বেগুনবাড়ির বাসিন্দা মন্তাজ আলী। কিছুদিন ধরে এ এলাকায় ওয়াসার লাইন থেকে আসছে ময়লা ও দুর্গন্ধযুক্ত পানি। শুধু বেগুনবাড়ি নয় রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকার জাফরাবাদ আজিজ খান রোড, ওয়ারী, শাজাহানপুর, গ্রীন রোড, পুরানা পল্টনসহ বেশ কিছু এলাকায় ওয়াসার সরবরাহ করা পানি নিয়ে নানা অভিযোগ এলাকার বাসিন্দাদের। জাফরাবাদের আজিজ খান রোডের বাসিন্দারা জানান, ওই সড়কের কোথাও স্যুয়ারেজ লাইন ভেঙ্গে ওয়াসার পানির লাইনের সঙ্গে মিশে গেছে। ফলে ওয়াসার পানিতে তীব্র গন্ধ পাওয়া যায়। ওই পানি খাওয়ার অযোগ্য। দীর্ঘ দিন ধরে আজিজ খান রোডের স্যুয়ারেজ লাইন ভেঙ্গে পানি উপচে পড়ছে সেদিকেও নজর নেই সিটি কর্পোরেশনের। ফলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ওই এলাকার বাসিন্দাদের। সামনে বর্ষাকাল আসছে। বৃষ্টি হলে স্যুয়ারেজের পানি ও বৃষ্টির পানি একাকার হয়ে বাড়িঘর সব তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন বাসিন্দারা। রাজধানীবাসীর জন্য ওয়াসা ৭৮ শতাংশ পানি সরবরাহ করে থাকে গভীর নলকূপ থেকে। আর বাকি ২২ শতাংশ পানি আসে নদী থেকে যেখানে ব্যাকটেরিয়া ধ্বংসের জন্য পানিতে ক্লোরিন মেশাতে হয়। তবে ওয়াসার এমডি তাকসিম এ খান বলছেন, স্থায়ী সমাধানের জন্য পরিবেশ বান্ধব, টেকসই ও গণমুখী পানি ব্যবস্থাপনা করতে তারা চেষ্টা করছেন। ঢামেকের সহকারী অধ্যাপক ডা. সুদিপ রঞ্জন দেব মতে ক্লোরিন মেশানো পানি পান করলে হঠাৎ বমি অথবা পাতলা পায়খানা হতে পারে। ভুক্তভোগী এসব বাসিন্দাদের নিকটস্থ ওয়াসার পাম্প থেকে পানি পানের পরামর্শ দিয়েছে ওয়াসা কর্তৃপক্ষ।
×